আমি সেই সবুজ মেয়ে যে বসে থাকতো পাহাড়ে সবুজ ঘাসের ওপর
কথা বলতো মনে মনে
দূরের পৃথিবী আর আকাশটাকে দেখতে দেখতে বিরামহীন
সময় থেমে যেত যার গভীর ঘন সবুজের ছায়ায়
আমি সেই সবুজ মেয়ে যে ভিজে যেত যতক্ষণ না বৃষ্টি থামতো
আপাদমস্তক সিক্ত থাকতো যার সবুজ বৃষ্টিতে
দমকা হাওয়ায় যে মেলে ধরতো প্রাণ
আর গান গেয়ে যেত নেচে যেত কিংবা হেসেই যেত যতক্ষণ ইচ্ছে
আমি সেই সবুজ মেয়ে যার চোখে মুখে লেগে থাকতো সূর্যের শেষ আলোটুকু
আর ঘরে ফেরা পাখিরাও ওকে দেখে যেত মমতায়
বিবেচক কুকুরের দল কাছে ঘেঁসে থাকতো পাহারায় যার
আমি সেই সবুজ মেয়ে যে শুয়ে থাকতো জোছনায়
জোনাকিরা মদ্যপ মাতালের মতো বেরিয়ে আসতো ঝোপগুলোর আড়াল থেকে দলে দলে
তবুও সে আচ্ছন্ন হয়ে থাকতো কোন বিষাদগ্রস্ত সুর বা কবিতায়
আমি সেই সবুজ মেয়ে যে একদিন আনমনে হেঁটে গিয়েছিল নিরুদ্দেশে
একটা অচেনা জনপদে এসে ভিড়েছিল তারপর
যেখানে সবাই অন্য এক ভাষায় কথা বলে
আর কেউ যেখানে সবুজ নয়
যেখানে আকাশ নেই বৃষ্টি নেই সবুজ নেই
সূর্যের শেষ আলো ও জোছনা যেখানে ম্লান
জোনাকি নেই পাখিরা নেই
নেই একটাও বিবেচক কুকুর
আমি সেই সবুজ মেয়ে যার সারা শরীর ক্লেশাক্ত
প্রাণ আড়ষ্ট কন্ঠ রুদ্ধ হয়েছিল হঠাৎই
যে মরে পড়ে ছিল আছে বহু বছর ধরে
No comments:
Post a Comment