তুমি আমার কাঁধ ঝাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলে
"তবে বল কেন সাজিয়েছো এই ঘর?"
আমিও নিজেকে জিজ্ঞেস করি বার বার জানো
যখন নিপুন গোছাই এই ঘর
কেন সাজিয়েছি এমন আন্তরিক বিবরনে?
কেনই বা আমিও নিখুঁত সেজে থাকি?
কেন সেজে থাকে বইঘর গানঘর খাবারঘর রান্নাঘর বসারঘর শোবারঘর এমন কি স্নানঘরও?
খবরের কাগজের স্তুপ, ব্যবহৃত কৌটো বোতল শিশি ব্যাগ যত বাজেমালও গুছিয়ে থাকে একটুও দৃশ্যপটকে বিরক্ত না করে
প্রতিদিন ধুলো ঝেড়ে ঝেড়ে পালকের ঝাড়ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে
একটা একটা করে তার খসে যায় পালক
ভেবে দেখিনি খসে গিয়ে ওরা কি মুক্ত হয়ে যায় না কি একলা হয়ে যায়?
টেবিলে সুবাসী আবেগ ছড়ায় ধোঁয়া ওঠা রাজহাঁসের ঝোল আর ধবধবে ভাত
বিবস বিকেলে কথা বলে ওঠে শৈল্পিক চিনেমাটির বুকে আদা চায়ের আবেদন
বারান্দায় যত্নে থাকে ফুল ও ভ্রমরেরা
আর বাহারি পাতায় সেজে থাকে প্রবেশ দ্বারের পথ
আমিও নিজেকে প্রশ্ন করি জান?
একটা জীবন কেন সুখের আয়োজনেই শেষ হয়ে যায়?
সেইতো ভিজে থাকে জামার খুঁট তক্তপোষ আর বালিশ
সেইতো বিঁধে থাকে অপমানের ছুরি অবহেলার কাঁটা অধিকারের শেকল
সেইতো দুই চোখে অতীতের অশরীরি আত্মা ভর করে থাকে
জীবনের চৌকাঠ পেরোলেই বুঝি এত আলো এত অন্ধকার?
ঝলসে যাওয়া অন্ধ হয়ে যাওয়া দুই চোখে হাতড়ে হাতড়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে যেন সামনে চলা
এই পরিপাটি চতুর্পাশ কে জানে
ঘোচায় কি না অন্ধত্বের গ্লানী?
No comments:
Post a Comment