Tuesday, August 31, 2021

He said softly n lastly

"Walk with me"

So we started walking like we hd never walked before 

There ws no love n no sorrow 

N there ws so much love n so much sorrow

We kept walking together through parallel universes 

N we never met

We only knew dat we hd our vows 

N we knew dat we r ment to walk together 

Monday, August 30, 2021

রেলা | এক

সবাই তো দুই চোয়ালেই খায়

কেউ কম আর কেউ বেশি

কিন্তু কেউ কেউ আছে এমনই

দু'দুটো জিভ নেড়ে কথা কয়

যখন যেমন সুবিধে

কিংবা যখন যেমন খুশি

যারা ধুলোতে ল‍্যাটকাতে পারে নিশ্চিন্তে

বোকা গালিব কখনোই ছিলনা তাদের একজন

হায় সুদর্শন চাঁদ !!!

চির ছোকরা তুমি রয়েই গেলে!

কালোদের, সবুজদের, সাদা, লাল আর হলুদদেরও গানে

করুনা ও ধর্ম রয়েছে যাদের

তারা ত‍্যাগ করতে পারে সব

চোখে দেখা রাজারা রাজা তো  নয় আসলে কেউই

বিভ্রমের পৃথিবী, হায় !!!

চির মায়াবিনী রয়েই গেলে তুমি!

তবে বলি কি, পারো তো ছুঁয়ে দেখাও বৈরাগী প্রেমিককে...





Saturday, August 21, 2021

টুকরো কথা : মহড়া

স্বপ্নগুলো হয়তো অধরা থেকে যাওয়াই ভালো, আজকাল মনে হয়। একটা নাটক আছে "আধে অধুরে", অনেক বছর আগে রিহার্সেল রুমে দিনের পর দিন ওই নাটকটার আঠারো উনিশ বছরের এক নারী চরিত্রে মহড়া দিয়ে গিয়েছিলাম, লোকবলের অভাবে (?!) নাটকটা আর মঞ্চস্থ করা হয়নি আমাদের। আফসোস নেই কোন এতে, কতো মহড়াই তো দিয়ে গেছি এই জীবনে, ঘরে, বাইরে। মাঝে মাঝে মনে হয়, যতো রকম মহড়া রয়েছে, সেই মহড়াগুলোই প্রকৃত সত‍্যি... পরিবেশন... কি আর বলবো, পরিবেশন শব্দটার মধ‍্যেই উত্তরটা যে পাওয়ার সে পাবে। সে যাকগে... নাটকটা তো মঞ্চস্থ হলো না আমাদের কিন্তু, অন‍্য আরো অনেক নাটকের মতোই, এর চরিত্রগুলো আমার মাথায় চেপে বসে রইলো। একটা অস্বস্তিকর, অস্বাস্থ্যকর, কাপুরুষসুলভ জাগতিক বাস্তবতা আমাকে তাড়া করে ফিরতে লাগলো। অসম্ভবতাময় সব না পাওয়াগুলো ম্লান করে দিতে লাগলো সেই সবকিছুকে যেগুলো প্রকৃতপক্ষে সম্ভব। 


আমি, সত‍্যি বলতে কি, অতীত নিয়ে বাঁচিনা কখনোই। পীড়িত হই, চমৎকৃতও হই, কিন্তু বর্তমানের পরিচয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সময়, গ্রহ, নক্ষত্র, অণু, পরমাণু, কিংবা প্রতিনিয়তের মৃদু কম্পন, সদা পরিবর্তনশীল বর্তমান, আমাদের পরিচয়ও তেমনই। মাথার ভেতর বোধ, সেও পরিবর্তনশীল। আমার এক বন্ধু কিছুদিন আগে, আমার অগ্রহনযোগ‍্য (?!) ক্রিয়াকলাপ ও চিন্তাভাবনার কিছুটা আভাস শুনে হয়তো একটু শ্লেষে সাথেই বলেছিল "Look, U r not a teenager anymore". হুম, আমার ভালোর জন‍্যই বলেছিল। দিনের শেষে বেশিরভাগ মানুষই শুভাকাঙ্খী, জানি, ওরা ভয় পায় অনিশ্চিত, অচেনা ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানকেও। 


আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, খুব নাকি প্রশ্ন করে করে লোকেদের মাথা খেতাম, সবাই ভীষণ বিরক্ত হতো। তারপর কখন থেকে যে প্রশ্ন করা ছেড়ে দিয়েছি, মনে নেই। উত্তরগুলো কবে থেকে নিজেই খুঁজে নিতে শুরু করেছি, তাও মনে নেই। উত্তর খুঁজে না পেলে যে মন খারাপও করতে নেই, তা কখন বুঝলাম কে জানে। শুধু উত্তর নয়, কোন না পাওয়া নিয়েই আসলে মন খারাপ করতে নেই, এটাও ভেবেছি খুব ছোটবেলাতেই। কারো কারো মনে হতে পারে এই জীবনটা কি মারাত্মক সব ভুলে ভরা, কিন্তু ওই ভুলগুলো না হলে তো অন‍্য সব ভুল হতো, একটা খাঁটি জীবন ভুলে ভরাই তো হবে, তাই না? ছিমছাম, নিপাট, নিখুঁত, boring একটা জীবন কে চায় (?), আমার তো অন্তত চাই না। ওই যে বললাম মহড়ার কথা, কোথায় যেন, খুব খাঁটি, জীবনটাও তেমনি। আজ হয়তো আমার যথাযথ পরিণত আচরন ও  চিন্তাভাবনা করা উচিত, যে বয়সের যে চাহিদা। কিন্তু মজার ব‍্যাপার হলো, অপরিণত বয়স আমার কখন ছিল তা তো আমি জানতামই না আর তার চেয়েও বড় কথা, অপরিনত বয়সে যে অপরিণত আচরন ও চিন্তাভাবনা করা যায়, তাও তো কেউ কোনদিন ঘুণাক্ষরেও জানতে দেয়নি!


সে যাকগে, কেউতো আর উত্তর দেবার চাকরি নেয়নি, আগ বাড়িয়ে কিছু জানানো তো দূর। পরিণত ও অপরিণত জ্ঞান, চিন্তা ও জীবনযাপনের ধাঁধাটা কিন্তু প্রত‍্যেকের জন‍্যই। আপাতত বেঁচে আছি, বেঁচে থাকি প্রতিদিন, একই সাথে মোহময় ও মোহহীণ কোন ইত‍্যবসরে। সারি সারি খাঁটি মহড়া দিয়ে যাই প্রতিদিন অগুনতি স্নায়ু কোষে কোষে। পরিণত না অপরিণত তার বিচার করতে চাইনা ভুলেও, ব‍্যাঁকা হোক...তবু আমার...





Friday, August 6, 2021

টুকরো কথা : ডাক : এক

সেদিন কোভিড টেস্টের লাইনেই একজন লোক মরে গেল। করোনা মহামারির ভয়াবহতা ফিল্মে দেখা মহামারিগুলোর মতো ঠিক নয় যদিও তবু এই খবরটা পেয়ে একটা আতঙ্ক পেয়ে বসলো আমাকেও। মূহুর্তেই মনে হলো আমিও কভিড টেস্টের লাইনে দাঁড়িয়ে আছি আর ঠিক সামনে দাঁড়ানো লোকটা হঠাৎই ভীষণ  শ্বাসকষ্টে কাতরাতে কাতরাতে মরে গেল চোখের সামনে। চারিদিকে মৃত‍্যুআতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো বিদ‍্যুৎগতিতে, চারপাশে আমরা সবাই বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি ঘটনাটা কিন্তু কেউ কাছে যাচ্ছিনা। কিছুক্ষণ পর পিপিই পরা কয়েকজন এলো আর মৃতদেহটা উঠিয়ে নিয়ে গেল দক্ষতার সাথে। 


আমি মৃত‍্যুকে ঠিক ভয় পাইনা, মৃতদেরও না, কিন্তু মৃত‍্যু পথযাত্রীদের নিয়ে আমার বরাবরই ভয়। কাউকে চোখের সামনে মরতে দেখিনি, দেখতে চাইও না। চাইনা কেউ দিয়ে যাক তার শেষ শব্দ, শেষ দৃষ্টি, শেষ নিঃশ্বাস আমার স্মৃতিতে। বহুদিন আগে একটা কুকুরের মৃত‍্যুর কথা পড়ে এতোটাই বিমর্ষতা পেয়ে বসেছিল যে দস্তয়ভস্কির "Humiliated and Insulted" উপন‍্যাসটা আর পড়াই হলোনা। কুকুরটা তো মরেছিল, ওর নিঃস্ব, বৃদ্ধ, নিঃসঙ্গ মালিকটার কি হয়েছিল তারপর কে জানে?


আজ একটা খবরের শিরনাম হলো "নদীতে সাঁতার শিখতে গিয়ে তিন বোনের মৃত‍্যু"। এমন খবরে হাসবো না মন খারাপ করবো বুঝতে পারছি না। আমি যতদুর জানি যারা ভাল সাঁতার জানে তারাই কেবল নদীতে নামে। তিন বোনের বয়স দশ থেকে ষোল, বেড়াতে গিয়েছিল, খরস্রোতা নদীর তীরে আত্মীয়ের বাড়ি, নদীর রুপ ধরে মৃত‍্যু ডেকেছিল ওদের। মৃত‍্যু যখন ডাকে মানুষ ভীষণ বোকা হয়ে যায়। বেশ কিছু বছর আগে আমার পরিচিত এক যুবক কর্ণফুলি ব্রিজের ধারে তার সদ‍্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে পা ঝুলিয়ে বসেছিলেন, হঠাৎ ওনার স্ত্রী হড়কে নদীতে পড়ে গেলেন, উনিও হিতাহিত জ্ঞান ভুলে নদীতে ঝাঁপ দিলেন স্ত্রীকে বাঁচাতে। শাড়ি পরা মেয়েরা নাকি সহজে পানিতে ডোবেনা, সেবার প্রথম জেনেছিলাম। অনেক রাত পর্যন্ত আমরা নদীর ঘাটে ভীড় করেছিলাম, আশা ছিল যুবকটি হয়তো বেঁচে আছেন। ওনার কাছের মানুষরা খুব অবাক হয়ে ভাবছিলেন যে এতো সাবধানী ও বিচক্ষণ একজন মানুষ কি করে স্ত্রীকে নিয়ে ব্রিজের ধারে পা ঝুলিয়ে বসার কথা ভাবতে পারেন তাও আবার যখন ব্রিজটি হলো কর্ণফুলি নদীর ওপর। হুম, মৃত‍্যু ডেকেছিল সেদিন ওনাকে, আর যুবকটিও সাড়া দিয়েছিলেন, অবিবেচকের মতো, বোকার মতো...



English Translation of Bangla Folk Song: Fakir Lalon Shah; চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি; Forever I Nurtured a Mysterious Bird

 Forever I Nurtured a Mysterious Bird Forever I nurtured a mysterious bird, which never discloses its identity. For this grief, my eyes ...