Wednesday, May 19, 2021

টুকরো কথা : মতিঝিল

আজ দুপুরে প্রায় পাঁচ বছর পর মতিঝিল চত্ত্বরে গেলাম। গিয়ে মনে হলো পাঁচ বছর বেশ লম্বা সময়, কারন অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা ফাঁকা থাকার কারনেও মনে হতে পারে অবশ‍্য। ছোট বেলায় মতিঝিলের শাপলাটার পাশ দিয়ে যখন যেতাম দুচোখে অদ্ভুত বিষ্ময় মিশে থাকতো আমাদের... এত্তো বড় শাপলা! এত্তো সুন্দর! আমরা কেনো ঠিকঠাক আঁকতে পারিনা, ভেবে একটু মনও খারাপ করতাম। ছোটবেলার সেই চোখ সেই মন হারিয়ে গেছে কিংবা হয়তো মরেই গেছে কবে।


বাসার সামনে থেকে একটা রিক্সা নিলাম। এই কোভিড মহামারিতে রিক্সা করে ঢাকায় ঘোরা বেশ শান্তির আর তাছাড়া দুপুরের ঠাঠা রোদে মগজটাও তাঁতিয়ে নিলাম একটু বহুদিন পর। তবে যতোটা ভেবেছিলাম ততোটা শান্তির ভ্রমণ হতে হতেও হলো না। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে লোকাল বাসগুলো তো বেপরোয়া ছুটছেই আর তারচেয়েও বেপরোয়া রিক্সাগুলো। ট্রাফিক পুলিশদেরও যেন একটু গা ছাড়া বন্ধু বন্ধু ভাব। রমনার পাশ দিয়ে যেতে যেতে মনটা হুহু করে উঠছিল... আহা... প্রিয়তম রমনা... কতো ভোরের অবারিত প্রশ্রয়। রমনায় এখনো একটু পর পর ইট, শুড়কি আর বালুর স্তুপ, কাজ চলছে কয়েক বছর হয়ে গেল, এই মারিতে কাজটাজ সব শেষ হয়ে গেলে বাঁচোয়া। যতদুর পারলাম দেখে নিলাম রমনা পথ চলতে চলতেই... এতো ফুল ফুটে আছে গাছে গাছে আর মরার কোকিলের উচ্চ তারঙ্গিক ডাক এখনো চলছে। হাইকোর্টের উল্টো দিকে এতো বড় বড় সোনাইল  আছে আগে খেয়ালই করিনি কোনদিন। সবে ফুল ফুটছে কিছু ঝুমকো থোকায়। আর কিছুদিন পর সম্পুর্ণ ফুটন্ত গাছগুলোকে দেখতে যেতে হবে। কৃষ্ণচুড়াগুলোতে এখনো আগুন ধরে আছে। দুজন কম‍্যুনিটি পুলিশকে দেখলাম আঁকশি দিয়ে কাঁচা আম পাড়ছে, আমি ওদের দিকে মনোযোগ দিতেই একজন যেন একটু লজ্জ্বাও পেলো। আইল‍্যান্ডের বাগান বিলাসগুলো এতোদিনে ভালোই ঝাঁকড়া হয়ে উঠেছে। সত‍্যি বলতে পুরো শহর জুড়েই নানা রঙের নানা পরতের বাগান বিলাস। ওদের দেখলে মনে মনে বলি 'জানো তো, তোমাদের নাম রেখেছে স্বয়ং রবিন্দ্রনাথ!' মানুষ ছাড়া সবাই নিজেদের সম্মিলিত নাম পরিচয় নিয়ে জন্মায়, বাঁচে, মরেও যায়। আমরা মানুষেরা নিজেদের আমিত্বের তাগাড় খেয়ে খেয়ে সহজ সরল বেঁচে থাকার সৌকর্য যেন হারিয়েই ফেলি। হাইকোর্ট পেরিয়ে বাঁয়ে মোড় নিয়ে কিছু যেতেই রাস্তা এবড়ো থেবড়ো আর সরু হওয়া শুরু। মেট্রো রেলের কাজ চলছে। তা চলুক। মেট্রোটা চালু হলে যদি শহরটা একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। এদিকটায় গাছপালা তেমন আর চোখে পড়ে না। পাল্লা দেয়া উঁচু উঁচু নতুন পুরাতন সব দালান, কর্মব‍্যস্ত যুদ্ধংদেহী  মানুষজন (যদিও এখন সংখ‍্যায় অনেক কম), এই মানুষদের মুখগুলো, চোখগুলো আজও আগের মতোই তেড়ে তেড়ে আসতে থাকলো টিকে থাকার রুঢ় বাস্তবতায় ভর করে। দিলকুশায় তপ্ত দুপুরে  ঠান্ডা ফোয়ারা আর উর্ধ্বমূখী বকেদের ঘনিষ্ঠতা আছে ঠিক আগেরই মতোন। এই ব‍্যস্ততম অফিস পাড়ায় ডানে বাঁয়ে এদিক সেদিক চিপা চাপা গলি। ওখানে রকমারি চা খেতে থাকা আর সিগারেট ফুঁকতে থাকা আপাত সুখে অলস কিন্তু বাস্তব রসবোধ সম্পন্ন লোকেদের কথায় কান পাতলে রাষ্ট্রীয় ও বৈশ্বিক হাল হকিকত, ব‍্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতি আর তাদের মধ‍্যে সম্পর্কই বা কি, তার একরকম উচ্চমার্গীয় ধারনা ওদের প্রচলিত চিন্তাশীলতার ভাষায় পাওয়া সম্ভব। 


আরও একটু এগিয়েই শাপলা চত্ত্বর, বহু বছর পর সেই উন্মুক্ত চত্ত্বরে এসে পড়লাম আবার। এর ডানে বাঁয়ে বড়রাস্তার দুধারে বেশ কিছু নতুন নতুন ভবন, খাবার দোকান আর হালের চাইনিজ মার্কেটও চালু হয়ে গেছে। পুরোনো ভবন, পুরোনো খাবার দোকান, পুরোনো মার্কেট, পুরোনো সিনেমা হলগুলোও আছে বেশ কয়েক যুগের সাক্ষী হয়ে। হকাররা অবশ‍্য পুরো শহরের মতোই এখানেও কম। এই রাস্তা ধরে যেতে যেতে হঠাৎ দেখি একটা নির্দিষ্ট আকাশের নিচে শহুরে সোয়ালো পাখিদের এলোমেলো চঞ্চল ওড়াউড়ি। নতুন, আধুনিক, পরিবেশ বান্ধব অট্টালিকাগুলো দেখে উচ্ছসিত ছিলাম কিন্তু মুহুর্তেই মন খারাপ হয়ে গেলো। ভাবলাম সব পুরোনো ভবনগুলো যখন ভেঙ্গে ফেলা হবে, এই পাখিগুলোর কি হবে? ওরা কি করে ঘর বাঁধবে কাঁচের মসৃণ দেয়ালে? সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে অভিযোজন করতে করতে ওরা রুক্ষ কর্কশ শহরেও মানিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এখন? থাক। আর ভাবতে চাইনা। যা হবার তা হবে। প্রতি বর্গফুট সোনার দামে বিকোয় এখানে, পাখিদের কথা কবে কোথায় কোন বাণিজ্যনীতি ভেবেছে মানুষের পৃথিবীতে? তারচেয়ে গায়ে গা ঘেঁষে থাকা ভবনগুলো পেরিয়ে বহুকাল পর এখোনো যে গাঢ় সবুজ বর্ষীয়ান মেঘশিরিষগুলোর ফাঁকে ফাঁকে পরিস্কার রৌদ্রজ্জ্বল হালকা নীল আকাশটা দেখতে দেখতে ফিরছি বরং এই ছবিটাই ভর করে থাকুক মাথায়।


মেঘশিরিষরা মাথায় ভর করে আছে ঠিকই কিন্তু ওই সোয়ালোদের ওড়াউড়িটা কিছুতেই চোখের সামনে থেকে যাচ্ছে না।

আশ্চাইয‍্য!!!



আবোলতাবোল : তেরো

ওম শান্তি! ওম শান্তি! ওম শান্তি!!!

শান্তি ড্রামা হোক

ভ‍্যাপসা গরম, শরম ভুলে গলায় ঢালো কোক

কোক বলেছি, কক নয়, ডার্টি তোমার মাথা

তাও ভালো, তুমি তো নও হৃৎপিণ্ডের ব‍্যাথা

মাস্ক পরে নাও

টাস্ক সেরে নাও

স্মার্ট ম‍্যানেজমেন্ট

এই আকালে 

ডাক পড়লে

ভেজার জোগাড় প‍্যান্ট

বাচ্চালোক তালিয়া বাজাও, চাইলে হ‍্যাজাও, ব‍্যাজায় গন্ডগোলে

বাস বন্ধ, ট্রেন বন্ধ, পা দুটো তো চলে

কারা তোরা? কোথায় যাস? তোরা এতো সুখী?

তোদের দেখে হিংসে হয়, জানিস তো? 

গাঁঞ্জা খেয়ে মাঞ্জা মারলেও শেষমেষ মরনমূখী

আকাশ দেখলে কান্না পায়

বাতাস বইলে কান্না পায়

কি মুশকিল! বলতো?

এতো ত‍্যাল কোথায় পাস? 

এতো পিরিত কোথায় পাস?

আমায় নিয়ে চলতো

বইয়ের পাহাড় ছাদ ছুঁয়ে যায়, দেয়াল দিব‍্যগজ

গ্লোবাল প্রেজেন্স প্রেজেন্ট হলে অফট্র‍্যাকে ভজ

যখনকারটা তখন, এখনকারটা এখন,

যুদ্ধ যুদ্ধ ঢ‍্যাঁড়া

ইন্টারন‍্যাশনাল কমার্সে বিলুপ্তপ্রায় পাড়া

স্মার্ট মানে দুরস্ত অ‍্যাপলিকেশনস ইন এ‍্যাকশানস

বাচ্চালোক তালিয়া বাজাও, ডু ফুর্তিজ, নো টেনশানস

মিঠাই আনুক পাঠাও

ভারচুয়াল মন ছোটাও

কসপ্লে ভিড‍্যু ওড়াও

জিফ লুপে মোড়াও

ফুলের তোড়াও

কচি ছোঁড়াও

সব পাওয়া যায়

সব দেয়াও যায়

যখন যেমন খুশি

সাইবারারদের ফাঁদে, চাঁদু, বাঁচিয়ে রেখো টুশি

তোরা সব থোড়াই কেয়ার গুষ্টিসুদ্ধ মৌজে

ছুটির দিনে বেড়ি বাঁধেও দল বেঁধে যাস ফৌজে

এতো ভীড়েও কি খুঁজে পাস একবার কি বলবি?

পাহাড় ভেঙ্গে পড়লে, বালুতট ডুবলে কোথায় গিয়ে ঘুরবি?

এসব প্রশ্ন ভ্রান্ত, চিন্তাও বাহুল‍্য, নদী ভাঙা জাতি

অপুষ্টিতে ভুগে ভুগেও "ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতি"

দস‍্যুরা ছিল আছে থাকবে, ভিটে মাটি চাঁটি

কৃষ্ণভক্ত ধুয়ো তোলে "মাটি টাকা, টাকা মাটি" 

দেহ থাকে অঙ্গারে মন হয়ে যায় ভোলা

মণ দরে চাল বিকোয়, সোনার ওজন তোলা

নৌবিহারে সবাই লখি, সবাই কলির কে‍ষ্টা,

জানিস তো?

হাতির ঝিলের জলে আছে মণ কে মণ বিষ্টা

চোখ বন্ধ, নাক বন্ধ, কান বন্ধ, বন্ধ থাকে চিন্তাও

এটাই এখন ট্রেন্ডি

এ‍্যাপলিকেশানস ফ্রেন্ডলি

বিবর্তনের স্রোতে প‍্যালাশটিকের দেহ, প‍্যালাশটিকের জীবন

মারির দিনে তবু কাঁদে আদিবাসী মন

সব হবে, ঠিক হবে, হতেই হবে, দেখিস, একদিন আমরাও...

কি হবে? কে হবে? কখন হবে? কেনো হবে? কিভাবে হবে? 

তারচেয়েও বড় কথা, কোথায় হবে?

ছোট ছোট বাচ্চাগুলো ভিটে কি আর পাবে?

পেলে পাবে, না পেলে নেই, কিন্তু ভাবিস সময় পেলে

একটা স্বাধীন দেশ পাওয়া যায় কতো জীবন আর স্বপ্ন ভেসে গেলে



আবোলতাবোল : বারো

আজ ধিনচাক কাল ছবি

শেষকালে ঠিক ট্রফি পাবে 

মরনমুখী কবি


আজ পুতু কাল ঢ‍্যামনা

জায়গা মতো বাঁশ খেলে

প্রজাপতির পাখনা


প্রজাপতি উড়ু উড়ু

আকাশ গুড়ু গুড়ু

তালে তাল না মিললে

ক্ষমা কোরো গুরু


কি দাম পেলে?

কি দাম দিলে?

ছরাদ করাই সার?

বানের জলে ভেসে এলে

কেউ হবে না কার


গৃহহীন বাঁধা থাকে

খাটে মাঠে ছাদে

যানজটে সর্দি নাকে

ছিঁচকাঁদুনি কাঁদে


করুনা নয় বরুনা চাই

সোনার মতো রঙ

আকাশ নীলা শাড়ি দেবো

ধরবো যখন ভং


ঢং করো বা ভং ই ধরো

ধরবে যখন চেপে

পালাবার পথ পাবে না 

ইঁচড়ে পাকা পেঁপে


পাখি পাকা পেঁপে খেলো

তারপরে তো ফুড়ুৎ

রেখে গেলো মায়ার আধার

প্রশ্নবানের ভুত


মন যেতে চায় যেখানে তার

কথা শোনে ডানা

মানুষ হয়ে জন্ম নিলে

উড়াল দেয়া মানা


আকাশ থেকে পড়ে যারা

মাটিকে নেয় বুকে

পাখনাগুলো বন্দী থাকে

বোকা গিনিস বুকে


বোকা বোকা প্রেম চাই

বোকা বোকা সুখ

বোকা বোকা গানের তালে

বোকা বোকা ঠুক


ভাষাহীন গল্পহীন

আজব জাতি কুল

টুঁটি চেপে ধরলে সবাই

ছাড়তে রাজী মূল


গল্প হবে সত‍্যি হবে

লিখবো বেঁচে থাকলে

সুর বাজবে পা নাচবে

মরন বাজী রাখলে


আজ নীল কাল কালো

ওজনস্তরে ভ‍্যাজাল হলে

চাইনা ওই আলো


আজ প্রাণ কাল প্রেত

কব্বরেও ঠাঁই না হোক

হবেই লক্ষভেদ






বিমূর্ত বিন‍্যাস

ওইখানে

সারি সারি লাশগুলো রাখা থাকে

আর ধীর পায়ে চলে সারি সারি কাঁধেরা

শেষবার কিংবা একবারই এভাবেই জানায় যদিও

কিছু তো মূল‍্য ছিল 

প্রেতেদের আশ্বাসে শৌর্যবান লোকালয় প্রবল ক্রান্তিতেও

এক কালের সম্মিলিত কাকেরা বিলুপ্তপ্রায়

তবু দেখি মরে পড়ে থাকা কাক

আর বিচলিত কাকের মাতম

কোলাহল কম মড়া বাড়িগুলোতে 

বিদেশী সুগন্ধ মেশানো থাকে পরিশোধকেও আজকাল

কতো দিকে খেয়াল উৎপাদকদের

লাশগুলো সারি বেঁধে চলতে শুরু করে ঠিক

আর ধীর পায়ে চলে সারি সারি কাঁধেরা

গোরস্থানে উথালপাথাল ঘাসমাটি

পৃথিবী অবিনশ্বর... আত্মারা (?????)

দেহ তো নয়... আত্মারা (?????)

এ জীবন মিথ‍্যে ফাঁকা মাধ‍্যাকর্ষণহীন তাই জানান দেয় প্রতিবার

এইসব ভাবা বারন

কতোকিছু চাওয়াও তো বারন

কি হলো তাতে?

বিমূর্ত এক সমাধি পাবো ঠিক হয়তো 

ফলকে থাকবে লেখা

"সে পড়েছিল আকাশ থেকে

এই জল মাটিতে পেলো ঠাঁই"



Monday, May 17, 2021

Rather Believe in Ur Fantasies

Try not to feel down... no no no... 

U gonna regret later on Hunn

U r in a deep throat of a poor gagging time square 

Gonna never understand the way it ws always been

Life is a secret room deserves to get dangerous at once

Stay high above skyline yeah... 

Its always meant to be


Smokes go up n never come back

Lights find a crack to meet Ur eyes

Hopes fall off from peer mountains 

Beliefs shake on hips in Gothem trials

Rather believe in Ur fantasies in core

Fantasies can be awkward but never lie 


Try not to be ripped off... no no no... 

U gonna regret later on Hunn

U r in Ur fav shirt, fav shoes on

brave n a` la mode

U can rock a floor like a Banger U hv always been 

Life is a flare of strangers deserves to get fearless at once

Stay light above skyline yeah... 

Its always meant to be


Smokes go up n never come back

Lights find a crack to meet Ur eyes

Hopes fall off from peer mountains 

Beliefs shake on hips in Gothem trials

Rather believe in Ur fantasies in core

Fantasies can be awkward but never lie





Saturday, May 15, 2021

সুপ্রভাত : তেরো

আজ সকালে ঘুম ভেঙেছে অন‍্য কারো ডাকে

এতো তীক্ষ্ম গলায় ডেকেই চলেছে কে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম

উঠে দেখি আরে এতো একটা টিয়া পাখি!

কত্থেকে এলো?

কেনোই বা এলো?

একটুখানি দানাপানি পেটে পড়ার পর চুপ করে গেল একদম

চোখদুটোতে গভীর দূঃখ নিয়ে উদাস হয়ে মনে হলো কাঁদছে

আহারে!

ও হারিয়ে গেছে হয়তো

কি করি এখন?

আমি যদি ভালোবাসি 

ও কি থাকবে আমার কাছে?






Thursday, May 13, 2021

সুপ্রভাত : বারো

বিপর্যস্ত সময়

বিপর্যস্ত হৃদয় 

বিপর্যস্ত সম্পর্কের টানাপোড়েনে

নতুন গাছেদের ঠাঁই মেলেনা বহুদিন

তবু অবাক হয়ে দেখি 

ভরে ওঠেছে শূণ‍্য টবের সারি

আর সেজেও উঠেছে ফুলে ফুলে

উত্তরা হাওয়া আর পাখিরা নিয়েছে বারান্দা বাগানের ভার

আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে ওরা কাজ শুরু করে ভোর থেকে


Tuesday, May 11, 2021

দৃশ‍্যপট : মায়া : এক

মায়ার ঘুম ভাঙলো একটা গুলির শব্দে। ঘুম ভেঙে পাশ ফিরতেই একরাশ উজ্জ্বল আলো এসে চোখ ধাঁধিয়ে দিল আর ধারালো ছুরির মতো মাথাটা এফোঁড় ওফোঁড় করে দিল। চোখে আর মাথায়  প্রচন্ড যন্ত্রণা, কিছু একটা ভাবতে চেষ্টা করলো কিছুক্ষণ কিন্তু তাও পারলো না। মাথার যন্ত্রণার সাথে নীল ছাদ দেয়াল আর ফাঁকা আলো... আর কিছু পড়ে নিতে পারলো না আপাতত। কিছু না ভেবে আবার দেয়ালের দিকেই পাশ ফিরলো তারপর দুচোখ বন্ধ করে পড়ে রইলো কিছুক্ষণ আরো। আস্তে আস্তে কিছু শব্দ ভেসে আসতে লাগলো কানে। কয়েকজন লোকের উচ্ছসিত হাসির শব্দ আর কন্ঠস্বর... "Dude! Its gonna be our day! Dig some under u nut! Its a big day afterall"...তারপর আরেকটা কন্ঠস্বর বললো "U r crazy Ron... U r a fuckin demon... m out of all these... rinse on ya"...অন‍্য আরো একটা কন্ঠস্বর মধ‍্যস্ততার গলায় বলে উঠলো "Guyz... guyz... stop these pal... it ain't gonna be da way right... U know what i mean... they r after us... they'll be... ever..." চোখ বন্ধ অবস্থাতেই বাইরের কন্ঠস্বরগুলো শুনতে শুনতে আস্তে আস্তে চোখ মেললো মায়া। একটা নীল দেয়াল চোখের সামনে। দেয়ালটা নীল হলো কি করে? ভাবতে ভাবতেই খেয়াল করলো এই নীল দেয়ালটা ঠিক যেন দেয়াল নয়... কেমন টানটান হয়ে থাকা মোটা পর্দার মতো... চিন্তাশক্তিহীন মাথাটা নিয়ে চকিতেই বুঝতে পারলো সে তার ঘরে নয়, আছে একটা তাঁবুর ভেতর। বুঝতে পেরেই মাথাটা এলোমেলো লাগতে শুরু করলো আর কানে আর কিচ্ছু শুনতে পারছিল না। ভারি মাথা আর জড় শরীরটাকে অনেক সাধ‍্য সাধনা করে দাঁড় করালো তারপর পা টেনে টেনে উজ্জ্বল আলোটার মুখে গিয়ে দাঁড়ালো। প্রখর সূর্যটা ওর দুচোখ যেন অন্ধই করে দিল প্রায়। ধুধু একটা দৃশ‍্যকে সামনে রেখে কিছু বোঝার কোন চেষ্টা না করেই শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে যত জোরে সম্ভব চিৎকার করতে শুরু করলো মায়া। তাঁবুর বাইরের তিনটি কন্ঠস্বরই নিজেদের কথা থামিয়ে চমকে তাকালো তাঁবুর প্রবেশ দ্বারের দিকে আর দেখলো একটা বিপর্যস্ত শিল্পকর্মই, ওপরের উন্মুক্ত রৌদ্রজ্জল আকাশ, পেছনে অপার সবুজনীল পাহাড়ি দৃশ‍্যপটে জ্ঞানশূণ‍্য উন্মাদের মতো তাঁবুর ঠিক বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে মায়া, চোখে সময়হীন দৃষ্টিহীন অস্তিত্বের আদিমতম আতংক নিয়ে গগনবিদারী চিৎকার করে যাচ্ছে সমানে, কোমর পর্যন্ত সোজা নেমে আসা ঈশৎ এলোমেলো কদাচ সোনালি উদ্ভাসিত কালো চুল ও খেদহীন বাদামি ত্বকের আবেদনময়ী নারী শরীরে একটা সাদা বয়েস টিশার্ট মাত্র আর তার নিচে  ডান উরু বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে মাটির দিকে। 

তিনটি কন্ঠস্বরই এমন আকস্মিক ক্ষরণধরানো দৃশ‍্যে ও চিৎকারে হতভম্ব হয়ে গেল প্রথমে তারপর ধুসর টিশার্ট ও গাঢ় জলপাই ব‍েগি প‍্যান্টস পরা আর ঘাড়ে বিপজ্জনক সংকেতের ট‍্যাট‍্যু করা অত‍্যন্ত ছোট করে ছাটা চুলের এক যুবক ঢুকে পড়লো দৃশ‍্যপটে আর ছুটে গিয়ে মায়াকে জাপটে ধরে ওর মুখে হাতচাপা দিল ক্ষিপ্রতার সাথে। মায়া উন্মাদ দৃষ্টিতে ঝাপটাঝাপটি করে কিছুক্ষণ কিন্তু একটু শান্ত হয়ে যেতেও লাগলো কি কারনে যেন, তারপর আরেকটু শান্ত হলে ধুসর টিশার্ট পরা যুবক মায়ার মুখটা নিজের বুকে নিয়ে মাথায় অন্তত বিশ সেকেন্ডের মতো হাত বোলালো মুখে ঠিক বাচ্চাদের শান্ত করার কিছু শব্দ করতে করতে। মায়া তখনো জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে ও ছাড়ছে। তারপর যুবকটা ওকে আচমকাই ছেড়ে দিল আর ঢুকে পড়লো তাঁবুর ভেতর আর ভেতর থেকেই চেঁচিয়ে কি বলছিল মায়ার কানে তার কিছুই ঢুকছিল না। ওর চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা জল নেমে এলো শুধু ততোক্ষণে। আরো কিছুক্ষণ পর তাঁবুর ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো ধুসর টিশার্ট পরা যুবক আর মায়ার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে স‍্যানিটারি ন‍্যাপকিনের প‍্যাকটা এগিয়ে দিল ওর দিকে। এতক্ষণে মায়া যেন একটু পরিষ্কার দেখতে পেল কিছু, গাঢ় বাদামি গভীর আশ্বাসভরা চোখ আর খাড়া নাকওয়ালা শক্ত মুখে খোঁচা খাঁচা দুদিনের না কামানো দাড়িগোঁফের মাঝে পাতলা রুক্ষ ফাটা ফাটা ঠোঁটজোড়া একটুও না নড়েই কিছু একটা বললো তারপর নেমে এসে একটা শুষ্ক কিন্তু উষ্ণ চুমু খেল মায়ার ঠোঁটে। গরম ঠান্ডা মেশানো সামনের নীল লেক পেরিয়ে আসা উপত‍্যকার হাওয়াটা বয়ে গেল ওদের কান ও চুল স্পর্শ করে। গরম নিঃশ্বাসে অন্তর্গত পুরুষালি গন্ধটা ভীষন চেনা মনে হল ওর আর  তাই হয়তো চোখ বন্ধ করে অন‍্য আরেকটা দৃশ‍্যপটে ঢুকে পড়লো মায়া।



সুপ্রভাত : এগারো

দুচোখে রাশি রাশি ঘুম

আর কোলবালিশ জড়িয়ে থাকা তৃষ্ণার্ত আত্মা

আকাশে আচমকা বিমানের মহড়া

কাঁপিয়ে দিয়ে গেল দুর্মতি সময়

তাকিয়ে দেখি প্রবল আলো ঢুকে এসেছে ঘরময়

কি চাই? কেন চাই?

সব যৌক্তিকতা অবজ্ঞা করে

নিজেরই অপরুপ অবয়ব চেয়ে দেখি প্রতিদিন 

এক বিন্দু ছঁয়ে দিলেই উবে যাবে মিলিয়ে যাবে সে হাওয়ায়

জানি


https://youtu.be/dcBKEEVna-g


 

Thursday, May 6, 2021

টুকরো কথা : শূণ‍্য দুপুর

নিরুত্তর থেকে যায় প্রতিদিন এই উষ্ণ দুপুর। শব্দবহুল, এলোমেলো, প্রতীক্ষাময় করোনাকালীন দুপুর। রকিং চেয়ারে দোল খেতে খেতে বোকা অকর্মন‍্য দুপুর আর আমি শূণ‍্য শুষ্ক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকি আলোর বিপরীতে। আমাদের দৃষ্টি কেড়ে নেয় কোনের আয়েশি আরাম কেদারা আর ডাকতে চায় বন্ধুদের... তো চলুক আরো তাসের ঘর, গল্প, আড্ডা, কফির ধোঁয়া, হুইস্কির আন্দোলন... আমাদের দিনগুলো বদলানোরই ছিল। বদলে যাওয়া চোখ, মুখ, হাত, পা, কন্ঠস্বরের মতোই। শান্ত হয়ে গেছি কবে এমন বুঝতে পারিনি। কি লাভক্ষতি হয়েছিল? কি লাভক্ষতি হচ্ছে? কি লাভক্ষতিই বা হবে? আর লাভক্ষতির কথা ভেবেই বা কি লাভ, কি ক্ষতি? আমি আর যাবোনা ওদের কাছে ঠিক করেছি। কিন্তু ওরা চেপে বসে থাকে বুকের ওপর, জানেও না হয়তো? কি মুশকিল! তবে বেশিদিন পারবেনা আর। নিশ্চয়। টুকরো টুকরো হাঁপধরানো স্মৃতিগুলো টাঙিয়ে রাখবো দেয়ালে প্রবল শিল্পকর্মের মতো। আর অলস বিবস দুপুরে এমনি রকিং চেয়ারে দোল খেতে খেতে চেয়ে চেয়ে দেখবো পাতলা পুরু বিচ্ছুরিত রঙের ছটফটানি আলোর বিপরীতে। এই পৃথিবীতে সব কিছুই পণ‍্য। শিল্প, ধর্ম, উচ্ছাস, কান্না, শরীর, মন... স...ব। আমার জন্ম বিক্রি হয়েছে নির্যাতনের কাছে আর ভালোবাসা গ্লানির কাছে। প্রতিদিন সৃজনশীলতা বিকিয়ে যাই নগ্নতার বদলে। আলো বিকিয়ে যায় অন্ধকারে। প্রিয়তম অন্ধকার আমার! নাহ! কিছুই আমার নয় আর। একটা শান্ত প্রাণহীন শূণ‍্যর নাম এই 'আমি'। স্তব্ধ দুপুরের মতো বসে আছি, দাঁড়িয়ে আছি, শুয়ে আছি, কিভাবে আছি তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবু আছি। শূণ‍্য মানে নেই এ বললে কি ঠিক বলা হয়? শূণ‍্য ছাড়া কোন কিছুর অস্তিত্বই কি হয়? কোন বস্তু তো নয়, একটা অপার্থিব অনুক্রমিক ভাষাও কেউ লিখে তো দেখাক। 



সংস্রব

অচেনা সময় বলে যায় 

"আমি হারালাম সব চকচকে দিন

আর হারিয়েও গেলাম চিরতরে"

আমি তথৈবচ চিরকালের 

চির অচেনা সময়ে

পরিচয় খুঁজে খুঁজে

নিঃস্ব হয়েছি বহুকাল হলো

হাসির তোড়ে লুটোপুটি খেয়ে নিয়ে

আমিও দম ফেলতে ফেলতে বলি

অচেনা সময়, তুমি থাকো চির অচেনাই

আমি হারাতে রাজি আছি যত কিছু চকচকে

আর হারিয়ে তো গেছি বহু আগেই

অন্ধকার ক্ষমাহীন সত‍্যের অরণ‍্যে



Sunday, May 2, 2021

Linalool May Dreams

Its the time of Jarul

Baby would U like to have a purple walk? 

With me?

Its a sudden hail storm of May

Will not stand for long

Tomorrow n day after tomorrow n after...throughout the May Sun will shine like a circle of fire

Would U like to have a purple walk babe?

With me?

Its the time of CasiaJavanica

We were kids n used to call it MayFlower

What matters in names

The bed under the giant groove turns shaded pink every year

Would U like to take a nap on for a while?

It feels soothing n fragrant like feminine skin

I use to have a dream sometimes 

Walking through a Lavender field

n then sitting in between Violet bushes

Baby would U like to take me there someday?

We will take some lavender kush strains with us

N we will take some mysterious  illusions   too

While the world is having an unknown war in its bones

Would U like to dream on calmly in between the violet strains?

for hours n days n for years?

With me?





Saturday, May 1, 2021

সুপ্রভাত : দশ

মৃত‍্যুময় সময়ে এক এক টুকরো জীবন হয়ে সে ফিরে ফিরে আসে

অপূর্ব কোন আঁকুতিতে ছেদ ঘটিয়ে

ঘুম ভেঙে যায় বারবার

বাস্তব ছেয়ে থাকে 

অস্পষ্ট ও অসামপ্ত আদিম নিষ্পাপ প্রেম

এই দেহ জানে

জানে অবুঝ প্রাণময় নতুন সকাল

গ্রহন করে যে অকপটে নগ্ন প্রতিচ্ছবি

নিষ্কলঙ্ক সে প্রতিটি আলোকরশ্মির মতো 

English Translation of Bangla Folk Song: Fakir Lalon Shah; চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি; Forever I Nurtured a Mysterious Bird

 Forever I Nurtured a Mysterious Bird Forever I nurtured a mysterious bird, which never discloses its identity. For this grief, my eyes ...