ধরেই নিতে হচ্ছে একজন নারীকে কেউ যথার্থ সম্মান করে না কিংবা আদৌ সম্মান করে না। তাই সম্মান আদায় করে নিতে হবে নারীকে। ছোট ছোট মেয়েগুলো কি তৈরী হচ্ছে এমনভাবে যেন তারা সম্মান আদায় করে নিতে পারে? শুধুমাত্র স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করলে কিংবা পেশাদারি সফলতা অর্জন করলেই কি নারী তার ন্যায্য সম্মান আদায় করে নিতে পারে? নারীর যোগ্যতা ও উদ্দেশ্যকে সন্দেহ করাও অসম্মানেরই সামিল। উঠতি ছেলেমেয়েগুলো দেখছে নারীদের জনসম্মুখে নানা ভাবে অসম্মানিত হতে, বৈষম্যের শিকার হতে। এদের অধিকাংশই ধরে নিচ্ছি ভবিষ্যতে নারীকে জনসম্মুখে অসম্মান করবেনা। কিন্তু এদের অধিকাংশই আবার শিখছে নারী অসম্মানের যোগ্য, বৈষম্যের যোগ্য। কোন অন্যায় ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের স্বাভাবিকীকরণ একটি সমাজের জন্য হয়তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। কারন তখন সেই অন্যায়টিকে, ভুলটিকে কেউ আর অন্যায় বা ভুল বলে মানতে তো পারেই না, ভাবতেও চায়না। নারীকে সমযোগ্য মনে না করা অপরাধ, নারীকে যে কোন অবস্থাতেই অসম্মান করা অপরাধ সে কেউ জনসম্মুখে করুক, বন্ধ ঘরে করুক কিংবা মনে মনে করুক। এই স্বাভাবিকীকৃত অপরাধই তৈরী করে নারীবিদ্বেষী, বৈষম্যবাদি অভিভাবক, সহদর-সহদরা, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী, চাকুরীদাতা, ব্যাবসা সহযোগী, সহকর্মী, বিচারক, রাষ্ট্রপরিচালক, বিবিধ পেশাদার এবং ফৌজদারী অপরাধীদের। যে কোন স্বাভাবিকীকরণ তৈরী করে স্বভাবের। স্বভাব দোষে দুষ্ট ব্যাক্তি একসময় পরিণত হয় অসুস্থ ব্যাক্তিতে। সমাজ ও রাষ্ট্রও ব্যাক্তির মতোই। অবহেলিত অনিরাময়িত অসুস্থতা ডেকে আনে অকালমৃত্যু। কোন রোগের চিকিৎসাই বস্তুতপক্ষে আরামে হয় কি? শরীরের প্রতিটি আক্রান্ত কোষকে ও সুস্থ কোষদেরও যুদ্ধ করতে হয় রোগ নিরাময়ের জন্য। আমরা ভাবি এইতো বেশ আছি। ভালো আছি। আমাদের আয়েশপূর্ণ জীবন। কোন ঝামেলায় কেন জড়াবো? যতোক্ষণ পর্যন্ত আক্রান্ত না হচ্ছি স্বস্তিপূর্ণ স্বভাব, জীবনাচরণ ও বিশ্বাস কেন ত্যাগ করবো? আমরা কি এটা ভাবি আক্রান্ত হলে কি করবো? নারীকে এক সময় এমনই অপাংক্তেয় করা হতো যে নারীকে পুড়িয়ে মেরে ফেলাও স্বাভাবিক ছিল। এই সেই ভারতবর্ষ যেখানে নারীকে নাকি পূজা করা হয়। ইউরোপে ডাইনি অপবাদ দিয়ে বৃদ্ধা ও প্রতিবাদী নারীদের পোড়ানো হতো। মধ্যপ্রাচ্যে এখোনো পাথর নিক্ষেপ করে নারীদের মেরে ফেলা হয়। ইসলামিক রাষ্ট্রে নারীদের বানানো হয় সেবাদাসী। মাজের কুস্বভাব যতো সহিংসই হোক না কেন আমরা মানুষেরা স্বস্তিতে থাকি। আমাদের বেঁচে থাকা, আনন্দে, উৎসবে, আরামে বেঁচে থাকা কখনো কঠিন হয়না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
English Translation of Bangla Folk Song: Fakir Lalon Shah; চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি; Forever I Nurtured a Mysterious Bird
Forever I Nurtured a Mysterious Bird Forever I nurtured a mysterious bird, which never discloses its identity. For this grief, my eyes ...
 
- 
The Fear of Losing Castes They cry over the fear of losing castes! What a strange factory of humans! Nobody agrees on real works, Everyo...
- 
পন্ডিতে কয় পানিভাত বন্ধুরা কয় দুধভাত জ্যোতিষীরে হাতখান দেখাইতে চাই মায় কইছে কালী দুলাভাইয়ে শালী আনন্দেতে রাতদিন কোমর নাচাই মাইয়ালোক মূর্খ ব...
 
 
 
No comments:
Post a Comment