খুঁজে দাও নীল শাড়িটা
মেঘ করেছে খুব
বৃষ্টিতে ভিজবো একটু
সে ফিরবে না তা জানি
তবু খুঁজে দাও নীল শাড়িটা
পিঠে বল পড়বার আগে তো বুঝতেই পারিনি আমি ছিলাম এক দুধভাত ওই সাতচাড়া খেলায়
আর তুমি চোখে আঙুল দিয়ে না দেখালে জানতামই না এ হলো এক বড়দের হৃদয় ও শরীরের খেলাই
দুধভাতই থেকে যাই কিছু এসে যায়না থাকি মাঠে বা মাঠের বাইরে
চাড়াগুলো যতোই গুছিয়ে রাখি একের ওপর আরেকটা
যেমন পরিপাটি সাজিয়ে রাখি ঘরদুয়ার
রান্নাঘরে পদের পাশে পদ
ভালোবেসে শব্দের পরে শব্দ
বিছানায় নিঃশ্বাসের ওপর নিঃশ্বাস
খুঁজে দাও নীল শাড়িটা
মেঘ করেছে খুব
বৃষ্টিতে ভিজবো একটু
সে ফিরবেনা তা জানি
তবু খুঁজে দাও নীল শাড়িটা
বিদ্যুতের তারে পাতিকাকটা ঝুলছিল কয়েকদিন
কেউ নামায়নি আমিও ভুলেছি নানান কাজে
তারপর উধাও দেখি একদিন ঠিক এই স্বত্বার মতো
অন্ধকার গলিতে প্রেমিকদের ঘর আমি ভয় পাইনি একটুও
শুধু জ্বরের ঘোরে অথবা ঘুমের বা নেশার ঘোরেই ডেকেছি ভুল নামে
কিছু এসে যায়না তাতে নাহ সত্যিই কিছু এসে যায়না
দুদিন দুবছর বা দুঘন্টার প্রেমিক যারা হয় তারা ক্ষমাশীল
যেমন ক্ষমা করে দেয় বিধিবদ্ধ প্রতিবেশ
দেয়ালে চিৎকারের পর চিৎকার
মগজে অন্ধকারের ভেতর অন্ধকার
স্নানঘরে জলের সাথে জল
খুঁজে দাও নীল শাড়িটা
মেঘ করেছে খুব
বৃষ্টিতে ভিজবো একটু
সে ফিরবেনা তা জানি
তবু খুঁজে দাও নীল শাড়িটা
ওরা কেউ কথা বলে ফিসফিসিয়ে কেউ তাকায় আড়চোখে আবার কেউ হাঁক ছেড়ে মারতে আসে
আঁচড়ে কামড়ে দাঁত আর নখের রক্ত চেটে খায় জিভ দিয়ে
উন্মত্ত চাঁটিতে নিতম্ব লাল নীল কালো বা রংধনু যাই হোক ওদের ভালোই লাগে
আর ভালোই লাগে বয়স হোক তেরো বা তেত্রিশ
দেহগুলো ফ্যান থেকে ঝুলুক বা ঝরনা থেকে
গলাতে ফাঁসটা থাকে ঠিকঠাক
যেমন ঠিক নিয়মে চলতে থাকে সময় টিকটিক টিকটিক
আদালতে তারিখের পর তারিখ
মাজারে চাদরের ওপর চাদর
বদ্ধভুমিতে শরীরের নিচে শরীর
খুঁজে দাও নীল শাড়িটা
মেঘ করেছে খুব
বৃষ্টিতে ভিজবো একটু
সে ফিরবেনা তা জানি
তবু খুঁজে দাও নীল শাড়িটা
No comments:
Post a Comment