সে শুয়ে থাকে ঘাসের ওপর তারপর ঘাস হয়ে যায় আর ঘাসফুল হয়ে ফোটে
বাতাসে দোলে
তাকে মাড়িয়ে যায় মানুষ, ছাগলের পাল, একাগ্র গরু, বুনোরা, পোষ্যরা
সে হাত প্রসারিত করে শূন্যে
যেনো আলিঙ্গন করে সমূদ্রকে দিগন্তকে আকাশকে শূন্যতাকে
নাক দিয়ে শুষে নেয় মাটি জল হাওয়া আর আলোর সৌরভ
কঠোর রৌদ্রে জ্বলে যায় চোখ, চোখের পাতা তবু পাখিদের ডানা আঁকড়ে থাকে তার চেতনা
কিংবা পোকাদের দৃষ্টি হয়ে দেখে যায় রঙ আর জনপদ
অলৌকিক সংগীত ও শব্দ খুঁজে ফেরে সরু গলির অন্ধকারে
কি দারুণ পরাভবে বয়ে যায় অচেনা সত্যকে
উন্মাদনা আর ক্লান্তিতে তার দেহে জাগ্রত ইতিহাস
বেঁচে থাকে মরে যায় বর্তমান, ভবিষ্যত
পার্কের বেঞ্চিতে ভরদুপুরে অনন্ত বসে তার একাকী পলাতক অস্তিত্ব
নিঃসহায় রয়ে যায় সে নতুনের আকুতিতে
আঙুলে কন্ঠে তার চিরকাল দেশহীন ভূমিহীন পরিচয়হীন অগস্ত্য যাত্রা
No comments:
Post a Comment