Sunday, January 31, 2021

Whispers in Air

Sometimes everything looks like a stranger

These rooms of questions, flooding with daylight

Sounds, bring proof of a live city

People at door, holding lists of tasks

Voices, tryin to be empathetic after all

But I feel like a stranger to all of these strangers around

Thinking of U I feel so scared

When I close my eyes I can see U clear n bright

But I m afraid I couldnt find U in a crowd

I m afraid U will not recognize me too

We will never be some but strangers to each other

In a crowd or in an empty hall or under an wide open sky 

In between my secret space I whisper

Touch me

Touch my body

Touch my soul

Before I turn to dust

Kiss me 

Kiss my lips 

Kiss my soul

Before my senses r dead

Take me

Take my body

Take my soul

Before they split forever

I know U will never listen to my whisper 

We will remain strangers forever I know

But still I whisper in air

Believing that nothing leaves from universe

One day our dusts will listen n cry an emptiness to my whispers in air


Saturday, January 30, 2021

গোলাপ : পাঁচ

গোলাপরা কি নিজেদের মধ‍্যে বন্ধুত্ব করে?

হুম! কেন নয়?

ওরা অবাক হয়ে দেখে একে অন‍্যকে

মুগ্ধ প্রশংসায় অনুভব করে রঙ, সৌরভ আর দুঃখ 

ঈর্ষা নয়, ব‍্যাথা নয়, কি এক শূণ‍্যতায় আনত গোলাপদের অস্তিত্ব

পাশাপাশি চোখ খুলে, চোখ বুঁজে থাকে ওরা 

রৌদ্রের বিশ্বাসে কুয়াশাগ্রস্ত অচল দুপুরে 

গোলাপদের জন্ম, দিনকাল ও মৃত‍্যুর গল্প শহরের বারান্দায় আজকাল

কাল যে তপ্ত সূর্য আসবে সে জেনে নেবে নিশ্চই




Did I want something too much to have?

Trees r far away from my window

miles, I've never measured

Behind every Why I ask to myself

Did I want something too much to have?


I used to wake up early 

N used to run on empty streets 

Everytime I felt lost n I asked to myself 

Did I want something too much to have?


In every winter fair I saw

Babies cry out in strange fear

Watching filthy crowds I ask to myself

Did I want something too much to have?


Precious n fabulous works of art

They all can be taken on a sale

While admiring the maker I ask to myself

Did I want something too much to have?


People come n people go by

They keep eyes on somewhere else

If caught in an eye I ask to myself

Did I want something too much to have?


Shadows r broken alternative days

Aromas whisper in a bright shower

Thinking rights n wrongs I ask to myself

Did I want something too much to have?


Nobody knows the way to home

Nobody cares for a home I saw them

Digging a fortune n I ask to myself

Did I want something too much to have?


My life grew harder over time

Though I did promised to myself

Counting on Red coins in my pocket I ask  to myself

Did I want something too much to have


Awkward mingling on side stones

They all r from some ghost factory 

I run to reach them but I ask to myself

Did I want something too much to have?


Years go with similar distresses in hall

Hervest Winter Spring Summer Rain n Fall

Juggling some blueprint pebbles I ask to myself

Did I want something too much to have?


Men n women forgot many faces

Many lost identities n many went out of traces

They only come in dreams n I ask to myself

Did I want something too much to have?






অসময়ের গান

আমার দুঃখ দিয়ে তোমাকে 

বেঁধে রাখি প্রিয়

যদি পার তবে আরো আরো 

দুঃখ তুমি দিও


মধু রাত শুধু রাত ভয়

চেতনার হীম অবচয়

ঘুম পরী শিয়রে বসে 

আধো আধো নীল গান গায়


রাত্রিকে অন্ধকারে

ফেলে রেখে যারা চলে যায়

রাত্রির বুক চেরা সব

তারাদের ছুঁয়ে দিতে চায়


গল্পের সে রাজপুত্তুর

ধুলোঝড়ে হাতড়ে মরে

রাতপরী ঘুমপরীরা

ঝাঁক বেঁধে পথের ধারে


যদি চাও বাড়াও ও হাত

আর বাজাও কোন সুর


আমার প্রেম দিয়ে তোমাকে

ছুঁড়ে ফেলি প্রিয়

সেই প্রেমের ডানা মেলে তুমি

আরো দূরে যেও


আরো আলো আরো আলোতে

উড়ে যেও রঙিন ও প্রাণ

লাল নীল হলুদ দেশে

বাজে শুধু জীবনের গান


এখানে অন্ধ আঁধারে

চোরাবালি গুপ্ত ফাঁদে

এক ছোট অসহায় শব

গুমরে গুমরে কাঁদে


গল্পের সে রাজকন‍্যা

কাজ সেরে বাড়ির মুখে

চেপে আসা শহর দেয়ালে

আত্মারা মাথা ঠোকে


যদি পারো চোখে রাখো চোখ

পারো কাঁদো একবার


(ঢাকা, ২০১৬)





Wednesday, January 27, 2021

স্কেচ : ঊনিশ

দুপুর হতে চললো। এখোনো বিছানা ছাড়ছো না কেন?


"খুব শীত করছে। আর..."


আর কি?


"ভয় ও করছে। মনে হচ্ছে মেঝেতে পা রাখলেই সব ওলটপালট হয়ে যাবে।"


আজ অনেক কাজ শেষ করবে ঠিক করেছিলে। ভুলে গেলে?


"নাহ। কাজগুলো শেষ করতে হবে। করতেই হবে।"


তবে? এভাবে বসে থাকলে চলবে? তোমার হাতে তো অফুরন্ত সময় নেই। জানো তো।


"হুম। ভোর রাতের স্বপ্নটা চোখের সামনে থেকে যাচ্ছে না।"


সে কি! নিশ্চই আবার দুঃস্বপ্ন দেখেছো?


"হুম। তবে এবারের স্বপ্নটা একদম আলাদা। কিছুই বুঝিনি কিন্তু শুধু এক আতঙ্কই রেখে গেল।"


ভাল ঠেকছে না শুনে। তা যদি চাও তো বলতে পার কি দেখলে।


"দেখলাম একটা ছোট্ট ছেলে, আট ন বছরের। কিসে যেন খেয়ে নিয়েছে ওর তালুসহ দুহাতের সামনের অংশ। আর মুখটাও খেয়ে নিয়েছে। কপাল নেই, চোখ নেই, গাল নেই, নাক নেই, ঠোঁট নেই, দাঁতও নেই। কোন হাড়ও দেখা যাচ্ছে না। শুধু দগদগে কামড়ে খেয়ে নেয়া মুখ আর হাত। সে আমার একটা হাত চেপে ধরেছে ওর একটা খসখসে দগদগে হাত দিয়ে আর ওই খেয়ে নেয়া মুখটা দিয়ে আমার মুখটা কামড়ে খেয়ে নিতে চাইছে। কিন্তু পারছে না কিছুতেই। কারন ওর তো দাঁত মুখ কিছু নেই। তবু প্রাণপণে শুধু আরো চেষ্টাই করে যাচ্ছে।"





Tuesday, January 26, 2021

গোলাপ : চার

গোলাপ জানে ক্ষয় কাকে বলে

আর জানে ক্ষয়ে গেলেও সে থাকে চির সুন্দর

অটুট বিশ্বাসে

প্রকট ব‍্যস্ত, শব্দ দূষিত প্রতিবেশে

গোলাপ কান পাতে সুরের খোঁজে

মৃত‍্যুর আগ পর্যন্ত

কিংবা হয়তো গোলাপ কখনো মরে না

পৃথিবীর অবুঝ বোকা বোকা গানে

আর ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া প্রেমিকের করুন বুকে

বাস করে গোলাপের পূণ‍্যাত্মা




Monday, January 25, 2021

স্থবিরতার শুরুতে

আমিও ভেসে যেতে চাই শুকনো খড়কুটোর মতো

কিংবা উড়ে যেতে চাই সূক্ষ্ম ধুলিকণার মতো

অনেক মেঘ অনেক জলের পর

যখন আকাশের রঙ হয় ধবধবে

আমিও কি হতে পারিনা একটুখানি আলোক রশ্মি?

?

?

?


বহুকাল আগে যখন ছিলাম পালকের শরীর

মন ছিল অলৌকিক বর্ণচ্ছটার মতোই হালকা

স্থবিরতাকে মেনে নিতে হবে ভাবা ছিল এক মজা

ভারী কোনো পাথরের মতো ঘন অন্ধকারে

একদিন পড়ে থাকবো নির্ভাবনায় নিজের মতো

ভাবতাম

ধুলিকণাদের চোখ ভরে দেখবো

আলোর রেখায় বহু সময় ধরে

চাইতাম


আজকাল বড় ভারী লাগে মাথার ভেতর

কেউ আছো?

?

?

?

শূণ‍্যে ছুঁড়ে দিতে পারো একবার?

?

?

?

তবে আমারও তো ডানা হয়

আমিও তো পারি উড়ে যেতে একবার

কিংবা আরেকবার

কিংবা চিরকালের মতো

আমিও কি পারিনা দেখে নিতে একবার

দোয়েলের, ফড়িঙের জীবন?

?

?

?


(ঢাকা, ২০১৬)




নীল অপরাজিতা

পায়ের তলায় টুকরো টুকরো ভাঙ্গা কাঁচগুলো

শুধু বিঁধে বিঁধে যায়

রক্তক্ষরণ হয় হৃদয়ে আর যন্ত্রণায় নীল হয়ে থাকে

নীল রঙ প্রিয় বড় চিরকাল

বুদ্ধি হবার পর কোনদিন ছেলেবেলায় নীল জামাটা পাওয়া হয়নি

কেউ উপহার দেয়নি একটা নীল শাড়ি

তাই হয়তো আজও বুকেই তৈরী করি নীল রঙ সবার অগোচরে

নীলকন্ঠ পাখি দেখিইনি কোনদিন, পালক তো দূরে

লতানো নীল অপরাজিতা দেখতাম অন‍্যদের বাগানে দুচোখ ভরা বিষ্ময় ছুঁয়ে ছুঁয়ে

পরে জেনেছি এ নাকি নিষিদ্ধ ফুল গৃহস্থের জন‍্য

সে যাক

নিজেই খুঁজে খুঁজে কিনে নিয়েছি বিচিত্র নীলের সমাহার

কল্পনায় জড়িয়েছি ত্বকে ঘৃণিত নীল ভালোবাসা 

জীবনের ওপারে কিছু নেই কেউ নেই

তা জানি ঠিক

জীবনের ওপারে আর কিছু নয়, থাকে শুধু স্বপ্ন

জানি

যেখানে আকাশে ওড়ে, গাছের ডালে বসে, গান গায় নীলকন্ঠ পাখি

ঘরের দেয়াল ছেয়ে থাকে নীল অপরাজিতার ঝাড়

নীল প্রজাপতির পাখনায় ভর করে থাকে বিন্দু বিন্দু উচ্ছাস

গাঢ় নীল একটা শাড়ির আঁচল ওড়ে দমকা বাতাসে 

আর উড়িয়ে নিয়ে যায় সব গ্লানি ও স্থুলতা

শুধু যত্নে রেখে যায় ঘর্মাক্ত বুকের গন্ধ আর নিষ্পাপ ভালোবাসা






🖤Dearest Beautiful LIES🖤

Dearest Beautiful LIES🖤 in ma head

Ma Dearest n most Beautiful LIES🖤 in ma head

They hypnotize me when I m awake 

Every song I play n 

Every word I read n

Every face at ma door n 

Every eye n 

Every voice n

Every AURA 

Drag me to ma dearest beautiful LIES

N They hit me in ma sleep

They whisper like Angels n 

They SCREAM like Hell

They torn ma brain cells apart

I feel so scared n 

I feel blown up n

I feel I m DEAD

Oh Beautiful Dearest LIES🖤

Oh ma Dearest n most Beautiful LIES🖤 in ma head

R U only the beautiful LIES?

Can U ever come Alive ma dearest LIES?

N let me be in Ur arms?

Or can U just leave me forever? 

N let me just be MYSELF?

I m so tired

I m so scared

M drowning deeper 

N deeper n deeper n deeper...

M running out to end

To end n to end n to end...

Don't U ever see?

Don't U ever feel?

Oh Beautiful Dearest LIES🖤

Oh ma Dearest n most Beautiful LIES🖤 in ma head...




 

Sunday, January 24, 2021

মাঝ রাত্তিরে

মাঝ রাত্তিরে মন ভেবে বলে

কিছু তো ভুল হয়েছে

অবুঝ পৃথিবী কি গভীর কালো

না জেনে বৈরী হয়েছে


যে জীবন তুমি চেয়েছিলে 

সে আজ হারিয়ে গেছে


শূন্যতায় হাত বাড়িয়ে

যে বিমূর্ত চেতনাকে 

ফিরে পেতে চাই

ফিরে আসে না কিছুতেই

ফিরে আসে না সময়


আমার স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায়

আমার গল্পগুলো থেমে যায়

ফেরে না সে প্রেম

ফেরে না অনুভুতি


নিথর স্তব্ধতায় দৃষ্টি থেমে যায়

ভুলে ভরা সাদা দেয়ালে

বিষাদের রঙ অগভীর ক্ষীণ 

কাতর মিথ‍্যে খেয়ালে


যে জীবন দুচোখে চাই

অন্ধতায় হারিয়ে গেছে


আরো কোনো গভীর রেখা

প্রিয়তম স্মৃতির পাতায়

পড়ে নিতে চাই

ফিরে আসে না কিছুতেই

ফিরে আসে না সময়


আমার স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায়

আমার গল্পগুলো থেমে যায়

ফেরে না সে প্রেম

ফেরে না গভীরতা


(ঢাকা, ২০১৫)



মিষ্টি প্রেমের গান

মিষ্টি প্রেমের গান ছুঁড়ে দাও নর্দমায়

আস্তাকুঁড়ে ফেলে দাও প্রেমময় কবিতা


যা কিছু বলেছিলে মিথ‍্যের বরষা

ভুলতে চাই সবই তা


অতীতের সুখস্মৃতি হয়েছে অশ্রুধারা

সময় বয়ে গেছে বুঝতে পারিনি

আজ দেখি আমি দিশাহারা


যা কিছু বলেছিলে মিথ‍্যের বরষা

ভুলতে চাই সবই তা


মিষ্টি প্রেমের গান ছুঁড়ে দাও নর্দমায়

আস্তাকুঁড়ে ফেলে দাও প্রেমময় কবিতা


(ঢাকা, ২০১১)


Listen to Mishti Premer Gaan Chure Dao by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/ZimHU


সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে

How do I say the sky is wrong?

N there is no green dat I see

Its only a hollow where I exist

It hurts n takes to de end of time

To end to end to end...


সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে

সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে


এ আকাশ চোখের ভুল

এ সবুজ আমার নেই


সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে

সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে



Its not love but a repulsion 

Nobody is cryin or sayin da truth 

I feel a shame encompasses me

It hurts n brings everything down 

n down n down n down


সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে

সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে


তোমার প্রেমে অমোঘ ঘৃণা

ঘেরে উপহাসের কালো ধোঁয়া


সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে

সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে



সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে

সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে


সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে

সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে


(ঢাকা, ২০১৪)




মন ঘুড়ি

আহ আহ আহ আ আহ আহ আ আ আ আ আ আ


আমি থাকি আ আহ আমার ভাবনাতে

তুমি তো তুমি আমি নয়

সবুজ ঘুড়ি ও ওহ ওড়ে আকাশে

সে আমার মন যার নেই ভয়


দক্ষিণা হাওয়া করে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত...


দক্ষিণা হাওয়া করে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত...


ভাসায় মেঘে মেঘে এ এ এ


সময় পেলে দেখো জানলা থেকে

দূরের আকাশ


আহ আহ আহ আ আহ আহ আ আ আ আ আ আ


আমার লাটাই থাকে আ আহ আমার হাতে

মেনে নিতে রাজি যাই হয়

দেখি তোমায় ঘু উহ উহ ড়ির চোখ দিয়ে

(ধ‍্যাত) তুমি তো তুমি আমি নয়



দক্ষিণা হাওয়া করে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত...


দক্ষিণা হাওয়া করে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত আমাকে

ব‍্যস্ত...


ভাসায় মেঘে মেঘে এ এ এ


সময় পেলে দেখো জানলা থেকে

দূরের আকাশ


আহ আহ আহ আ আহ আহ আ আ আ আ আ আ

আহ আহ আহ আ আহ আহ আ আ আ আ আ আ


(ঢাকা, ২০১৩)







ঢাকা, ২৪/০১/২০২১

 


Saturday, January 23, 2021

ভেবে ভেবে কাটলো সময়

ভেবে ভেবে কাটলো সময়

আমি বলি আর ভেবো না

চাঁদ উঠেছে দেখবে চলো

আর কোনো কথা বলোনা


দক্ষিণা হাওয়া এসে গেয়ে যাবে গান

রুপোলি আলোর রেখা ছুঁয়ে দেবে প্রাণ

ছড়িয়ে দেবে মেঘেরা ডানা

আহা...


আলো আর আঁধারের আকাশ

মায়াজাল ছেঁড়া গেলো না

চোখে চোখে হলো যে কথা

মুখে কিছু বলা হলো না


দক্ষিণা হাওয়া এসে গেয়ে গেলো গান

রুপোলি আলোর রেখা ছুঁয়ে দিলো প্রাণ

ছড়িয়ে দিলো মেঘেরা ডানা

আহা...


(ঢাকা, ২০১২)


Listen to Bhebe Bhebe Katlo Shomoi by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/TYSoa


Superstore Thought

I la la la love to move around

the superstores


I stare to the goods n

Shuffle ma all thoughts

In a newer brain


So crippling n smashing 

N surfing n dazzling 


All the way I browse to fix

Ma global stand


(Dhaka, 2012) 


Listen to Super Store Thought by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/wSyi6

দেবদারু

এখনও কি উঁচু উঁচু 

দেবদারুগুলো আছে দাঁড়িয়ে?

পাতারা কি গান শোনে বাতাসে?

এখনও কি ভাবো তুমি হারাবে?

হেঁটে যাবে পাহাড়ি পথ ধরে?


তুমি আমি আজ মনে পড়ে কি?

মিশে গেছি আলো ছায়া সবুজে

হাতে হাত রেখেছি প্রথমবার 

দেবদারু হয়েছি অজান্তে


(ঢাকা, ২০১১)


Listen to Debdaru | দেবদারু by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/zSQB

সহজ জীবন

কতো কঠিন পথ পেরিয়ে এলে

এতো সহজে বলা যায়

আমি চাই এক সহজ জীবন


প্রতিদিন সূর্য ওঠার মতো 

নতুন ভোরের মতো

এক একটা সহজ দিন চাই


কতোবার ভেঙ্গে গেলে মন

এমন করে তাকে 

রাঙিয়ে তোলা যায়

কতো যে ঝরে গেলে মেঘ

এতো নীল আকাশ পাওয়া যায়


(ঢাকা, ২০১১)


Listen to Shahoj Jibon by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/oZNf2



 

নতুন গান

একটি নতুন গান

গাইতে এবার চাই

ঘর ছেড়েছি তাই

অজানা এ শহরের

অচেনা পথে পথে 

আমি চলেছি হেঁটে হেঁটে


ছেড়ে এসেছি প্রিয়জন চিরদিনের

একা একা একা

আরো আরো একা হতে চেয়েছি

কেউ নেই 

কিছু নেই কোথাও

ইচ্ছে করেই এতো নিঃস্ব হয়েছি

শব্দ নয়

সুর নয়

দূঃখগুলোকে একে একে সাজিয়ে

বুনতে চাই একটা নতুন গান

যা শুধু আমার

যা প্রিয়তম


(ঢাকা, ২০১১)




স্কেচ : আঠারো

আবারো অবেলায় অন্ধকারে শুয়ে আছো 😣?


"তো কি করবো?"


আজব তো! চা কফি খাও। গান শোন। নাচো।


"😶"


তোমায় বুঝলে সুখে থাকতে ভুতে কিলোয় 😠।


"গানগুলো সব হারিয়ে ফেললাম। ভুলেও গেলাম।"


ওমা! এ আবার কি কথা? খুঁজে দেখ। ঠিক পেয়ে যাবে।


"খুঁজেছি অনেক। কোত্থাও নেই। কোত্থাও না।"


আরে ভাল করে মন দিয়ে খোঁজ।


"আর খুঁজবো না। মনে করারও চেষ্টা করবো না। আমার কিচ্ছু চাইনা। কিচ্ছু লাগেনা আমার।"




স্কেচ : সতেরো

বাহ! আজ তো বেশ লক্ষ্মী মেয়ে লাগছে তোমাকে 😃।


"লক্ষ্মী সাজলাম 😌"


এ আবার কেমন কথা 🙄?


"হাতি দেখেছো? দেখানোর দাঁত একটা আর খাওয়ার দাঁত আরেকটা।"


আরে তাইতো 🤔! আগে ভেবে দেখিনি!


"হুম। তাই তো বলি ভাব, ভাব, ভাবা প্র‍্যাকটিস করো 😇।"


তা করবো। কিন্তু তোমার সাথে হাতির দাঁতের সম্পর্কই বা কি?


"নাহ। কোনো সম্পর্ক নেই। তোমাকে ভড়কে দিলাম একটু 😂।"


😠


"আরে বাবা রেগো না। আমি আছি। একই রকমই। তোমার প্রিয় স্ট্রিট ট্র‍্যাস 😘। যে ভালবাসে সত‍্যিকারের নিজেকে আর হুম, তোমাকেও।"






গোলাপ : তিন

অবুঝ গোলাপ বলে ছিঁড়ে নিতে তাকে

শুকিয়ে ঝরে যাবার আগে

যেন সে ফুটতে পারে বার বার 

পুরো শীত বসন্ত জুড়ে

আর অমর হতে পারে

অমর কবিতাদের আর স্মৃতিদের সাথে সাথে




Friday, January 22, 2021

Psycho

I can't believe what I did to U

I can't believe what I did to U


I was sleeping on my couch

My door was open for U

Dreaming of U


Its hard to confess all the truth

They burn every lovely thing we hold

Take me to the middle of the globe

So alone n without U


I can't believe what I did to U

I can't believe what I did to U


I was driving to the home

My eyes were flashing like the hell

Thinking of you


Its hard to confess all the truth

They burn every lovely thing we hold

Take me to the middle of the globe 

So alone n without U


I can't believe what I did to U

I can't believe what I did to U


(Dhaka, 2012)


Listen to Psycho by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/DknCF






Thursday, January 21, 2021

অমর

জানি আমার আজ 

আর কেউ নেই তাই

আমিও কারো নই

একা একা তাই জাগি

রাত জাগে চারিপাশে

ছায়া হয়ে তাই 

আমিই শুধু রই


ঘর ছাড়া কেউ আছো?

ভালোবেসে হেরেছো

আকাশকে ভেবেছো

চেতনার নীল ছাদ


ভাঙ্গা মন কেউ আছো?

স্বপ্ন দেখেছো

বহুদূর ছুটে গিয়েছো

পেলে কি মরিচীকা ফাঁদ


জানি হারাবার আজ

আর কিছু নেই তাই

বিবস হয়ে রই


জানলার ওপাশে

স্মৃতি কালো ধোঁয়ারা

আমাকে দিতে চায়

কান্নার ফোয়ারা


আমার সাদা দেয়াল

শুধুই সাদা দেয়াল

দৃষ্টি থেমে যায়

কেটে গেল কতো কাল


জানি অভিমান আর

আমাকে পোড়ায় না তাই

অমর হয়ে রই


(ঢাকা, ২০১৬)





Resurrection

Don't think dat I'll quit

I'm alone but not dat weak

I'll play, play n play to its end

I'll pay by ma every death de every cent

I've never learnt to ditch

Not human, m a BITCH

Tougher than ever U can think

Can run on fire widout a blink

By myself I'll take it all

I'll rise every time I fall

I know very well what's goin on

I stay solid just like I LOVE a ton

I can show ma skin true, sharp n bold

N ma weaknesses, ma vulnerable soul

It's a war belongs to Me n MySelf

U can't help but be amazed by Urself

U can HATE, it's the easiest way I see

Destroy me again n set me free

Ma way is hard n different, U'll never find

I'll keep LOVin U n stay prity n kind

I hv everything n everything of HEAVEN

Coz I trusted in LOVE, never been proven 

LOVE is in da sky U can't count it all

I never counted n I hv dem ALL

I'll live n forever I'll LIVE

N make U immortal wid all ma grieve

All ma struggles, wastages n tears

All ma loneliness, darkness n fears

I'll live n live FOREVER

Time will say who is the braver

Ma LOVE is mightier than ma time

Future will know its LOVE not crime






ঢাকা : ২১/০১/২০২১


 

দ্রষ্টারা

আমি ভালোবাসি তার অসহায় মন

আর অস্তায়মান সূর্যকে

ওরা বাঁধে গোধূলির গান

আর রাঙিয়ে দেয় প্রিয়তমার মুখ


আমি ভালবাসি তার একাগ্র আঙুল

আর নীল সাদা ঢেউগুলো

ওরা বলে পৃথিবী সুন্দর

আর বুনে যায় প্রিয়তমার চোখের জল


ওদের বোলো যেন ভয় না পায় একটুও

আর একবারও যেন না ভাবে যে

ওরা অমর হবে না 


https://youtu.be/rtOvBOTyX00







 

বিলাই বিড়ম্বনা



হে বিলাই, 

তুমি এতো গম্ভীর চিত্তে 

গাছে উঠিয়া বসিয়া আছো!

ইহাতে তোমার ব‍্যাপক মহিমা প্রকাশ পাইলেও

আমি এই আপাত হাসি দমন করিতে

একপ্রকার হিমশিম খাইতেছি।

যাই হোক, যখন ইচ্ছা হয় নামিও।

আমি তোমাকে উপদেশ দিবার স্পর্ধা করিবোনা।

উপরন্তু, তোমার এই গুরুগম্ভির উপস্থাপনাকে 

আমার শত কোটি প্রণাম।

যদিও এই অধম (স্বয়ং আমি) 

ক্ষতিকর, বিষধর কিংবা ভয়ংকর নহে,

তথাপি, এক্ষণে এই স্থান হইতে নিজো ব‍্যক্তিত্ব সহযোগে প্রস্থান করিতেছি।

নারী বলিয়া ভাবিও না 

আমার সত‍্য যুগের ন‍্যায় পশমে কদাপিও এলার্জি হয়না 

কিংবা আমি নিষ্কর্মা।

কিংবা ত্রেতা যুগের ন‍্যায় 

দূঃখে, কষ্টে, বিফলতায় দেহ ত‍্যাগিব।

কিংবা দাপর যুগের ন‍্যায় আমি চির অভাগী।

এই মহান কলি যুগে 

আমি হিপহপ ডান্স এবং নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত হইয়া 

সত‍্যি বলিতে দম ফেলিবার ফুসরত পাইতেছি না।



Wednesday, January 20, 2021

সূচনা সংগীত

পাহাড়ে মেঘ জমেছে

ভিজিয়ে দিল এ ভোরের বেলা

বাহারি ফুল ফুটেছে

সাজিয়ে দিল এ রঙের মেলা


চল যাই পাহাড়ি পথ ধরে

আকাশের আরো কাছে

ফিরবোনা ফিরবোনা আর ঘরে


পাখিরা ঝাঁক বেঁধেছে

গাছের ডালে ডালে সাধলো গলা

ঝিরিঝিরি মন্দ বাতাস

শিশির ঘাসে পা ফেলে চলা


চল যাই পাহাড়ি পথ ধরে

আকাশের আরো কাছে

ফিরবোনা ফিরবোনা আর ঘরে


(চট্টগ্রাম, ২০০১)


https://soundcloud.com/jdamfanpage/jdam-never-good-enough?ref=clipboard&p=a&c=0




প্রতীক্ষা

এমনই এক দিন

স্বপ্নের মতো একান্ত সত‍্য আমারই

এমনই এক দিন

স্বর্গের মতো বিশ্বাস আমারই


হয়তো সূর্য উঠবে না

তবু এতো আলো হবে ভালোবাসায়

আসবেই আমি জানি

তাই আজো বেঁচে আছি প্রতীক্ষায় 


যখন মমতাহীণ এই ত্বক 

যখন উষ্ণতাহীণ এই বুক

ভাবহীণ শৃঙ্খলাহীণ

ফুরিয়ে যায় বছরেরা


যখন লাবন‍্যহীণ এই মুখ 

যখন আদ্রতাহীণ এই ঠোঁট

কামহীণ বৈরাগ‍্যহীণ

বয়ে যাই অগস্ত‍্য দেহ


তখনো দুচোখে স্বপ্ন দেখি

বোকা বিশ্বাসে জেগে থাকি

পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে মিলবে সে দিন


হয়তো সূর্য উঠবে না

তবু এতো আলো হবে ভালোবাসায়

আসবেই আমি জানি

তাই আজো বেঁচে আছি প্রতীক্ষায়


যখন বন্ধুহীণ এ শহর

যখন স্বজনহীণ এই দেশ

দলহীণ উচ্ছাসহীণ

দিন কাটে একা একা


যখন শিল্পহীণ প্রতিবেশ

যখন সংগীতহীণ এই ঘর

প্রেমহীণ বাক‍্যহীণ

দন্ডিত ইঁটের দেয়াল


তখনো দুচোখে স্বপ্ন দেখি

বোকা বিশ্বাসে জেগে থাকি

পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে মিলবে সে দিন


হয়তো সূর্য উঠবে না

তবু এতো আলো হবে ভালোবাসায়

আসবেই আমি জানি

তাই আজো বেঁচে আছি প্রতীক্ষায়


(ঢাকা, ২০১৮)











গোলাপ : দুই

যখন বৃষ্টি নামে

গোলাপ কাঁদতে কাঁদতে মরেও যেতে পারে

গোলাপকে বেশি কাঁদিও না আচমকা বৃষ্টি

সে বড় স্পর্শকাতর

তার বুকে লুকোনো বিন্দু বিন্দু কষ্ট

আর কাঁটা দিয়ে ওকে ভুলেও বিচার কোরো না




Tuesday, January 19, 2021

Still a Girl

Baby I m quite a girl

For U

U know it for sure

I keep pushin the time

N I dont get tired I wish

I can't help lovein even when U hate me

I can't help lovein even when U forget my name

I come back to a point again n again through a time forever

I can't  get my appetite on a menu in my hand

I can't loose my eyes off U 

Even when I close my eyes

Since I saw U

U know n I hope U feel

I m quite a girl 

still

For U

I cant help callin U 'Babe' in my sleep

U know n U feel it for sure

U r in the mirror I look straight with a bare skin

U can see me for sure

I m pushin the time so hard

for U

forever

Though I hold broken tones in my feet

Hurts like sharp knives 

I keep believin in stars n silences that never lie

I m quite a girl still 

For U








স্কেচ : ষোল

কি গান শুনছো


"মিথ‍্যের আর সত‍্যের গান"


এ‍্যাঁ !!!


"হ‍্যাঁ!"


তুমি এতো হেঁয়ালি কি করে যে করো কে জানে? ইংরেজী গান শুনছো বললেই তো পারো।


"😎! Yesssssss! I m English! 😎" 


সবসময় মজাই করো। আবার দেখি মাঝেমাঝে ভ‍্যাভ‍্যা করে কাঁদোও। ডাক্তার দেখাও বুঝলে।


"OKAY😎! DOKAY😎!"


বাবারে বাবা! ভালো কথা বললেও পঁচাও। তা এই ইংরেজি গানে আবার কিসের সত‍্য মিথ‍্যা খুঁজে পেলে?


"না শুধু ইংরেজি গানে না, সব ভাষার গানেই, যেমন ধরো, ভালবাসার মানুষকে "Perfect" মনে হতে পারে, হয়তো নাও হতে পারে। আবার ধরো ভালোবাসার মানুষ বাড়িতে এলে আঙিনায় ফুল ফুটতে পারে সাথে ঝুম বৃষ্টিও নামতে পারে কিন্তু উল্টোটাও তো হতে পারে!"


https://soundcloud.app.goo.gl/Hgp7U







BELIEVE IT

Doubt on me?

But don't dare to doubt bout my LO🖤E

M not perfect 

But my LO🖤E is the purest from heaven


BELIEVE IT


Things of heaven don't belong to nonbelievers


https://soundcloud.app.goo.gl/KG4Cp




Monday, January 18, 2021

JUSTICE

HE gave me a BlindFold

And I kept PRACTICIN

Its ten steps to bath

Twenty steps to kitchen

Twelve steps to roses

I kept PRACTICIN n PRACTICIN n PRACTICIN...

My nose learnt how does everything smell

My fingures learnt to feel every detail

My ears learnt to understand every tone n every distance

I learnt how to keep my skin smooth n fragrant 

I kept PRACTICIN n PRACTICIN n PRACTICIN...

I learnt to follow every beat to dance

I learnt to sense every move in bed

Even I learnt to take charge on

HE untied my hairs 

HE torned my skirt

HE scratched my sleeves off

I kept dancin

I kept me n HIM Warm n CRAZY

I kept sensin my legs, my arms, my ass, my boobs

I shouldn't miss a beat

I should keep dancin

I hold a sword

I will bring JUSTICE


Listen to JUStICE by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/emVFf


Listen to Beautiful Girlz by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/gnsgM





Lets not PLAY tonight

Hey DUDE!!!

Lets not PLAY tonight


(বরং) চোখে রাখো চোখ

(চলো) বসে কথা হোক

(তোমার বে)হিসেবি সহজ টাকা

(আজ) চিন্তায় পড়ুক ঢাকা

No Chill No LongDrive

DUDE!!!

Lets not PLAY tonight


তোমার অগভীর চোখে মনে

আমি হয়ে গেছি সস্তা

তোমার চতুর শব্দজালে

বিপজ্জনক ইনবক্সটা

আমার নগ্ন ছবি তোমার

আনন্দ হলো শুধু

আমার বিশ্বাস ভালবাসায়

তোমার খেলাই জেতা হোক


(তাই আজ) চোখে রাখো চোখ

(চলো) বসে কথা হোক

(তোমার বে)হিসেবি সহজ টাকা

(আজ) চিন্তায় পড়ুক ঢাকা

No Chill No LongDrive

DUDE!!!

Lets not PLAY tonight


তোমার SoCalled "BestFriends"

আমার SoCalled "Secrets" জানে

তোমার শত কোটির Business

করে অন‍্যরকম মানে

তোমার কালো অবচেতনায়

অপরাধী বাস করে

আমার লজ্জা অপমানে

তার আজ মৃত‍্যুদন্ড হোক


(তাই আজ) চোখে রাখো চোখ

(চলো) বসে কথা হোক

(তোমার বে)হিসেবি সহজ টাকা

(আজ) চিন্তায় পড়ুক ঢাকা

No Chill No LongDrive

DUDE!!!

Lets not PLAY tonight


তোমার আকাশ দেখা হয় কি

Browsing, Sexting করার ফাঁকে?

তোমার সেই যে কোমল হৃদয়

আজ কি অন‍্য কোথাও থাকে?

তোমার "JustFUNN" এর মাঝে

আমার জীবন মিশে থাকে

আমার উত্তপ্ত নিঃশ্বাসে

তোমার পূণঃজন্ম হোক


(তাই আজ) চোখে রাখো চোখ

(চলো) বসে কথা হোক

(তোমার বে)হিসেবি সহজ টাকা

(আজ) চিন্তায় পড়ুক ঢাকা

(তাই আজ) চোখে রাখো চোখ

(চলো) বসে কথা হোক

(তোমার বে)হিসেবি সহজ টাকা

(আজ) চিন্তায় পড়ুক ঢাকা

No Chill No LongDrive

DUDE!!!

Lets not PLAY tonight


(Dhaka, 2018)


Listen to shona Meye Tumi Bhoi Peona by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/Rq76t








গোলাপ : এক













গোলাপকে জিজ্ঞেস কোরোনা 

সে কার জন‍্য ফুটেছে

যদি সত‍্যি নিষ্পাপ ভালোবাসতে পারো

তবে সে জন্মে জন্মে শুধুই তোমার

Sunday, January 17, 2021

স্কেচ : পনেরো

চেহারাটা আয়নায় দেখেছো? পুরো ঠুঁটো জগন্নাথের মত দেখাচ্ছে


"😁"


আবার বেহায়ার মত হাসছো?


"ঠুঁটো হলেও, জগন্নাথ তো! 😁"


বুঝিনা বাবা! তুমি যে একটা মেয়ে তাও কি ভুলে গেছ?


"চেয়েছিলাম। কিন্তু উপায় আছে? সবার মত, এই তো, তুমিও মনে করিয়ে দাও।"


জমানো টাকা সব তো শেষ করে ফেললে। এবার কি করবে?


"কি আর করবো? আবার জমাবো। আমার অনেক ধ‍ৈর্য‍্য 😁"


আরও কতোদিন লাগবে জানো? নাকি তুমি সময়ের হিসেবটাও ভুলে গেছ? আর কি জানি কি মহা মূল‍্যবান কিনবে বলছিলে?


"তা হয়তো ঠিকই। সময়ের হিসেবটা আসলেই ভীষণ গোলমেলে ঠেকছে। দাঁড়াও আবার একটু হিসেব করে দেখি...শূণ‍্য, চার, পাঁচ, সাত, দশ, চৌদ্দো, ষোল...আঠারো...বিশ..."


আরে থামো থামো। যত্তসব আহাম্মকি ফালতু হিসেব তোমার! 


"🤓"


তা কি কিনবে তা কিন্তু এখনো বলোনি। যদি বলতে তবে হয়তো কত দাম হতে পারে তা খোঁজ করে দেখতাম আর হিসেবেও সাহায‍্য করতাম। তোমার হিসেবের যা ছিরি দেখছি!


"নাহ! অতোও ভেবোনা। দামটা অনেক বেশিই আর যত দিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে। তাও দেখো একদিন ঠিক কিনে নেব।"


আরে বাবা! জিনিসটা কি তা তো বলো!


"নতুন কিছুনা। আমি কিনবো 'ঘৃণা'ই। এক আকাশ আর এক সমুদ্র জমে থাকা বরফ শীতল 'ঘৃণা'!"


Listen to Super Store Thought by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/wSyi6






সুমনকে

ক্ষমা কোরো সুমন, আমি ছোটই ছিলাম

তাই বুঝতে পারিনি তখন তোমার এ গান

বড়রা শুনতো যখন, আমি মিছি মিছি

আনমনা শুধু এক কানই পাততাম

বহু দিন চলে গেছে জোয়ারে ভীষণ

উত্তাল নাচে গানে অস্থির মন

ভেবেই দেখিনি ছিলে তুমি ঠিক

যখন আঁকতাম বসে কত কত রঙে ছবি

ভাবতাম যত এলোপাথাড়ি সব

আর ভুলে থাকতাম ভেতরের বাউল কবি

দিনগুলো কাটতো বিভৎস মজায়

চিন্তাহীন এক আয়েসে সোনার খাঁচায়

কিন্তু আজ জীবন যখন ছিন্নভিন্ন প্রশ্ন বানে

কান পেতে শুনি আমারই গল্প

বলে গেছ, বলে যাও তুমি তোমার গানে

আমার দুচোখ দেখি রাখা ছিল, আছে তোমার দুচোখে

তোমার মাথায় যেন আমার অস্তিত্বই ভর করে থাকে

আমার শহর আর তোমার শহর দেখি

বেশি দূরে নয়, যেন খুবই কাছে

জানোতো সুমন, আমি বাংলার এক অচ্ছুত মেয়ে

তা বুঝতেই লেগে গেছে অনেকটা সময়

আমার লড়াইটা শুধুই বন্ধ ঘরে

নিজেরই সাথে একা একা হয়

আমি চিল করি পাঁচতারা বিচে

কিংবা রুফটপে আকাশের নিচে

দল বেঁধে ঘুরি কিংবা গাড়িতে একা

তবু জানো, শহরটা ঠিক দিয়ে যায় দেখা

রাস্তার ধুলো, রাস্তার মানুষ

আলোর ফোয়ারা, রঙিন ফানুস

কালো শ্রমিক আর রিক্সাওয়ালা

চকচকে মল, আকাশ ফেরিওলা

ছেলেমেয়েগুলো হাতে থালা, হাতে ফুল 

দামী নেশাতে কোন চোখেরই ভুল

ফুটপাতে বসে থাকা অন্ধ গায়ক

হার্টথ্রব ডিজে কিংবা বিদেশি নায়ক

কাজের খালা, গার্মেন্টস কর্মী

ইন্সটা সেলেব, ফ্লিক্সক্রাশ ভিন্নধর্মী

ভবঘুরে, নেশাখোর, ফেরারি পাগল

এ শহরে মেলে খাঁটি, লাগেনা গুগল

মারামারি, খুনোখুনি, পোড়ার মিছিল

লাইভে চলে, শুট নয়, ন‍্যাচারাল স্কিল

ঘরে, বাসে, ক্লাসরুমে, গলিতে, খোলা মাঠে

রমরমা পর্ণ চিৎকার ও শিৎকারে মাতে

বন্ধুরা বন্ধুত্ব নয়, করে বিজনেস ডিল

লকলকে জিভে তাকায় প্রেমিকের বিল

চেনা অচেনা এত মানুষ, এত আয়োজন, এতো উৎসব

আর্টিফিশিয়াল ডাভাইস আর মোহনীয় অ‍্যাপ সব

অধিকার আজো, জানো, করে নেয় ক্ষমতা ও টাকা

শহরে বিকে যায়, মরে যায়, তোমার মতোই আমারো বেঁচে থাকা

জানো সুমন, দিন বদলেছে অনেকটাই ঠিক কিন্তু মেলেনি সমতাই

চারিদিকে রোল থামেনি, আজো কেঁদে কেঁদে বলে "তোমাকে চাই... তোমাকে চাই..."

গোলাপের, মানুষের, জীবনের, স্বপ্নের যুদ্ধটা একগুঁয়ে চলছেই

অন‍্য সময়ে অন‍্য রকম, জানোতো?

আমাকেও কাঁদায় এক পাগলা সানাই

তোমার হাতে পুরোনো গিটার, পুরোনো সিন্থেসাইজার

আমার আছে এইচ ডি নেক্সট জেনারেশান অর্গানাইজার

তুমি এক পুরোনো বিবেক যেন হেঁটে যাওয়া গানওলা

আমি হিট মিক্স বুঝি, মগজে ইম্প্রেশান খুঁজি, খুঁজি চাবি, সাথে খুঁজি তালা

বুকে থাকে রবীন্দ্র, নজরুল, ভজন, খেয়াল,  যা যা সব ধ্রপদী

কিন্তু আমি বলে যেতে চাই একান্তই আমার কোন চির বেমানান অনুভূতিই

আমি শুধু হাতড়াই, খুঁজে ফিরি নতুন শব্দ, নতুন সুর

সব ফেলে আজকাল হেঁটেও যাই বহুদূর

কিংবা ভাবনাতেই ডুবে যাই আর মিলেমিশে যাই

কেঁদে ফেলি কখনো গান শুনে, গান গেয়ে, অযথাই

অন্ধকার আর আলোর তফাত হয়ে যায় গোলমেলে 

চুপচাপ ভেবে যাই, আরো আরো ক্ষয়ে যাই গিটারকে ফেলে

তাই সূর্যকে দেখতে, বৃষ্টিতে ভিজতে আজকাল ভয় করে

আমার গান ভাবি হয়তো শুনবেনা কেউ অর্থহীন মনে করে

বলোতো সুমন, তোমার হাতেও কি থাকে একটা ছোট্ট আলো ঠিক এক বাবারই মতোন?

মৃত‍্যুময় বেঁচে থাকার শহরে, পৃথিবীতে লাগে ধ্বংসের মাতন যখন?

গেয়ে যাও, বলে যাও সত‍্য, মিথ‍্যা, সঠিক ও ভুল

রেগে যাও, ক্ষেপে যাও, শান্তও হয়ে থাকো

পর্বত চুড়ায় ওঠো, সাগরেরও স্রোতে ভাসো

তুমিও কি সেই স্বর যে বোলায় মাথায় কিছু আদুরে আঙুল?

আমার এপার থেকে দেখি সুমন তোমার সময়

(আর ভাবি)

তুমিই কি আমি নয় কিংবা আমিই কি তুমি নয়?


https://youtu.be/jcmGZDjuibM










ঢাকা, ১৭/০১/২০২১

 


টুকরো কথা : কে আছো???

ওরা আমাকে সারাক্ষণ বলে "চুপ করো! চুপ করো!"। আমি যখন জিজ্ঞেস করি "কেন চুপ করবো? আমি কি মিথ‍্যা বলছি?", তখন ওরা বলে "না। মিথ‍্যা বলছো না। কিন্তু তুমি ভুল বলছো"।


এই ঘরের অন্ধকারে আরো গভীর অন্ধকারের গহীনে এই আমি বসে রইলাম।


কে আছো???


আমাকে শেখাও সত‍্য এবং সঠিকের প্রভেদ।

আমাকে শেখাও মিথ‍্যা আর ভুলের প্রভেদ।


একটা নিস্তব্ধ স্তব্ধ জড় মৃত প্রতিবাদ বুকে নিয়ে এই আমি বসে রইলাম।


কে আছো???


আমাকে নাড়াও।


একটা স্নায়বিক ধুনে রাতদিন এই আমি নেচে যাচ্ছি আর গলাও মেলাচ্ছি।


কে আছো???


আমাকে থামাও।



https://soundcloud.app.goo.gl/8a5KA





BABE, I FEEL SORRY FOR U

Baby oh my oh

Baby oh my oh

I feel pity on U, I'm SORRY

U carry a legacy, I fell SORRY

Baby oh my oh

Baby oh my oh


U wake up early morning

Take a bath n brush Ur teeth

Eat Ur breakfast

Drive Ur car fast

Go to the office n 

Chit chat in an amber

U r such a good babe

Eat launch n dinner

Put on Ur gym suit

Pose for a photo shoot

Never take a crush on head

Listen to Ur mom n dad

U keep a eye on Ur girl

Shop her precious ocean parl

U love like a prince n

Dance like a gentleman 

U hv Ur buddies around

U float over cheap ground

U chill U fly on

U deserve to be tampon

U never think about a hell

U sleep like an angel


Baby oh my oh

Baby oh my oh

I feel pity on U, I'm SORRY

U carry a legacy, I fell SORRY

Baby oh my oh

Baby oh my oh







আবোলতাবোল : দশ

আবোল তাবোল

আবোল তাবোল

খোকার মুখে বোল

বাবার পাতে ঝোল

চকচকে আঁচল

টাকায় টাকায় ফোল

তক্তপোষেই কোল

দিতে হবে টোল

চল করি চল

ফেসবুকে ট্রল

রোগীর নাকে নল

জোয়ান হাতে বল

ফর্সা পায়ের মল

বুক পকেটে তোল

বল কানাই বল

কি আমার রোল

এবার জামা খোল

পাজামাটাও খোল

উচ্ছে পটল

ইলিশ রুই শোল

বাজার হট্টগোল

নদীর ওপর পোল

নালার ওপর পোল

কি পাব তাই বল

কি নিবি তাই বল

ফাটাস না ভাই ঢোল

রোল করিসনা রোল

দারুন হল বোল

ব‍্যাটিংও হবে বল?

বন্ধ করে ছল

কাজের কথা বল

পানি ছাড়া কল

প্রডাক্ট ছাড়া কল

তল খুঁজে দেখ তল

কৃষক গেল তল

বউয়ের চোখে জল

ঝিয়ের চোখে জল

কথাই অনর্গল

যা টিভিটা খোল

ব‍্যাজায় গন্ডগোল

স্ববিরোধী দল

ঝিমায় সিনেমা হল

সূর্য অস্তাচল

তবু তানের বোল

মুখটা করে গোল

গলাটাকে খোল

দোল দিয়ে যা দোল

কিংবা ফাঁসি ঝোল

ঢেকুরে অম্বল

তাও খেয়ে যা ওল

দিতেই হবে গোল

পৌঁছতে হবে গোল

যতই করিস রোল

পৃথিবীটা গোল

আবোল তাবোল

আবোল তাবোল




Saturday, January 16, 2021

স্কেচ : চৌদ্দো

কি আঁকছো?


"ঘুম"


তো এমন বিচ্ছিরি রঙটা বানালে কেন?


"অনেকগুলো রঙ মেশাতে মেশাতে কখন যে বিচ্ছিরি হয়ে গেল বুঝতে পারিনি।"


অতো রঙ একসাথে গুলতেই বা গেলে কেন? তুমি তো ঠিক জান ঘুমের রঙ। জানো না?


"হুম। জানি। কিন্ত ওরা সবাই মিলে বললো এটা মেশাও। ওটা মেশাও। ওটাও একটু দাও। আরও দাও।"


ওরা? কারা?


"ওইতো ওরা। যারা সারাদিন সারারাত অদ্ভুত সব কথা বলতেই থাকে বলতেই থাকে অদ্ভুত সব গলায়। আর রাত দুপুর হলেই শুরু করে কি সব অন‍্য ভাষায় ফিসফিস।"


এতো কান দিও না। লম্বা একটা ঘুম দাও বরং। আগে যেমন ঘুমোতে।


"ঘুমোতেই তো চাই। কিন্তু শয়তান শ‍্যালডন এসে কানের কাছে চ‍্যাঁচায় 'বাজিঙ্গা...' "


https://youtu.be/nYh-n7EOtMA






ঢাকা : ১৬/০১/২০২১

 


Friday, January 15, 2021

আঁশটেরা

ছটফটে মোরগেরা যেখানে নাইতে যায়

পাহাড়গুলো নেমেছে খাড়া হয়ে ওখানে

ওরা ঝাঁপায় সোজা দেহটাকেই তাক করে

একটা অকারন বিজয়ের আনন্দে কিছুক্ষণ হাহা করে হাসে, ডুব দেয় লম্বা সময় আর বোঝায় কত দম আছে একে অপরকে

সাঁতরে যায় একটু দূরেই

তারপর ঠিক ফিরে আসে আর লুফে নেয় যত পারে বিয়ারের ক‍্যান

শরীর গরম করে নেয় আরো লম্বা সময় মাস্তি করবে বলে

এতো সময়ে ওদের শরীরেও জন্মে আঁশটে গন্ধ

আর দু একজন ততোক্ষণে তো উদাস হতেই পারে পড়তে থাকা সূর্যটাকে দেখতে দেখতে

আর হয়তো ভাবতেও পারে কোন নচ্ছার ভাঙ্গারি মেয়ের কথা

একটু উদার হলে হয়তো সে ঠিক নিত এই আঁশটে স্বাদটুকু আজ


https://soundcloud.app.goo.gl/ZCcy





গল্প : নয় : ব‍্যাগেজ

আমার বাসায় গত ষোল বছর ধরে যত গৃহ সহকারিরা এসেছে কিংবা থেকেছে ওদের সাথে আমার যে খুব একটা সবসময় আলাপচারিতা হয়েছে কিংবা হয় এমনটা নয়। ওরা কাজকর্ম করে চলে যায়, আর যারা থাকে তাদের কাজ শেষে এই ঘরের মধ‍্যে পুরোই স্বাধীনতা থাকে যেন তারা তাদের অবকাশটুকু যতটুকু সম্ভব নিজের পছন্দ মতোই কাটাতে পারে। TV আছে, WiFi আছে, ওরা তা নিয়ে সময় পার করতে পারে বা চাইলে ঘুমিয়েও পড়তে পারে কিংবা যদি কোন স্বজন বা বন্ধুবান্ধব থাকে তাদের সাথে কিংবা একলাও বাইরে ঘুরতে যেতে পারে। তবে একবার একটা ঝামেলা হয়ে যাওয়াতে নিচের সিকিউরিটি গার্ডদের এই বেড়াতে যাওয়া নিয়ে একটু আপত্তি আছে আর তাছাড়া আমারও এখন একটু অস্বস্তিই হয়। একটা মেয়ে এসেছিল কবছর আগে, আমার চাইতে বয়সে কিছু ছোট, দেখতেও মন্দ না। আসবার পরই দেখা গেল তার জলবসন্ত। ডাক্তারের কাছে নিলাম, ওষুধপত্তর দিল তারপর পাঁচছয় দিন সে বিশ্রামেই ছিল আর শুশ্রূষাও পেয়েছিল। সুস্থ হয়ে উঠল মেয়েটা, কাজে যোগ দিল, দেখলাম কাজেকর্মে ভালই। মনে হলো সেও আমাকে পছন্দই করছে, বিশেষ করে আমি যখন লম্বা কাঁচের গ্লাসে সুদৃশ্য ফালুদা তৈরী করলাম আর ওকেও দিলাম। দু'তিন দিন গেল ও সুস্থ হবার পর, তারপর এক বিকেলে ও বললো এক বোনের সাথে দেখা করতে যাবে। যাবার সময় যখন দরজাটা বন্ধ করতে গেলাম মনে হয়েছিল ও যেন অন‍্য কারো কাছে যাচ্ছে বা হয়তো ডেট করতে যাচ্ছে। ও বেশ সেজেছিল আর চোখে মুখে একটা অন‍্য কিছুই ছিল। ভাবলাম, যাকগে, ওর ব‍্যক্তিগত জীবন তো একটা আছে, ওটা নিয়ে আমি কেন ভাবতে যাব? কিন্তু সমস‍্যা হল, মেয়েটা আর ফিরলো না। ফোনও সুইচড অফ। আমি একলা মানুষ তখন ঘরে, ভাবলাম এতো ভাল বিপদ হলো। কোথায় গেছে, কোন বিপদে পড়েছে কি না কে জানে? ওকে যে এনেছে সেই খালাও কিছু বলতে পারলো না। সিকিউরিটির লোকেদের যে সর্দার সে কি না কি বুঝে বললো "গরীব মাইনসিরে বেশি দরদ দেখাইলে ফরে হ‍্যারার মাতা খারাপ হইয়া যায়। হেষে দিশ কুল না ফাইয়া এরম কান্ড করে। হ‍্যায় নিশ্চিত কোনো ফোলার খফফরে ফইড়া ভাগছে।" তা কি আর করব, কিছুতো আর করার নেই, যাই হোকনা কেন শুধু আশা রাখলাম যেন কোন বিপদ না হয় মেয়েটার। এই শহরটা একলা একটা মেয়ের জন‍্য মোটেও নিরাপদ নয়। আমি তখন চাকরি করতাম তাই সেদিকেই মন দিলাম আর সাথে নতুন লোক খুঁজতেও শুরু করলাম। সপ্তাহ খানেক পর একদিন মেয়েটা ফোন করলো। সে যেন নিচুস্বরে কথা বলছিল আর জানালো যে একটা ঝামেলা হয়ে যাওয়াতে ওকে গ্রামে চলে যেতে হয়েছে। কিন্তু সে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে আর কাজেও যোগ দেবে। আমি বল্লাম যে ভাই, তোমার কাজে যোগ দেবার প্রয়োজন নেই, তুমি বরং যত তাড়াতাড়ি পার এসে তোমার ব‍্যাগট‍্যাগ যা আছে নিয়ে যাও। এরপর আরো অনেক দিন কেটে গেল। নতুন লোক কাজে আসলো। ওর রেখে যাওয়া কালো রঙের বেশ বড় ব‍্যাগটা আমি ওপরের স্টোরেজে তুলে রাখলাম। বছর দুয়েকেরও বেশি কেটে গেল তারপর। স্টোরেজে আর জায়গা হচ্ছিল না তাই ওর ব‍্যাগটা শেষ পর্যন্ত প্রতিদিনকার ময়লা যারা নিতে আসে ওদের দিয়ে দিলাম। এর আরও হয়তো বছর খানেক পরে একদিন সন্ধ‍্যেবেলা কলিংবেল বাজলে "কে" জিজ্ঞিস করতেই ও পাশ থেকে একটা মেয়ে বললো যে সে হল সেই মেয়েটা যে এখানে কাজ করতো আর একটা ব‍্যাগ রেখে গিয়েছিল। আজ সে ব‍্যাগটা নিয়ে যেতে এসেছে। আমি দরজার হোল দিয়ে ভাল করে দেখতেই মনে হল আরে হ‍্যাঁ এ তো সেই মেয়েটাই! আমি দরজা খুললাম না বরং বললাম ওই ব‍্যাগটা আমি ফেলে দিয়েছি, সে কিভাবে এতো সাহস পেল এতো কান্ড করে এতোদিন পর ব‍্যাগটা ফেরত চাইতে এলো! আর সিকিউরিটিই বা কি করে ওকে ঢুকতে দিল। সে জানালো যে সে এই কমপ্লেক্সেই এগারো তলার একটা ফ্ল‍্যাটে কাজ নিয়েছে। আমি ওকে বল্লাম ও যেন আর কোনদিন আমাকে বিরক্ত করতে না আসে। মেয়েটা চলে গেল কিন্তু তারপরও আমার মেজাজ ঠিক হল না। আমি ইন্টারকমে সিকিউরিটি হেডকে বল্লাম, যে মেয়েটা একবার একটা বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে আবার কি করে এই কমপ্লেক্সেরই অন‍্য একটা ফ্ল‍্যাটে কাজ পেল? সিকিউরিটির লোকেরা ওই এগারো তলার ফ্ল‍্যাটে গিয়ে দেখে নিশ্চিত হলো যে আসলেই এ হলো সেই পালিয়ে যাওয়া মেয়েটাই আর ওই ফ্ল‍্যাটের  কর্ত্রীকে পুরো ঘটনাটা সবিস্তারে জানালো। পরে আমার কাছে এসেও দূঃখ প্রকাশ করলো আর বললো মেয়েটা নিশ্চই মুখটুখ ঢেকে এখানে ঢুকে পড়েছে, এরপর থেকে ওরা আরও সাবধান হবে। 


মেয়েটার কাজটা চলে গিয়েছিল কি না আমি আর তার খবর রাখিনি। এতো সময় কোথায়? বরং এতোদিন পর এই বিষয়টা যে আবার উঠলো আর তাতে যে আমার কিছু সময় নষ্ট হল তা ভেবে বিরক্ত লেগেছিল। তবে পরে একদিন হয়তো আনমনে হঠাৎই ভেবেছিলাম, ও যে পালিয়ে গিয়েছিল, কার সাথে পালিয়েছিল বা আদৌ পালিয়েছিল কি না আর তারপর কি হয়েছিল? ফিরে আসবে বলে আবার কোথায় লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিল কিংবা এতো বছর পর ব‍্যাগটাই বা খুঁজতে এলো কেন? আর কি ই বা ছিল ওই ব‍্যাগটায়? 






১৫/০১/২০২১

একটা বনের ধারে একটা ছোটখাট বেশ পুরোনো দোতলা একটা বাড়ি। দোতলার টানা বারান্দাটাই নেমে গেছে ডানদিকে ধাপে ধাপে সিঁড়ি হয়ে বাড়ির পেছন দিকে। খোলা বারান্দা। কোন গ্রিল নেই। রেলিংটা কোমর অবধি মলিন সাদা রঙের, তার ওপরের দিকটায় সিমেন্টের ছাইরঙা গোলানো ধার। পুরোনো অনেক বাড়িতেই দেখা যায়, বিশেষ করে ছাদে। বারান্দাটার পর থেকেই বনটা শুরু। আর ক্রমশ ঘন গহীন হয়ে উঠেছে। এতো লতা গাছ উঠে গেছে চারদিকে। বহু প্রাচীন উঁচু উঁচু গাছগুলো তো ছেয়ে ফেলেছেই, সেই সাথে বাড়িটাকেও ঘিরে ফেলতে চাইছে। এতো সবুজ এত সবুজ আর যত দূরে চোখ যাচ্ছে আরো ঘন সবুজ হয়ে উঠছে। ওপরে আকাশ অনেক বেশি স্বচ্ছ আর নীল। পুরো জায়গাটা এত শান্ত শীতল আর ভেজা ভেজা, আবেশে চোখ বন্ধ হয়ে যেতে চায়। বাতাস এতো নির্মল হতে পারে আগে আমার জানাই ছিল না। অনেক পাখিরা নিশ্চই আশেপাশেই আছে, সারাক্ষণই মিষ্টি কিছু চেনা অচেনা ডাক কানে আসছে। এই বারান্দাতেই দাঁড়িয়ে বাবা বনটাকে দেখছিল। সেই গাঢ় ছাই রঙের ফরমাল প‍্যান্ট একটা সাদা রঙের সরু নীল স্ট্রাইপের হাফহাতা শার্ট ইন করে পরা, কালো বেল্টটাও ছিল। জুতো পরে ছিল কি না খেয়াল করিনি। তবে পেছন থেকেও দেখে বুঝেছিলাম ঠোঁটে সেই মৃদু হাসিটা লেগে ছিল। পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই চমকে উঠলাম একটু। বল্লাম "বাবা, তোমার চশমা কোথায়?" বাবা বললো "চশমা লাগেনা, আমি এখন সব দেখতে পাই।" তারপর আমরা দুজনই আবার বনটাকে দেখতে লাগলাম। বাবা চলে যাবার পর এ ছিল আমার প্রথম স্বপ্নে বাবাকে দেখা। এখনো যেন চোখের সামনেই রয়েছে দৃশ‍্যটা। এরপর আরো বেশ কবার দেখেছি, ওগুলোও স্পষ্ট মনে আছে। শেষবার যখন দেখলাম, গত মাসেই বোধ হয়, বাবা খুব রেগে ছিল আর চারদিকে তাকাতে তাকাতে বলেছিল "এখানে আর থাকতে হবে না। চলো আমার সাথে।"


বাবা তোমার মনে আছে, আমরা শপিং করে ফিরতাম তারপর এক এক করে তোমাকে সব দেখাতাম আর ভান করতাম যেন রুপার জন‍্য কিচ্ছু কেনা হয়নি বা কিনতে ভুলেই গেছি এমন। তুমি মন খারাপ করতে, রাগ করতে। কখনো কখনো তুমি প্রথমেই জিজ্ঞেস করতে "আগে বল আমার বউমার জন‍্য কি কিনছ?" জানো বাবা তোমার অমন কথা শুনে বা রাগ দেখে মজাই পেতাম। কোনদিন রুপাকে হিংসে করিনি। কিন্তু আজকাল রুপাকে খুব হিংসে হয় মাঝে মাঝে। মনে হয় তুমি রুপাকে নিয়ে গেলে তোমার কাছে, আমাকে নিয়ে গেলে না। জানো বাবা, যতো দুষ্টুমিই করি না কেন বা যত গোঁয়ার্তুমিই করি না কেন, আমি কিন্তু সত্যি সত‍্যি একটা লক্ষ্মী মেয়েই। তুমিতো জানোই। তুমিইতো সবচেয়ে বেশি জানতে বুঝতে আমাকে। হয়তো আমাদের কিছু বিশ্বাসের অমিল ছিল কিন্তু একদিন তুমিই তো অন‍্যদের বলেছিলে যে "হয়তো ও ই ঠিক, আমরা ভুল।" চলতি বিশ্বাসের চেয়ে সততার মূল‍্য তোমার কাছে অনেক বেশি ছিল। 


বাবা, তুমি জানতো না, আমি তোমাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করি? অনেক দিন হয়ে গেল অপেক্ষায় আছি সেদিনের পর থেকে।

Thursday, January 14, 2021

স্কেচ : তেরো

চোখ ফোলাটা কমলো? নাকি ডাক্তারের কাছেই যাবে?


"নাহ। দেখি ঠিক হয় কি না। আর ঠিক না হলেই বা কি?"


সে কি কথা? ঠিক না হলে মানে?


"আরে বাদ দাওতো, এতো ভাবার মতো কিছু হয়নি।

শোন, ভাবছি এই গোলাপটা পুরো ফুটলে ইসিরনকে  দেব।"


ইসিরনকে? হঠাৎ?


"হুম। ও Deserve করে, তাই।"


ও।


"আজকাল মনে হয় ও আমাকে ভালবেসে ফেলেছে।"


সে তো তোমাকে অনেকেই ভালবাসে। আর তুমি জানোও তা।


"হুম। সবাইকেই দেব একে একে। ইসিরনকে দিয়ে শুরুতো করি।"


আর ওকে দেবে না?


"হুম। একদিন ঠিক পেয়ে যাবে সেও, যদি পাওনা থাকে। একটা বুলবুলিকে ডেকে নেব, সে গান গাইবে গাছেদের কানে রাতভর। আর জানো তো, গোলাপ গাছ ফেরায়না দগ্ধ হৃদয়।"






Plugged Out

In a matrix we r in a search

Plugged in somethin impossible 

I could never ditch my strings

Know it

Coz U never asked ever for

Cryin n grievin in a web I scroll 

Its upside down n downside up

Time just moves me to any direction

But to Ur existence with an attraction

My heart is soft n

My skin still doesnt hv a cut n

My defence is weak

I tried harder n hardest I could

In my dark room accidentals hook the walls of desire

Blues are on blues

Blacks are on blacks

They are mightier than our time

If I take a train n never rinse on again 

All the blues will reach the sky n

All the blacks will reach the sky 

U see in Ur dreams

If I hv the courage ever

To take a train on me

The matrix may shift some blocks closer

"Life is a magic! My baby!"

U will whisper in the air passin through some broken bones

They will disappear then on then from the matrix

Bones never lie 

know it


https://youtu.be/HhoATZ1Imtw




ঢাকা ১৪/০১/২০২১

 


Wednesday, January 13, 2021

God, please get me a blind lover next time

God, please get me a blind lover next time

So that he could see the beauty of my soul

So that he could hold my hand for his life  at least once

So that he could sing a song only for my eyes on him


Its dark night outside and

I can smell the stars makin love

They never hide a secret for sake of life

And they make a vow before they die


God, please get me a blind lover next time

So that he could cry a darkness when I say 'I 🖤 U'

So that he could turn the world upside down in a moment

So that he could fly with my wings he believes in


Its dark like coal in my room

I can see my shadow is sittin right next to me

She never leaves me if I can't see a light

She hugs me when I'm fallin through


God, please get me a blind lover next time

So that he could follow my lead like my shadow

So that he could run on and run on a fire for me

So that he could kiss me in a heaven that nobody meets


Listen to God, Please get me a blind lover next time by Tahmina Aspired on #SoundCloud

https://soundcloud.app.goo.gl/geq9t


https://youtu.be/NiRj5m63oig






গল্প : আট : বুনন

বন‍্যার পানি যখন তাঁতির বাড়িতে প্রায় কোমর ছুঁইছুঁই তখন দুটো স্বামীস্ত্রী ব‍্যাঙ ঢুকে পড়ল ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ। শুধু ব‍্যাঙগুলো নয় কিছু কুঁচো মাছ, নানান জলের পোকাও ঢুকে পড়ল। তবু লোকে ধুয়ো তুলে গেয়ে চললো "তাঁতির বাড়ি ব‍্যাঙের বাসা"। তা ব‍্যাঙ দম্পতি ভাবলো এই বর্ষাটা এই বাড়িটার ভেতর আর আঙিনার গন্ডির মধ‍্যেই কাটিয়ে দেবে। অতো লোভ করে কাজ নেই, পরিমিত খাবার পেয়ে যাবে এখানে আর বেশ একটা রিসোর্ট রাসোর্ট পরিবেশে এতোদিনের ভুলে যাওয়া হানিমুনটা সেরে নেবে এখানেই। তারমধ‍্যে যদি কটা ছেলেপুলে হয়ে যায় তবে আরও ভাল, সোসাইটিতে একটু দাপটে স্বপরিবারে দল বেঁধে চলতে পারবে। চিন্তার তেমন কিছু নেই, এরা বাঙালি, সুপ্রাচীন কাল থেকে বুদ্ধের পূর্বাত্মাদের অনুগত, তাই মনে খুব দয়ামায়াও আছে আর ব‍্যাঙট‍্যাঙ খায় টায় না। তাছাড়া এই অজপাড়াগাঁয় ওইসব নচ্ছার বায়োলজির ছাত্রদেরও উৎপাতও নেই। এর মধ‍্যে আবার শাপে বর হল কারন তাঁতির বউটা ত‍্যাক্ত বিরক্ত হয়ে তাাঁতিকে আচ্ছামত ভিখিরি, ছোটলোক, কিপ্টে ইত‍্যাদি ইত‍্যাদি বলে গালমন্দ করে আর জীবনে ফিরবেনা বলে তার সমস্ত সম্পদ গুছিয়ে নিয়ে একটা নৌকো ডেকে বাপের বাড়ি চলে গেল। তাঁতি বেচারা কি আর করবে, ঘরের ভেতর প্রায় চার ফুট উঁচুতে বাঁধা মাচাটায় প্রথমে সারাদুপুর দ হয়ে মুখ ঝুলিয়ে বসে রইলো, তারপর ওই ঝোলা মুখ নিয়েই একটু আড়মোড়া ভেঙে মাচার ওপরেই দুমুঠো চাল আর একটা বড় মতো আলু চড়িয়ে দিল। ব‍্যাঙ দম্পতির খুব মন খারাপ হল তাঁতির এমন দশা দেখে। তারা একজন আরেকজনকে জড়িয়ে প্রতীজ্ঞা করলো যাই হয়ে যাক না কেন আমৃত‍্যু একসাথেই থাকবে, কোনদিন একে অন‍্যকে ছেড়ে চলে যাবেনা। 

এমনি করে করে পুরো একটা সপ্তাহই চলে গেল। মাঝে শুধু একদিন একটা কুঁচকুঁচে কালো ঢোঁড়া সাপ এসেছিল খাবারের খোঁজে, তখন ব‍্যাঙ দম্পতি মাচার ওপর একটা বেতের গোল চালুনির নিচে কোনরকমে গুঁটিশুঁটি মেরে লুকিয়ে ছিল। আর তেমন কোন সমস‍্যাই হয়নি এ কদিনে। পোকাগুলো যে বংশবিস্তারের মহোচ্ছব লাগিয়ে দিয়েছে, এমন চলতে থাকলে, আগামী চৌদ্দ জেনারেশানের অন্তত খাবারের অভাব হবে না। বেশ রাজার হালেই ওদের দিন কাটছে, সকাল হতেই বাইরে বেরিয়ে পড়ে সূর্যের আলোয় ঠান্ডা হাওয়ায় বুক ভরে শ্বাস নিয়ে বোঝার চেষ্টা করে চারদিক দেখে আর আনন্দিত হয় পানি নামার কোন লক্ষণ দেখতে না পেয়ে। বরং মনে হয় যেন একটু একটু বেড়ে চলেছে। সারাদিন থইথই পানির ওপর ঝাঁপাঝাঁপি করে, নানান রকম সাঁতারের আর লাফালাফির কসরত অনুশীলন করে কিংবা ভেসে থাকা কোন নারকেলের খোলের ওপর শুয়ে শুয়ে চোখ বুঁজে রোদ পোহায় ব‍্যাঙ দম্পতি আর মাঝে মাঝে গানও গেয়ে ওঠে আবেশে। খাওয়া দাওয়া তো আছেই, আর যাই হোক খাবারের অভাব এখানে ওদের নেই। আর রাত হলে তাঁতির বাড়িতে মাচার ওপর একটা ভুসি রাখা মাটির হাড়িতে দুজন উষ্ণ আরামে প্রেম করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে। 


আর ওদিকে তাঁতি আছে মহা চিন্তায়, মহাজনের তাঁতঘর এখন পুরোই পানির নিচে, সব যন্ত্রপাতি হয়তো এবার নষ্টই হয়ে যাবে। হাতে টাকাকড়ি বলতে গেলে নেই কিন্তু ঋণের দেনা হপ্তায় হপ্তায় খাড়া থাকে। এজেন্টগুলো আপাতত এমুখো হচ্ছেনা কিন্তু পানি নেমে গেলেই টাকা টাকা করে মাথা চিবিয়ে খাবে। সেই যে এম পি সাহেব এসেছিল কোমর পানি থাকতে কিছু বাজার সদাই দিয়ে গিয়েছিল তাও এখন বাড়ন্ত। বউটাও এই বিপদের দিনে রাগ দেখিয়ে চলে গেল। কলাগাছ দিয়ে একটা ভেলা সে বিনিয়েছে বলে তাও রক্ষে। এদিক সেদিক একটু যেতে পারে। বাজারে গিয়ে বন্ধুর দোকানে মোবাইলটা একটু চার্জ দিতে পারে। টাকার খুব অভাব তারপরও একটু মাঝে মাঝে ডাটা কিনে নেয় আর অনলাইনে রেডিও টেডিও শোনে, একটু ফেসবুকে উঁকিঝুঁকি মারে। তিনকুলে তারতো আর কেউ নেই, বউ থেকেও নেই, একটু বিনোদনও তো দরকার হয় জীবনে। এইসব আগডুমবাগডুম ভাবতে  ভাবতে সে বাক্স খুলে লাল টুকটুকে কাচ্চা জরীর কাজের জামদানিটা বের করে দেখতে লিগলো। বাবার বোনা এই রেশমের জামদানিটা এতো অন‍্যরকম নকশার আর এতো নিখুঁত যে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে। এতটুকু খাদ নেই এতে, না সুতোয়, না জরিতে, না নকশায়, না বুনোনে। বাবা কোনদিন এটা বেচতে চায়নি আর মাকেও দেয়নি বলে কত কিছুই না সহ‍্য করেছে জীবনে। একটু বড় হবার পর অনেকবার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিল এতো দামি একটা জামদানি বোনার টাকা সে কোথায় পেল আর এতো খাঁটি সব উপকরনই বা পেল কোথায়। সেইতো জন্ম থেকে দেখে এসেছে তাঁতঘরে সব আটপৌরে সুতো কিংবা পাটের শাড়িকাপড় আর কিছু গামছা বুনতে। মহাজনের তাঁতঘরে তো অর্ডার বা পাইকারি হিসেবের বাইরে কিচ্ছু বোনার জো নেই আর তাছাড়া আছে গোটা চারেক তাঁত কিন্তু সে আর যাই হোক অমন নিখুঁত জামদানি বোনার যোগ‍্য নয়। এই তল্লাটে কোথাও জামদানি তো কেউ বোনে না আর হাটেও বিক্রি নেই। সবচেয়ে বড় কথা বাবা এমন জামদানি বুনতেই বা শিখলো কোথায়। বাবাকে জিজ্ঞেস করলে বাবা শুধু হাসতো আর মাঝেমাঝে বিরক্ত হয়ে থাকলে গালাগাল দিয়ে হাতের কাছে যা পেত তাই ছুঁড়ে মারতো। শুধু একদিন চাঁদনি পসর রাতে দেরুদের পুকুর ঘাটে রবি কাকার মাতনের গান শুনে হঠাৎ আনমনা হয়ে বলেছিল "চাঁন্দের বুড়ির কথা মতো স্বপ্নখান বুইনে থুয়েছি সেই কবে থিকে। আ রবি তোমার গলাখানে দরদ বড়। চাঁন্দের বুড়িরে আমি কবানে। ওই চান্দের মিয়ের যেদিনকে বে হবে সেইদিন ওই লাল টুকটুক জামদানিখান পইরে যখন সে চুল বাঁধবে, চন্দনের নকশা পরবে তখন তুমি একখান গান গেও। এই মাতনের গান নয়, একখান বের গান বাইন্ধো তো রবি জান।" সবাই ভেবেছিল হাঁড়িয়া খেয়ে আর দম টেনে বাবার মাথাটা পুরোই বিগড়েছিল সেদিন।

এতো করে লুকিয়ে রেখেও শেষে এই জামদানিটাই কাল হলো। তাঁতির সুন্দরী আর দেমাকি নতুন বউটা বন‍্যার সময় জিনিস পত্তর সরানোর সময় ঠিক দেখে ফেলল বাক্সটা আর খুলতেও বাধ‍্য করলো তাঁতিকে। তারপর জামদানিটা দেখেতো সে একেবারে পাগলই হয়ে গেল। প্রথমে বউটা ভেবেছিল এ বুঝি তার স্বামী চুপিচুপি তাকেই উপহার দেবে বলে এনেছে। কিন্তু পরে যখন শুনলো এ তার জন‍্য নয় এবং কারো জন‍্যই নয় তখন সে ওই কোমর সমান পানির মধ‍্যেই তেলে বেগুনে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো। আর তার হৃদয়ও এমন ভেঙ্গে চুরচুর হয়ে গেল যে তার এমন লোহারঙা দিব‍্য কানাই বরকে ছেড়ে সে বাপের বাড়ি চলে যেতে বাধ‍্য হল। 


তাঁতির যখন কাঁচা বউটার শোকে ঘুম আসছিল না মোটেও আর সে অলুক্ষুনে জামদানিটা বুকে জড়িয়ে মনে মনে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছিল সে রাতে, তা দেখে ফেললো ব‍্যাঙ দম্পতি। ওরা তখন একটু খিদে পেয়ে যাওয়ায় চারদিকে আতিপাতি দেখছিল। বউ ব‍্যাঙটা যেইনা দেখলো সেই লাল টুকটুকে চকচকে সোনার কারুকাজের জামদানিটা, এক শীতল প্রতীজ্ঞার গলায় বর ব‍্যাঙকে শুধু বললো "ছেলেপুলে যদি চাও, ওই চকচকে কাজ লাল তত্ব আগে এনে দাও এই পায়ে।"

ব‍্যাঙ দম্পতি তক্কে তক্কে থাকতে লাগলো। ওদের  হানিমুন একেবারে সিকেয় উঠলো। বউ ব‍্যাঙ খায়না, সাঁতরায় না, লাফায় না, গান তো দূরে কথাও কয় না। এসব দেখে বর ব‍্যাঙটাও গুম মেরে গেল। সে খেয়াল করলো সারা রাত বউব‍্যাঙটা ওই বাক্সটার দিকেই অপলক তাকিয়ে থাকে। 


এদিকে পানি বাড়তে বাড়তে মাচাও ছাড়িয়ে গেল। তাঁতি তাই বাক্সপেটরা সব নিয়ে একেবারে ঘরের চালেই একটা পাতার ছাউনি মতো বানিয়ে আশ্রয় নিল। ব‍্যাঙ দম্পতিও গেল সাথে সাথে। তাঁতির টাকাপয়সা, খাবার দাবার, মোবাইলের ব‍্যালেন্স, চার্জ সব শেষ হয়ে গেল। সে শুধু যেমন বাজারে শুনেছিল তেমনই এক মনে রিলিফের নৌকোর জন‍্য অপেক্ষা করতে লাগলো। আরো দুদিন চলে গেল কিন্তু কারোরই দেখা মিললো না। আশেপাশের প্রতিবেশীরাও ঘরদুয়ার ফেলে কোথাও একটা চলে গেছে ততোদিনে। তার মধ‍্যেই আবার তাঁতির হল ভীষণ পেট খারাপ। ক্ষুধায় আর পানিশূণ‍্যতায় সে প্রায় মরতে বসলো। চোখে ঘোলা দেখতে শুরু করলো আর চোখ খোলা রাখতেও কষ্ট হচ্ছিল তার। এমন সময়েই সে দেখতে পেল ব‍‍্যাঙ দম্পতিকে। কিভাবে জানি, হয়তো ক্ষুধায় ওর মাথাটাই বিগড়েছিল তাই হয়তো, সে ব‍্যাঙ দম্পতির কথাও যেন বুঝতে শুরু করলো। বর ব‍্যাঙটা ভয়ে ভয়ে কাঁচুমাচু করে বলে উঠলো "দেখুন আপনার তো খুব খারাপ অবস্থা, যদি চান আমরা হয়তো কিছু সাহায‍্য করতে পারি। এই ধরুন কিছু খাবার দাবার জোগাড় করে দিতে পারি। তবে একটা শর্তে। ওই চকচকে কাজ লাল তত্ব চাই আমার বউয়ের।" তাঁতি ঝিমুতে ঝিমুতে বললো "ও! এ আর এমন কি। এখন মরতে বইসেছি, কি আর করবো? তোমার বউরে কও এসে নিয়ে যাক।" ব‍্যাঙ বউটা ভীষণ খুশি হয়ে যেইনা তাঁতির নাগালের মধ‍্যে গেছে তাঁতি যেন অবশিষ্ট সমস্ত শক্তি দিয়ে খপ করে ধরে ফেললো বউ ব‍্যাঙটাকে আর বর ব‍্যাঙটা ভয়ের চোটে ইয়া বড় বড় লাফ মেরে পগার পার হয়ে গেল।


তাঁতি একটু বল পেয়েছে শরীরে গতকাল থেকে। পেটটা এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি তাও যেটুকু আমিষ পেয়েছে তাই ভাগ‍্য। ঝিমিয়ে ঝিমিয়েই সে এই নীল জলের দিগন্তের দিকে তিকিয়ে আছে তার জামদানির বাক্সটা বুকে আঁকড়ে। বন‍্যার পানি মনে হচ্ছে নামছেও কিছুটা। আকাশ পরিষ্কার, ঠান্ডা মিষ্টি হাওয়া বইছে। দেখলো ওই সামনের তাল গাছটার মাথায় দুটো শকুন বসে আছে। এতো ক্লান্ত চোখেও চারপাশে যতদূর চোখ যায় দেখে তার মনে হতে লাগলো আহা কি অপরুপ সুন্দর! সূর্যটা যখন ঠিক মাথার ওপর তখন একটা আকাশ বাতাস জাগানো ইঞ্জিনের শব্দে তাকালো সামনে, কোন বড় রিলিফের নৌকোই নিশ্চই, এখোনো ঠিক ঠাওরে আসছে না। সেই সাথে দেখলো একটা ছোট তালের কোঁদা হেলতে দুলতে আসছে তাতে লাল টুকটুকে শাড়ি পরা চাাঁদের মেয়ে। আরে! কাঁচা বউটা ফিরে এসেছে তাইলে?






ঢাকা ১৩/০১/২০২১



স্কেচ : বারো

নীল আলো জ্বেলে লাভটা কি হলো? সেইতো মন খারাপ করেই বসে রইলে। 


"একে মন খারাপ করা বলে না। মনটা একটু ভারি হয়ে আছে ঠিকই তবে এখন ভাবছি। এভাবেই ভাবতে হয়।"


আর কতো ভাববে? জীবনের অর্ধেক তো ভেবেই পার করে দিলে।


"হুম। তাই বলেই না এতো চারদিকে ঘুরঘুর করো।"


তা করি। তবে এবারে ভাবছি আমিও ভাবা শুরু করবো।


"বেশতো ভাব। ভাবা দরকার। ভাবা প্র‍্যাকটিস করো।" 





Tuesday, January 12, 2021

Callin U in ma city

That boy told me he is six feet straight n fit

He works hard n can make fire in a hollow

He is shy n honest n funny

He cares n doesn't run after money


Baby I'm six feet under under under

Baby I'm six feet under under under

If u can make some time 

I would come out off ma grave

U dont need to bring money

We could make some together n save

Its enough we could walk around the city

Without a reason Babe without a reason

Won't it be a fun n won't it be the somthin to live?


That boy told me he knows all the magics in bed

He looks like a piece of coal from hell

He is arrogant n strong

He isn't hesitant  to bang a shell


Baby I'm six feet under under under

Baby I'm six feet under under under

If u can make some time 

I would come out off ma grave

U don't need to bring money

We could make some together n save

Its enough, we could walk around the city

Without a reason Babe without a reason

Won't it be a fun n won't it be the somthin to live?


https://youtu.be/SA7AIQw-7Ms







ঢাকা : ১২/০১/২০২১

 


আমরা মিলেনিয়াম জেনারেশান

বন্ধুরা, মনে আছে?

আমাদের যখন জন্ম হল

বাড়িতে ডাকাত ঢুকে পড়েছিল

পাঁচিল টপকেছিল

বন্দুক হাতে ছিল

ওদের মুখোশে মুখ ঢাকা ছিল

কিন্তু ঠিক জানতাম ওরা সব কারা

ঠিক জানতাম ওরা সব কারা

ওরা দড়ি দিয়ে বেঁধেছিল

হাত পা আমাদের লুটেছিল

সবকিছু তারপর শাসিয়েছিল

কারন ঠিক জানতাম ওরা সব কারা

ঠিক জানতাম ওরা সব কারা


আমরা মিলেনিয়াম জেনারেশান

সবাই চেনে আমাদের হুম

সবাই চেনে আমাদের হুম


বন্ধুরা, মনে আছে?

আমাদের বাবা মা রা

খবর রাখতো এই পৃথিবীর

রাতদিন ছুটতো

অনেক টাকা কামাতো

ওরা ভাবতো আরো চাই আরো চাই

কিন্তু জানতো না কি চাই আমরা

জানতো না কি চাই আমরা

ওরা দিয়েছিল সবকিছু

সেরাটাই চেয়েছিল

আমাদের চোখে মুখে

নিজেদেরই দেখেছিল

শুধু জানতো না কি চাই আমরা

জানতো না কি চাই আমরা


আমরা মিলেনিয়াম জেনারেশান

সবাই চেনে আমাদের হুম

সবাই চেনে আমাদের হুম


বন্ধুরা, মনে আছে?

আমাদের রাষ্ট্রতন্ত্র

আমাদেরই নামে ধামা ধরতো

রাতদিন খসড়া 

করেছিল কিন্তু ঠিক

ভুলেছিল চোখেরই সামনে

বড় হচ্ছি আমরা

তাই দূর্নীতিকেই দিয়ে যেত পাহারা

দূর্নীতিকেই দিয়ে যেত পাহারা

ওরা পুষতো ডাকাতদল

শুষে নিত শিক্ষা ও শিল্প

কেড়ে নিত ছোট বড় স্বপ্ন আর

দিনশেষে গুঁজে দিত টাকা

আর দূর্নীতিকেই দিয়ে যেত পাহারা

দূর্নীতিকেই দিয়ে যেত পাহারা


আমরা মিলেনিয়াম জেনারেশান

সবাই চেনে আমাদের হুম

সবাই চেনে আমাদের হুম


বন্ধুরা, মনে আছে?

বিজ্ঞান আমাদের প্রিয় ছিল

রাতদিন আমরা ঘুরতাম

দেশ আর বিদেশে খেলতাম

ভিডিও গেমস আর ঘরেই

সারাজীবন কাটাতাম

শত কেউ ডাকলেও দিতাম না সাড়া

কেউ ডাকলেও দিতাম না সাড়া

ভার্চুয়াল সোশালাইট হয়েছিলাম 

আমরা মিথ‍্যা ভালবেসেছিলাম

মারন নেশাতে বুঁদ হয়ে

সত‍্য ও বাস্তব ভুলেছিলাম

তাই কেউ ডাকলেও দিতাম না সাড়া

কেউ ডাকলেও দিতাম না সাড়া


আমরা মিলেনিয়াম জেনারেশান

সবাই চেনে আমাদের হুম

সবাই চেনে আমাদের হুম


বন্ধুরা, মনে আছে?

ঝকঝকে সুপারস্টোরগুলো

আমাদের জন‍্যই

ভরে থাকতো প‍ণ‍্যয়

রাতদিন মাথা খেত

ঘরেই পৌঁছে যেত

দিত সব জঞ্জালী বিজ্ঞাপনি তাড়া

সব জঞ্জালী বিজ্ঞাপনি তাড়া

ওরা জানতো কি যে চলে

আমাদের মগজে আর

সন্মোহন করে আমাদের 

মগজকে দৌড়াতো

দিত সব জঞ্জালী বিজ্ঞাপনি তাড়া

সব জঞ্জালী বিজ্ঞাপনি তাড়া


আমরা মিলেনিয়াম জেনারেশান

সবাই চেনে আমাদের হুম

সবাই চেনে আমাদের হুম


বন্ধুরা, মনে আছে?

আমাদের ঘাড়ে বেঁধা ছিল গোয়েন্দা

আমাদের সবকিছু ওরা

জেনে নিত কখনো ঘুমাতো না

ঘুমাতেও দিত না যখন যা খুশি

তাই নিত করিয়ে

হুম ওদেরই দাস ছিলাম আমরা

ওদেরই দাস ছিলাম আমরা

ওদের খবরদারিতে প্রতিদিন

ক্ষয়ে যেতাম হতাশায়

আর ওরা বেচতো আমাদের

অনুভুতি স্বপ্ন সম্মান

কারন ওদেরই দাস ছিলাম আমরা

ওদেরই দাস ছিলাম আমরা


আমরা মিলেনিয়াম জেনারেশান

সবাই চেনে আমাদের হুম

সবাই চেনে আমাদের হুম


বন্ধুরা, মনে আছে?

পৃথিবীটা পৌঁছেছিল ধ্বংসের প্রান্তে

সভ‍্যতার উত্তাপে বরফ

গলেছিল রাসায়নিক পদার্থে

সমুদ্র বিষিয়েছিল

প্রাণীরা গাছেরা মরেছিল

প্রতি ঘরে বাসা ছিল মৃত‍্যুর

তাই শ্বাস নিতেও ভয় পেতাম আমরা

শ্বাস নিতেও ভয় পেতাম আমরা

আমারা ছিলাম উদ্বাস্তু

যুদ্ধ লেগেছিল দেশে দেশে ঘরে ঘরে

মগজে মগজে লড়ে লড়ে আমরা

নিজেকেও করতামনা বিশ্বাস

বাতাসে শ্বাস নিতেও ভয় পেতাম আমরা

শ্বাস নিতেও ভয় পেতাম আমরা


আমরা মিলেনিয়াম জেনারেশান

সবাই চেনে আমাদের হুম

সবাই চেনে আমাদের হুম


https://youtu.be/p5QfyF9pkHU





Monday, January 11, 2021

ইউফোরিয়া (দুই)

আমার প্রিয় চট্টগ্রাম শহরটা কখন যে এতো দুঃখের শহর হয়ে গিয়েছিল বুঝেও যেন বুঝতে পারিনি। শহরটাকে অনেক বেশিই ভালবাসতাম কিন্তু তারপরও একদিন ঠিক করলাম সব ছেড়েছুড়ে পালাব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আর তাই করলাম। ছেড়ে আসার সময় আর তো কিছু ছিলনা আমার নিজের তাই নিজের মাথার চুলগুলোই দক্ষিণা দিয়ে এলাম শহরটাকে। নতুন শহরে মনের মতোই একটা আস্তানা খুঁজে পেলাম। ইন্সটিটিউটের লোকেরা হয়তো একরকম বাধ‍্য হয়ে আস্তানা গাঁড়তে দিয়েছিল। আমি যখন ওদের বললাম আমাকে থাকার জায়গা না দিলে আমি ভর্তিই হবোনা তখন ওরা আমার অযাচিত অহংকার ও ঔদ্ধত‍্য দেখে হাঁ হয়ে গেল। কিন্তু ডিজি কি বুঝলো কে জানে থাকার জায়গা দিল। ওখানে এক অন‍্যরকম জীবন শুরু হলো। একদম শুধু নিজের সাথে নিজের একান্ত জীবন। প্রতিদিন বিকেলে বেরিয়ে পড়তাম শহর দেখতে পায়ে হেঁটে, কি দেখতাম কে জানে, মাথাটায় ভীষণ রকম একটা চাপ অনুভব করতাম আর বুকের ভেতরটা ভয়ে ধুকধুক করতো। যাই হোক ততোদিনে আমি অনেক সাবধানি হয়ে গেছি আর বহু বছর ক্লাসের বন্ধুরা যে আমাকে দুধভাত গণ‍্য করতো ভাবলাম তার শোধ তোলা যাক। ক্লাসে প্রথম আলাপেই সবাইকে বল্লাম হে সহপাঠিগণ আমি তোমাদের জ‍্যাষ্ঠা ভগিনী এবং পরম ভক্তিশ্রদ্ধা কামিনী। কি বুঝলো কে জানে, ওরা সবাই একশ হাত দূরে দূরে থাকতে শুরু করলো। ভালই হয়েছিল কারন আমি একটা নির্জন জীবন চেয়েছিলাম। শহরে ঘুরতে ঘুরতে একদিন এক পূর্বপরিচিত শিল্পীর সাথে দেখা। ওকে দেখে আমি পুরো আঁতকে উঠলাম। হায় হায় এ কি অবস্থা! পুরোই হাড় জিরজিরে অবস্থা, ময়লা জামা কাপড়, ময়লা শরীর, ভয়ংকর দূর্গন্ধ আসছে গা থেকে। সবচেয়ে বড় কথা মানুষটা কি এক দূর্বিসহ ভয়ে আতংকে সংকোচে পুরো গুটিয়ে আছে। গেলাম ওর আস্তানায়। এমন ভাবেও মানুষ বাঁচে দেখে শিওরে উঠেছিলাম। শুধু একটু খাবার পেলেই মানুষের বুঝি প্রাণ আর খাঁচাছাড়া হয়না! হায় প্রিয়তম প্রাণ এ কেমন নাছোড়বান্দা তুমি? ওই ঘর নামের নোংরা আস্তাকুঁড়টাতেই যেন আমি নিজের অস্তিত্বটাই দেখতে পেয়েছিলাম সেদিন। হুম। কি যেন ভেবে ওর সাথে থাকতে শুরু করলাম, প্রথমে মাঝেমধ‍্যে তারপর তল্পিতল্পা সহ এসে উঠলাম এই নতুন আস্তানায়। সব ধুয়ে মুছে সাফ করতে চাইলাম, করেছিলামও হয়তো, যে ময়লা দেখতে পাওয়া যায় তা আর যে ময়লা দেখতে পাওয়া যায়না তাও। কিন্তু ধুলো আর নোংরা এই শহুরে জীবনে এমনই, যত আমরা দূর করতে চাই ততো যেন আরও কোথা থেকে উড়ে উড়ে এসে ঘাঁটি গাঁড়ে। ওর একদিন মনে হল আমি নাকি ছিনিয়ে নিতে এসেছি ওর সবকিছু, এতো অবাক লেগেছিল শুনে, কি ছিনিয়ে নেব আমি? কি ই বা আছে ওর কাছে? ও যেদিন আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল আবার শহরটা অনেক ঘুরেছিলাম। অনেক আর অনেক রাত পর্যন্ত আর অনেকদিন পর্যন্ত। পায়ে হেঁটে নয়, রিক্সায়, অতোটা শক্তি পেতাম না তখন আর। 


আমি সবসময়ই ভাগ‍্যবানদের দলেই কিভাবে জানি ভিড়ে যাই। চাকরির পোস্টিং পেয়ে গেলাম গুলশানে। শহরের এই অংশটা ভীষণ ঝাঁ চকচকে, অনেক আলো থাকে চব্বিশ ঘন্টা। সহকর্মীরা যারা আগে বাঁকা চোখে তাকাতো ওরাও এসে বলতো, আপনাকে এখানে দারুন মানাচ্ছে। নিজেকে ঝাঁ চকচকে সাজিয়ে নিতে আমি অনেক ছোট থাকতেই শিখে গিয়েছিলাম নানান প্রতিকুলতার মধ‍্যে। কিন্তু একদিন একটা মেয়ে কলিগই যখন অতগুলো ছেলে কলিগের সামনেই আমাকে বলে বসলো "ওই লোকটার (জানিনা আর কোনদিন জানতেও চাইনি ঠিক কার কথা বলছিল) কোন দোষ নেই সে যদি দিনরাত তোমার কথা ভাবে। ওনার যদি নিজের বউকে আর ভাল না লাগে এটা ওনার দোষ নয়।" আমার ছেলে কলিগগুলো একটু থতমত খেয়ে গেলেও সেদিন ঝটপট প্রসঙ্গ টেনেছিল সেদিনের আবহাওয়া, ক‍্যাফের ক্রমনিম্নগামী চায়ের দিকে কিংবা কেউ হয়তো একটা নতুন জোকই বলছিল। ওরা শেষ দিন পর্যন্ত আমার পাশে ছিল। একদিন ওরা মজা করছিল আমার সাথে, বলছিল এবারের ফায়ার ড্রিলে আমাকে ফেইন্ট কলিগ বানানো হবে আর কোলে করে নামানো হবে এই আটতলা থেকে, আমি শুধু বেছে নিতে পারবো কার কোলে উঠবো। আমি যখন একে একে সবাইকেই বাতিল করছিলাম একজন ক্ষ‍্যাপার ভান করে জিজ্ঞেস করলো "তুমি নিজেকে কি মনে কর? ঐশ্বরিয়া?" চেহারা সুরুত নিয়ে এত্তোবড় বাঁশ দেবে বলে এত্তো নাটক! ওরা অনেক মজা করতো, কেউ গান গেয়ে উঠতো "তাহমিনা...আহ মিনা... এ... এ..." কিংবা সিসিক‍্যাম এড়িয়ে হয়তো দেখাতো কোন ডান্সমুভ। আসলেই আমি নিজেকে কি ভাবতাম, ভাবি, আমি নিজেকে ওদের প্রিয় কেউ ভাবতাম যে ওদের সত‍্যি সত‍্যি ভালবাসতো কারন ওরা ওই ভীষণ প্রতিযোগিতামূলক জায়গাটাতেও নিজেকে ভালবাসতে শিখিয়েছিল। 


দুহাজার সতেরোতে যখন আমার সেলিব্রেটি ক্রাশ ছিল জিইযি তখন একদিন হঠাৎ জিমে গিয়ে পায়ের নিচটা ফাঁকা হয়ে গেল আর মনে হল এখনই মাথা ঘুরে পড়ে যাব। হুবুহু জিইযির মতো দেখতে একজন আয়নার সামনে ওয়ার্কআউট করছে। সেই হাইট, সেই শরীরের গড়ন, সেই গায়ের রং, সেই চোখমুখ, সেই হেয়ারস্টাইল, গায়ের টিশার্টটা আর হাতের ব্রেসলেটটাও যেন একই। প্রথমে ভাবলাম মাথাটা পুরোপুরি গেছে। কিন্তু দেখলাম না আরে এ একেবারে ফটোকপি। এর কন্ঠটাও জিইযির মতো, হাঁটে চলে আর তাকায়ও জিইযির মতোই। আমি একরকম ধরা পড়ে যাওয়ার আতংকে একশ হাত দূরে দূরে থাকতে লাগলাম, বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে এইসব! জীমও মিস দিলাম কদিন, ভাবলাম মাথাটা ঠিক হোক, আজকাল ভুলভাল দেখছি নিশ্চিত। না মাথাটা ঠিকই ছিল। এর পরেও সবসময় ওকে একইরকমই দেখেছিলাম। নিজেকে বোঝালাম এ শুধু জিইযির মতো দেখতে জিইযি তো নয় থোড়াই।


এরই মধ‍্যে এক বিদেশি ছোকরার সাথে আলাপ জমে উঠলো। আমার চেয়ে দুবছরের ছোট আর বাংলাদেশে এসেছিল একটা পেশাগত কাজে। এখানে বলতে গেলে কথাই হয়নি তেমন কিন্তু নিজের দেশে ফেরার পর থেকে সেই যোগাযোগ করতে শুরু করলো। প্রথমে পাত্তা দিচ্ছিলাম না। কিন্তু ওর জীবন বোধ আর সংগীত চিন্তা আর গায়কী আমাকে আকর্ষণ করলো। ও র‍্যাপ করে দারুণ আর দারুন মেলোডি স্কিলও আছে। পাগলটা রাতদিন এতো এতো ভয়েস ম‍্যাসেজ পাঠাতে লাগলো। কিছু কিছু বাংলাও শিখতে লাগলো। আইয়ুব বাচ্চুর সেই তুমি আর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পর্যন্ত গেয়ে পাঠিয়েছিল। কিন্তু একদিন ও ঠিক করলো ওর বউকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে আর অন‍্য দেশে নতুন জীবন শুরু করবে। আমার ভীষণ রাগ হলো, আমি ভাবতেই পারছিলাম না ওর দেবশিশুর মতো বাচ্চাদুটো ওর বুকের ওপর খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়তে পারবেনা আর। ইচ্ছে করেই দিলাম ওকে ক্ষেপিয়ে আর ব্লকও করে দিলাম। দুহাজার কুড়ির জানুয়ারিতে  শেষ জেনেছিলাম ওর স্ত্রীর সাথে পুরোপুরি ডিভোর্স হয়ে গেছে। এই ভারতীয়দের সাথে ওদের অনেক পার্থক‍্য হয়তো, কিংবা... জানিনা আসলে, কিছু জিনিস কেন এখনো মেনে নিতে পারিনা আর বাবা চলে যাবার পর থেকে আমি হয়তো একটু বদলেও গেছি। 


আমার কিছু বন্ধুরা ওদের বরের কিংবা প্রেমিকের ব‍্যাপারে এতোটাই পসেসিভ যে কেমন অবিশ্বাস নিয়ে তাকায় কিংবা হঠাৎ হঠাৎ খুব খারাপ ব‍্যবহারও করে ফেলে ভুল বুঝে। বোকা মেয়েগুলো হয়তো ভুলেই গেছে কতোবার নিজের ক্রাশকেও রাতারাতি ভুলে যেতে চেয়েছি আর গেছিও শুধু ওদেরই জন‍্য। আর না গিয়েও উপায় ছিলনা কখনো কারন ওরাই ছিল সবসময় সুন্দরী আর যোগ‍্যতর। আর আমি এখন আর কাউকে ভাল লেগে গেলেও আগের মতো বোঝাই না বরং একটু ভয়েই কুঁকড়ে থাকি।  কারন সেই ভাললাগার মানুষটা হয়তো ভীষণ বিরক্তই হবে আর এক নাছোড়বান্দা ঘৃণাই প্রকাশ করবে, হয়তো সেই ঘৃণা সরাসরি প্রকাশ করতেও তার ঘৃণাই হবে তাই অন‍্য কারো মাধ‍্যমে সেই বিরক্তি ও ঘৃণা পৌঁছে দেবে। আমার বন্ধুরা যে রেগে যায় ওদের বর কিংবা প্রেমিকের সাথে কেউ হেসে কথা বললে এটাকেই হয়তো নিখাদ ভালবাসা বলে। সবসময় সমীকরনগুলো এতোটাও সরল হয়না। দেবদারুগুলোকে দেখিনি আজ ষোল বছর। কেমন আছে বা এখনো আদৌ আছে কি না কে জানে? সবসময় ওদের কথা মনেও থাকেনা। এতো হাজার ব‍্যস্ততা, হাজারো নতুন দিন আসে, চলে যায়, আবার আসে বোকার মতো, বুদ্ধিমানের মতো কিংবা কোন অচেনা পথচারীর মতো, জীবন সামনেই এগিয়ে যেতে থাকে। 


বুঝলে বোনটি বুঝলে ভায়া

জীবন এক আজব মায়া

সবার ওপর জীবনই থাক

মাথায় বাঁচুক ইউফোরিয়া


https://soundcloud.app.goo.gl/R9cRD










English Translation of Bangla Folk Song: Fakir Lalon Shah; চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি; Forever I Nurtured a Mysterious Bird

 Forever I Nurtured a Mysterious Bird Forever I nurtured a mysterious bird, which never discloses its identity. For this grief, my eyes ...