Thursday, January 27, 2022

একটা সুন্দর গাছ বানালাম যত্নে

আর মুখোশগুলো ঝুলিয়ে দিলাম 

সুবিন‍্যস্ত ডালপালা থেকে

সবাই হাততালি দিয়ে বললো 

বাহ! কি সুন্দর!

তুমিও আবেগে আপ্লুত হয়ে বললে

বাহ! কি সুন্দর!

তারপর বা তার আগে

সত‍্যিকারের মুখগুলো সব লুকিয়ে রাখলাম

বা সাহায‍্য করলাম লুকিয়ে রাখতে

অপূর্ব গাছটার সামনে দাঁড়িয়ে 

আমিও স্মিত হেসে বললাম

বাহ! কি সুন্দর!


Now a days I don't feel anything much

Sometimes even my heart misses few beats

But I don't feel an alert at all

Nothing is in order nothing falls in place

Though we waited for long n long n long

I dont feel depressed 

I dont feel hopeless or hopeful 

There is some chest pain, some blur vision, some stringless reality

I don't feel to feel them at all

My brain works like a mecha as always 

Fevers come n go like former people

In my balcony flowers bloom n die like dreams  as always 


Monday, January 24, 2022

ভবে যা যেমনি ছিল তা তেমনি আছে,

নতুন তো নয়, ক্লিশে।

এই পৃথিবী ছেড়ে যাবা রে কই দেহ?

মরে গেলেও থাকতে হবে মিশে! 

Saturday, January 22, 2022

বস্তুগত পৃথিবী থমকে দাঁড়ায় না

বদলায় প্রকৃতি, থামে না

মানুষ চলতে শেখে, হারায় না

স্মৃতিরা মুছেও যদি বা যায়, কাল্পনিক হয়ে যায় না

ভালোবাসা ফুরিয়ে গেলে কেউ মরে যায় না কিংবা বেঁচেও ওঠে না

সত‍্যি আর মিথ‍্যে জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকে বিছানায়

তাই বলে

সত‍্যিরা মিথ‍্যে হয়ে যায় না কিংবা

মিথ‍্যেরা সত‍্যি হয়ে যায় না




Friday, January 21, 2022

খারাপ সময়ে যারা পাশে থাকে তাদের ছেড়ে কোনদিন যাইনা

আর প্রমাণিত বেইমানদের ভুল করেও ভুলিনা কখনো 

যারা ত‍্যানা প‍্যাঁচাতে ভালোবাসে থাকি তাদের কাছ থেকে একশ হাত দূরে 

হতাশায় গ্রস্ত হই আমিও কিন্তু একাকিত্বকে ভয় পাইনা

এই নগ্ন অনুভুতি একদিন উড়তে উড়তে

আধখানা পড়ে থাকে এখানে

আধখানা পৌঁছে যায় ওখানে

যেখানে অস্থির উন্মাতাল কাঁপতে কাঁপতে

বেজে যায় ছখানা তার নগ্ন

বিমূর্ত বিষমতায় আচ্ছন্ন নিমগ্ন

ভাবনায়, যা ভাবি একা পথ চলতে চলতে


ওরে মন, ভবের কথা শোন

তুই যদি হোস একজনা, সংগীতও একজন

ওরে মন, হায়রে, এত্তোটকুন মন

কেমন করে গাইবি, ধরবি রে তুই ধুন?

ওরে প্রাণ, ভবেরে তুই জান

নিজের আধার না হইলে কোথায় পাবি স্থান?

ওরে প্রাণ, দে না খুলে প্রাণ

ধন নয়, নয় মান, ধর এক জাগরনী গান

ওরে কায়া, ভবেরই তুই মায়া

সুরের জালে নে বেঁধে অবাক নিজের ছায়া

ওরে কায়া, জাদুকরী কায়া

গানের তরী বাইবি রে তুই, হইলে অনুসূয়া



Thursday, January 13, 2022

পিয়ানোতে আঙুল স্থির হতেই

বৃদ্ধ লোকটি মাথায় স্নেহের হাত রেখে বললেন

বাহ! হাতটা তো খুব মিষ্টি!

গলাটাও ভারী মিষ্টি দেখি!

আমি কিছু না বলে ব‍্যাগ গুছিয়ে

গ্রস্ত পায়ে বাড়ি ফিরলাম

বিছানায় শুয়ে শুয়ে নিজেকেই বললাম

না বলা কথাটা

মিষ্টি করে বাজাতে চাই না আমি

চাই না গলাটাও মিষ্টি শোনাক

এই ছিন্নভিন্ন হৃদয়টা শোনাবো বলে একদিন

অপেক্ষা করে আছি


While she breaks off

She dances with incredible breaks

She isn't so difficult to sync into

If you r thoughtful n you know it

Dance with her

Breaks r kool hooks in between

Babe 🖤


Wednesday, January 12, 2022

She made some fire

No, not to heat up some conversation 

But to burn some feelings 

Hush!

Feel the sizzling barbeque on fire

Babe 🖤

Tuesday, January 11, 2022

U r my HIGH

I m Ur LOW

In this galaxy 

Take as much space as U like

Babe 🖤


https://youtu.be/isWT4n8Hk1U

সীমারেখা : প্রাপ্তি

আমার বাবাকে ছয়শো কোটি টাকার একটা দূর্নীতি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছিল। সে সময় কোন প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র একটা অনুমানের ভিত্তিতে পত্রিকায় এবং টেলিভিশনের খবরে আমার বাবার নাম অভিযুক্ত দূর্নীতিবাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ডিভিশানের হেড হিসেবে, সারা জীবন সৎ থাকা আমার বাবা, যদি ওই একটি মাত্র দূর্নীতি করে ওই ছয়শো কোটি টাকার ন‍্যুনতম দশ শতাংশও আত্মসাৎ করতো তবে সে খুব সহজেই পুরো ক‍্যাশ ষাট কোটি টাকার মালিক হয়ে যেতো। সেই ষাট কোটি টাকার বর্তমান মূল‍্য হয়তো দাঁড়াতো অন্তত দুইশো কোটি টাকা, ক‍্যাশ। আমার বাবা সারা জীবন কর্মক্ষেত্রে সৎ থেকেছেন। অনেকেই থাকেন। আমার নিজের পরিবারেই বেশ ক'জন কয়েক প্রজন্মের সরকারি কর্মকর্তাদের খুব কাছ থেকেই সৎ থাকতে দেখেছি, এখনো দেখছি। আমার বাবার বিশ্বাস ছিল পৃথিবীতে সৎ ও ভালো মানুষের সংখ‍্যাই বেশি, বলতো যেন কখনো বিশ্বাস না হারাই মানুষের ওপর। শেষ পর্যন্ত বাবার সেই বিশ্বাস অটুট ছিল কি না সে ব‍্যাপারে আমি দ্বিধাগ্রস্ত বোধ করি মাঝে মাঝে। আমার বাবা একটা প্রচন্ড হতাশা ও কষ্ট বুকে নিয়েই তার শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেছিল হয়তো। কারন সেই দূর্নীতি মামলাটার কোনদিন নিষ্পত্তি হয়নি এবং কোন প্রমাণ না মিললেও বাবাকে তার জীবদ্দশায় ওই মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেয়া হয়নি। বরং মামলা চালাতে গিয়ে এবং দূর্নীতিবাজ প্রশাসনিক অনুসন্ধানকারীদের মিথ‍্যা রিপোর্টিংয়ের ব্ল‍্যাকমেইলিংয়ের চক্করে পড়ে তার শেষ সম্বল ও শান্তিটুকুও খুইয়ে ফেলেছিল। এছাড়াও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় চাকরি শেষে পাওনা ফাইনাল স‍্যাটেলমেন্টের টাকাটাও দেখে যেতে পারেনি বাবা। একবার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই পুরো ঘটনাটা সে ঠিক কিভাবে দেখে? বাবা উত্তর দিয়েছিল "এতো মানুষ অন‍্যায়ের শিকার হচ্ছে, এতো মানুষ বিচার পাচ্ছেনা, আমিই বা কেন বাদ পড়বো? অন‍্য অনেকের সাথে যা হচ্ছে এই সময়ে, আমার সাথেও তাই হচ্ছে।" আরো জিজ্ঞেস করেছিলাম সারা জীবন সৎ থেকে, এতো মানুষের জন‍্য এতো ত‍্যাগ করে কি পেলে? কিছুই তো পেলে না জীবনে, কি লাভ হলো? বাবা এসব প্রশ্নে মৃদু হাসতো শুধু, বলতো, "এভাবে বলে না মা। কে বললো আমি জীবনে কিছু পাই নাই? আমি জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি। এতো কিছু, যা কোনদিন চিন্তাও করি নাই, আমি যা পেয়েছি মানুষ তো কল্পনাতেও তা পায়না। এর জন‍্য আমি আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আমার মতো সামান‍্য মানুষের প্রতি উনার এতো দয়া। একটা কথা মনে রাখবা মা তোমার জীবনের হিসাব কখনো অন‍্য মানুষকে করতে দিবানা। তুমি কি পেয়েছো কি পাও নাই জীবনের কাছ থেকে তা শুধু তুমিই জানো আর আল্লা জানেন।" 


আমার বাবাকে কখনো অযথা উঁচু গলায় কথা বলতে শুনিনি। কখোনো প্রতিবাদ করতে দেখেছি কিংবা নিজের মতামত প্রকাশ করতে দেখেছি, কিন্তু কারো সাথে খারাপ ব‍্যাবহার করতে বা অপমান করতে দেখিনি।  আমার মা বা অন‍্য কোন নারীর মর্যাদা ও যোগ‍্যতাকে অসম বিচার করতে দেখিনি। মায়ের কোন চিন্তা বা সিদ্ধান্তকে অসম্মান করতে দেখিনি। সন্তানদের মধ‍্যে বিভেদ করতে দেখিনি। কোন ধর্মের বা বিশ্বাসের মানুষের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব‍্য করতে শুনিনি। একজন বাবা হিসেবে এবং প্রয়োজনে একজন মায়ের মতোও বুকে রেখে লালনপালন করেছেন আমাদের। এতো স্নেহ দিয়েছেন যা আমৃত‍্যু আমাদের আগলে রাখতে পারে। এমন জীবন বোধ জাগিয়ে দিয়ে গেছেন নইলে এই দূবৃত্ত সময়ে বেঁচে থাকা হয়তো কঠিন হয়ে যেত। বাবা আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কারন অসংখ‍্য মানুষের ওই অল্পটুকুও নেই। শিখিয়েছেন "যদি তোমার ইচ্ছা থাকে তুমি তোমার অল্পটুকুই, যার তাও নেই তার সাথে ভাগ করে নিতে পারো। তোমার অল্প সম্বল নিয়ে নিজে তো ভালো থাকতে পারোই অন‍্যের পাশেও দাঁড়াতে পারো। এর পুরোটাই নির্ভর করে তোমার ইচ্ছা ও পছন্দের ওপর।" বাবা কথায় ও কাজে এক ছিল। কম কথাই বলতো বাবা কিন্তু যা বলতো তার প্রতিফলন আমরা ওর জীবনযাপন ও কাজে দেখতে পেতাম। মনে আছে আমাদের বাসায় সবসময় কয়েকজন লোকের জন‍্য বাড়তি রান্না করা হতো। সরকারি দপ্তরে সারা দেশ থেকে লোক আসতো কাজে। কতো বৃদ্ধবৃদ্ধারা, দরিদ্র লোকেরা কাজ নিয়ে আসতো, বাবা প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় কাজ করে ওদের ঝামেলা ও খরচ কমানোর চেষ্টা করতো আর যাদের খাবার পয়সা নেই তাদের খাওয়ানোর জন‍্য ঘরে নিয়ে আসতো সাথে করে। আমার মাকেও কখনো এ নিয়ে কোন অভিযোগ করতে শুনিনি। বাবার চেনা কেউ অর্থসঙ্কটে পড়লে সবার আগে ওদের মোহাম্মদের (বাবার) কথাই মনে পড়তো, নিজের পকেটে টাকা না থাকলেও, বাবা যদি বলতো অন‍্য লোকেরা অচেনা মানুষকেও ধার দিতে রাজী হয়ে যেতো। 


আমার বাবা কর্মজীবনে, পারিবারিক জীবনে এবং সামাজিক জীবনেও অত‍্যন্ত সফল একজন মানুষ ছিল। অনেকে আবেগপ্রবণ হয়ে ওকে আল্লার ফেরেশতাও বলতো। শেষ কয়েক বছর বলতে গেলে একদম বাসা থেকে বের হতো না বাবা। মাঝে মাঝে দরকারে অফিসে বা মেডিকেল চেকাপে গেলে লোকজন খবর পেয়ে ছুটে ছুটে আসতো এক নজর দেখার জন‍্য, একটু কথা বলার জন‍্য। দূর্নীতির দায়ে ফাঁসিয়ে দেবার পরও লোকজন ভীড় করে সাহস যোগাতো বাবাকে বলতো "একদম ভয় পাবেন না স‍্যার/ভাই, আমরা বিশ্বাস করি আপনি কোন অন‍্যায় করেন নি। সব ষড়যন্ত্র। আপনার কেউ কোন কিছু করতে পারবেনা।" লোকজনের আবেগ উৎকন্ঠা দেখেও বাবা লজ্জিত বোধ করতো। ভাবতো ওর জন‍্য অন‍্যদের শান্তি নষ্ট হচ্ছে। বাবা কাউকে কষ্টে ফেলতে চাইতো না। প্রচন্ড অসুস্থ অবস্থাতেও কেউ সামান‍্য সাহায‍্য করে দিলে খুব লজ্জিত বোধ করতো। মৃত‍্যুর সময় নিজের গায়ের ফুলশার্ট আর গেঞ্জি নিজে খুলে ফেলেছিল যেন মৃত অবস্থায় অন‍্যদের কোন কষ্টে না পড়তে হয়। বাবা মারা যাবার পর যারা এসেছিল ওরা সবাই বলেছিল "একজন মানুষ চলে গেল আমাদের ছেড়ে। এমন মানুষ আর কি জন্মাবে?" কেউ বা বলেছিল "উনি ফেরেশতা ছিলেন। মানুষের শরীর দিয়ে আল্লা উনাকে পাঠিয়েছিলেন।" মানুষের কথা শুনে সেদিন মনে হয়েছিল সত‍্যিই তো, মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে এর চেয়ে বেশি আর কিইবা পাওয়ার থাকতে পারে এক জন্মে? বাবা ঠিকই বলেছিল, সে জীবনে অনেক কিছু পেয়েছে। এতো কিছু যা কেউ কল্পনাতেও পায় না।

ক্রমশ...



মানুষরা ও মানুষদের ছায়ারা

আসে যায় এবেলা ওবেলা

কেউ কেউ খেলতে ভালোবাসে 

ফাঁকা মাঠ বা ফাঁকা রাস্তা পেলে

খেলতে খেলতে ক্লান্তও হয়ে পড়ে

আসে যায় এবেলা ওবেলা

মানুষরা ও মানুষদের ছায়ারা


Dark notes

I color you darker

Dark notes 

Be like me

The deepest n the darkest 

Dark notes

Be like me 

Scream for me

Be my dearest

🖤

তোমার প্রেম একটা টুকরো নিঃশ্বাসের মতো 

পড়ে ছিল দরজার ধারে

শেষবার একটু স্নেহভরা চোখে তাকালে 

চলে যাবার আগে

দ্বিধাময় সন্ধ‍্যায় আমিও ফিরেছি ক্লান্ত পায়ে

চির পুরাতন আস্তানায় 

ধোঁয়া আর বাষ্পের উৎসবে হামেশাই গা গরম হলে

আধ খোলা আধ বোঁজা চোখে 

আমি পড়ে থাকি সটান স্নেহের অপেক্ষায়

ওরা ছাদটা নীল রঙ করে দিলনা শেষ পর্যন্ত

ভেবেছিলাম বুনে নেব কিছু অনুকূল নক্ষত্রপুঞ্জ

মিথ‍্যে আর সত‍্যের মায়াজালে

বেশি কিছু নয়

আধ খোলা আধ বোঁজা চোখে 

আমি পড়ে থাকবো সটান কিছু স্নেহের অপেক্ষায়

Sunday, January 9, 2022

স্বপ্নে দেখলাম গাঢ় গভীর চুম্বনে নিমগ্ন

আমরা দুজন

হঠাৎ বুঝলাম এ আমি নই

এ যে রুপসী বউটি তোমার

বিশ্বাস করো প্রেতাত্মা হতে চাইনি আমি

তোমাদের দুজনের মাঝে তো বিলক্ষণ নয়


কতো কিছুই তো ঘটতে পারতো

নরম কার্পেটে হামা দিতে পারতো আমাদের প্রেম

কতো কিছুই তো ঘটেছিল অতীতে

কামনার নিঃশ্বাসে আদ্র হয়েছিল তুলতুলে স্তন

সব ছাপিয়ে মৃত‍্যুই একমাত্র সত‍্য হয়ে ঝুলে আছে সিলিং থেকে


মৃতদের গানেরা অমর হয়

মৃতদের কবরে ফোটে ঘাসফুল

তোমায় ভালোবাসি আমি

ঠিক বুঝেছো তুমি বাগিচার বুলবুল

ওকে চলে যেতে বলো

ফিরে গেছে বহু আগেই

তবুও

একটা ক্ষুদ্র কৌতুহল 

ফেলে রেখে 

কাকে দেখায় সে করুণা?

ওকে চলে যেতে বলো

এখানে মৃত‍্যুর শীতলতা ছাড়া 

আর কিছু পড়ে নেই

আত্মঘাতী বউটা

আত্মঘাতী কন‍্যা ছিল কারো

জন্মেছিল এক আত্মঘাতী সময়ে

জড়িয়ে পড়েছিল এক আত্মঘাতী প্রেমে

ফিরে ফিরে আসে

মাথার ভেতর

তারপর ছড়িয়ে পড়ে

সারা শরীর জুড়ে

তুমি জানো না

জানলেও বুঝবে না


এই জাদু মোহনার তীরে

আমিও তোমার মতো 

পাললিক শিলার খাঁজে

অচেনা খুলি এক

Sunday, January 2, 2022

টুকরো কথা : দয়া করে প‍্যারা দিবেন না

২০২২ শুরু হয়ে গেলো। ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ কম বেশি নানান কিসিমের আনপ্রোডাকটিভ প‍্যারা খেতে খেতে কেটেছে। ২০২২ এ আমি কোন রকম আনপ্রোডাকটিভ প‍্যারা নিতে একেবারেই নারাজ। কপালের কথা তো আমরা কেউ জানিনা কিন্তু এই মাইন্ডসেটটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হঠাৎই মনে হলো আমি কি কি কাজ পারি আর কি কি কাজ পারি না তার দুইটা লিস্ট করা দরকার। তো প্রাইমারি লিস্ট দুটো করেও ফেললাম। তারপর মনে হলো প্রথম লিস্টটা পাবলিকের সাথে শেয়ার করি। 

লিস্ট-১ : আমি মূলত যা যা পারি:

১. নানান ধারার ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন ভয়েসিং করতে পারি 

২. ক্লাসিকেল গিটার বাজাইতে পারি

৩. মোটামুটি পিয়ানো ও কিবোর্ড বাজাইতে পারি

৪. লিরিক লিখতে পারি

৫. মিউজিক কমপোজ করতে পারি

৬. মিউজিক এ‍্যারেঞ্জ করতে পারি

৭. হালকা পাতলা সাউন্ড এঞ্জিনিয়ারিং পারি

৮. গদ‍্য ও পদ‍্য লিখতে পারি ও পড়তে পারি

৯. পোট্রেট, ক‍্যারিকেচার ও বিবিধ ছবি আঁকতে পারি

১০. নানান রকমের পোষাক পরিচ্ছদ ডিজাইন করতে ও বানাইতে পারি

১১. দেশী বিদেশী অন্তত বিশটা স্টিচিং পারি

১২. বাঙালি, ইন্ডিয়ান (প্রায় সব রাজ‍্যের), চাইনিজ, থাই, ইটালিয়ান, ফ্রেঞ্চ ও ব্রিটিশ অসংখ‍্য রান্নাবান্না পারি

১৩. ফিনানসিয়াল এ‍্যানালাইসিস করতে পারি

১৪. বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশান সংক্রান্ত সব কোর কাজই পারি (স্পেশালি ফিনানসিয়াল সেক্টরের)

১৫. ক্রিটিকেল রিজনিং করতে পারি

১৬. চরিত্র অভিনয় করতে পারি

১৭. শিল্প নির্দেশকের কাজ পারি

১৮. মেকআপ করতে পারি

১৯. কারো প্রয়োজনে পারসোনাল এ‍্যাপিয়ারেন্স ও লাইফস্টাইল গ্রুমিং করতে পারি

২০. পাবলিকলি ভালো কথা বলতে পারি

২১. ফার্নিচার ডিজাইন করতে পারি

২২. ঘরদোর সাজাতে, গুছাতে ও পরিষ্কার করতে পারি

২৩. হালকা পাতলা নাচতে পারি

২৪. হালকা পাতলা সেল্ফ ডিফেন্স পারি

২৫. আরো আছে বলার মতো, এখন মনে পড়ছে না

২৬. এছাড়াও আমার আরো কিছু সফট স্কিলস আছে যেগুলো আমি সবাইকে জানাতে চাইনা।

উপরের সবগুলো কাজ আমি বেশিরভাগই প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে  এবং কিছু নিজের চেষ্টায়, অনেক পরিশ্রম করে এবং অনেক সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করে শিখেছি। এই সবগুলো শিক্ষাই আমার জীবনে এবং অন‍্যদের জীবনেও কাজে আসে এবং এসেছে আজ অব্দি। "আমি কোন কামের না", "আমি কেন খালি ঘুমাই" ইত‍্যাদি বক্তব‍্য ও জিজ্ঞাসা পয়দা করে তারপর সরাসরি বা অন‍্য কারো মাধ‍্যমে শুনিয়ে শুনিয়ে যারা ত‍্যক্ত করার চেষ্টা করেন তাঁদের জানা উচিত দীর্ঘ‍্য সময় ঘুমানো আমার একরকম হকের মধ‍্যে পড়ে।

*আমি যা যা পারি না কিন্তু পারা উচিত বা দরকার তারও লিস্ট আছে আমার। 






Saturday, January 1, 2022

টুকরো কথা : সমাজের স্বভাব

ধরেই নিতে হচ্ছে একজন নারীকে কেউ যথার্থ সম্মান করে না কিংবা আদৌ সম্মান করে না। তাই সম্মান আদায় করে নিতে হবে নারীকে। ছোট ছোট মেয়েগুলো কি তৈরী হচ্ছে এমনভাবে যেন তারা সম্মান আদায় করে নিতে পারে? শুধুমাত্র স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করলে কিংবা পেশাদারি সফলতা অর্জন করলেই কি নারী তার ন‍্যায‍্য সম্মান আদায় করে নিতে পারে? নারীর যোগ‍্যতা ও উদ্দেশ‍্যকে সন্দেহ করাও অসম্মানেরই সামিল। উঠতি ছেলেমেয়েগুলো দেখছে নারীদের জনসম্মুখে নানা ভাবে অসম্মানিত হতে, বৈষম্যের শিকার হতে। এদের অধিকাংশই ধরে নিচ্ছি ভবিষ‍্যতে নারীকে জনসম্মুখে অসম্মান করবেনা। কিন্তু এদের অধিকাংশই আবার শিখছে নারী অসম্মানের যোগ‍্য, বৈষম‍্যের যোগ‍্য। কোন অন‍্যায় ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের স্বাভাবিকীকরণ একটি সমাজের জন‍্য হয়তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। কারন তখন সেই অন‍্যায়টিকে, ভুলটিকে কেউ আর অন‍্যায় বা ভুল বলে মানতে তো পারেই না, ভাবতেও চায়না। নারীকে সমযোগ‍্য মনে না করা অপরাধ, নারীকে যে কোন অবস্থাতেই অসম্মান করা অপরাধ সে কেউ জনসম্মুখে করুক, বন্ধ ঘরে করুক কিংবা মনে মনে করুক। এই স্বাভাবিকীকৃত অপরাধই তৈরী করে নারীবিদ্বেষী, বৈষম‍্যবাদি অভিভাবক, সহদর-সহদরা, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী, চাকুরীদাতা, ব‍্যাবসা সহযোগী, সহকর্মী, বিচারক, রাষ্ট্রপরিচালক, বিবিধ পেশাদার এবং ফৌজদারী অপরাধীদের। যে কোন স্বাভাবিকীকরণ তৈরী করে স্বভাবের। স্বভাব দোষে দুষ্ট ব‍্যাক্তি একসময় পরিণত হয় অসুস্থ ব‍্যাক্তিতে। সমাজ ও রাষ্ট্রও ব‍্যাক্তির মতোই। অবহেলিত অনিরাময়িত অসুস্থতা ডেকে আনে অকালমৃত‍্যু। কোন রোগের চিকিৎসাই বস্তুতপক্ষে আরামে হয় কি? শরীরের প্রতিটি আক্রান্ত কোষকে ও সুস্থ কোষদেরও যুদ্ধ করতে হয় রোগ নিরাময়ের জন‍্য। আমরা ভাবি এইতো বেশ আছি। ভালো আছি। আমাদের আয়েশপূর্ণ জীবন। কোন ঝামেলায় কেন জড়াবো? যতোক্ষণ পর্যন্ত আক্রান্ত না হচ্ছি স্বস্তিপূর্ণ স্বভাব, জীবনাচরণ ও বিশ্বাস কেন ত‍্যাগ করবো? আমরা কি এটা ভাবি আক্রান্ত হলে কি করবো? নারীকে এক সময় এমনই অপাংক্তেয় করা হতো যে নারীকে পুড়িয়ে মেরে ফেলাও স্বাভাবিক ছিল। এই সেই ভারতবর্ষ যেখানে নারীকে নাকি পূজা করা হয়। ইউরোপে ডাইনি অপবাদ দিয়ে বৃদ্ধা ও প্রতিবাদী নারীদের পোড়ানো হতো। মধ‍্যপ্রাচ‍্যে এখোনো পাথর নিক্ষেপ করে নারীদের মেরে ফেলা হয়। ইসলামিক রাষ্ট্রে নারীদের বানানো হয় সেবাদাসী। মাজের কুস্বভাব যতো সহিংসই হোক না কেন আমরা মানুষেরা স্বস্তিতে থাকি। আমাদের বেঁচে থাকা, আনন্দে, উৎসবে, আরামে বেঁচে থাকা কখনো কঠিন হয়না। 

English Translation of Bangla Folk Song: Fakir Lalon Shah; চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি; Forever I Nurtured a Mysterious Bird

 Forever I Nurtured a Mysterious Bird Forever I nurtured a mysterious bird, which never discloses its identity. For this grief, my eyes ...