জোৎস্না আপা পুকুর ঘাটে বাসন মাজছিল। ওর মুখে ওই উজ্জল রোদেও আঁধার ছিল। জোৎস্না আপার ভাইটা গুন্ডা তৈরী হচ্ছিল। ওর চোখে প্রতিশোধের আগুন ছিল। জোৎস্না আপার মা একটাও কথা বলছিল না। ওনার সব সম্পত্তি আর সব কথা কেড়ে নিয়েছিল ষড়যন্ত্র। জোৎস্না আপার বাবা কলেজের শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। ওনার একজন সৎ ও তুখোড় জনপ্রতিনিধি হবার কথা ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের সংসদে।
জোৎস্না আপার বাবার লাশটা যখন পড়ে ছিল খালে, জোৎস্না আপার বয়স ছিল দুই আর জোৎস্না আপার ভাই ছিল জোৎস্না আপার মায়ের পেটের ভেতর। তখন ডিসেম্বর, ১৯৭১।
জোৎস্না আপার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, জোৎস্না আপাকে যারা কষ্ট দিয়েছে, জোৎস্না আপার ভাইকে যারা কষ্ট দিয়েছে, জোৎস্না আপার মাকে যারা কষ্ট দিয়েছে, ওদের সবাইকে আমি সমানভাবে ঘৃণা করি। ওরা যেখানেই থাকুক, সবাই যেন সমান শাস্তি পায়। ওরা আমার কেউ না। ওরা বাংলাদেশের কেউ না। ওরা মানুষদের কেউ না।
No comments:
Post a Comment