Sunday, December 12, 2021

আছাড়

এবং অবশেষে আমি দ্বিতীয় বারের মতো প্রেমে পড়লাম। অনুভুতিটা প্রথমবারের মতোই প্রবল ছিল। কিন্তু প্রথমবার যেমন মস্তিষ্কে ভর করেছিল কোন এক অচেনা বীরপুরুষ এবারে নিজেকে সম্পূর্ণ অবাক করে দিয়ে ভর করলো এক অচেনা কাপুরুষ। প্রথমবার যেমন আমার চেতনা নিজেকে উজাড় করে নিবেদন করতে থরথর করে কাঁপছিল এবারে সেই আমারি চেতনা নিজেকে লুকিয়ে রাখবার জন‍্য থরথর করে কাঁপতে থাকলো। 

সত‍্যিকার অর্থে প্রেমে পড়া বিষয়টি বুঝতে বা নিজের মধ‍্যে অনুভব করতে সমবয়সী বন্ধুদের চাইতে হয়তো কিছু দেরিই হয়েছিল আমার। তাও অবশ‍্য আমি বুঝতে পারতাম না, কিন্তু যেদিন আমার ভীষণই বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন এক বন্ধু, যে ছিল বয়সে অনেকটাই বড় এবং অত‍্যন্ত জ্ঞানী এবং তৎকালীন সকল সৎকর্ম ও অপকর্মেরও সঙ্গী একরকম, তারচেয়েও বড় কথা যার প্রতিটি কথা আমি গুরুত্বের সাথে গ্রহন করতাম, আমার কাছে জানতে চাইলো আমি কাউকে ভালোবাসি কিনা? আমি উত্তর দিলাম "না তো।"

: সে কি! তুই কাউকে পছন্দ করিস না?

: না তো।

: কি বলিস! তুই কখনো কারো প্রেমে পড়িস নাই?

: নাহ!

: তোকে কেউ প্রেম নিবেদন করে নাই?

: করেছে। দুজন।

: তো তখন তুই কি করলি?

: জানিনা কেন যেন ফানি লাগছিল ব‍্যাপারটা আর খুব হাসি পাচ্ছিল।

: কি! কি বলস এসব?

: না, হাসি পাওয়াটা আসলে ঠিক উচিত হয় নাই। আরেহ... এভাবে রেগে যাচ্ছো কেন? বল্লাম তো হাসাটা একদম উচিত হয় নাই। 

: রেগে আর কি হবে? আর রাগ করারও কিছু নাই। কিন্তু ব‍্যাপারটা তো চিন্তার বিষয়। 

: এ‍্যাঁ!!!

: তুই শিওর যে তুই কাউকে ভালোবাসিস না? বা তুই কারো প্রেমে পড়িস নাই, শিওর তুই?

: হ‍্যাঁ... মানে তাইতো মনে হয়... ধূৎ... তুমি তো দেখি আমাকে কনফিজড করে দিচ্ছো! ... আরে নাহ। কনফিউজড কেন হবো? আসলেইতো এখোনো প্রেমে পড়ি নাই কারো।

: তোর বয়স কতো?

: সতেরো।

: এই শতাব্দীতে এই বয়সে তুই কারো প্রেমে কখনো পড়িস নাই এই কথা আমাকে বিশ্বাস করতে বলিস?

: আরেহ... আমি কি মিথ‍্যা বলতেসি? আশ্চর্য তো... যাও বিশ্বাস না করলে নাই।

: প্রেমে পড়িস নাই কখনো কারো???

: না।

: কেন???

: আরেহ চিৎকার করতেসো কেন? কাউকে ভালো না লাগলে আমি কি করবো?

: কাউকে ভালো লাগেনা মানে???

: এখনো লাগে নাই আর কি। তো তাতে হইসেটা কি???

: হবে আর কি? চিন্তা। চিন্তা হচ্ছে। বুঝলি?

: ধ‍্যুৎ! প্রসঙ্গটা বাদ দাও তো। কি শুরু করলা খামাখা খামাখা।

: আচ্ছা একটা কথা বলতো, তোর কি মেয়েদেরকে ভালো লাগে? 

: হুম। লাগবেনা কেন? আরে দাঁড়াও দাঁড়াও... ভালো লাগা বলতে তুমি কি মিন করতেসো বলোতো?

: বলতে চাইছি... তুই কি মেয়েদের প্রেমে পড়িস?

: ...আই কান্ট বিলিভ দিস!!! তোমার এখন আমাকে লেসবিয়ান মনে হইতেসে??? মাই গড!!!

: না না... আমি শুধু জানতে চাইলাম আর কি... তুই আবার লেসবিয়ান কিনা।

: আনবিলিভেবল!!! না। আমি লেসবিয়ান না।

: আরে ক্ষেপতেসস কেন? লেসবিয়ান হইলেও প্রবলেম কি?

: নাহ। প্রবলেম নাই। কিন্তু আমি লেসবিয়ান না। ... কি শুরু করলা এগুলা। ধুৎ আমি বাসায় যাইগা। ধরো নাও এই চিপসের প‍্যাকেট। আজকে কাউয়াগোরে তুমি একলা একলাই চিপস খাওয়াও। আমি যাইগা।

: আরে দাঁড়া দাঁড়া। যাইসনা। আরে পাগল। বস এখানে। মাথাটা ঠান্ডা কর। এতো মাথা গরম করলে চলবে? মাথা ঠান্ডা কর। মাথা ঠান্ডা না করলে সমস‍্যার সমাধান হবে কি করে?

: সমস‍্যা মানে? কিসের সমস‍্যা।

: এই যে তোর কাউরে ভাল্লাগেনা। এটা সমস‍্যা না?

: ধুর। কি বলো এগুলা। বাল! আরে বুঝো আগে। যারা প্রেম করতেসে ওরাই আসলে সমস‍্যায়  আছে কিন্তু। ফ্রেন্ডগুলারে তো দেখতেসি কয়দিন পরপরই ফ‍্যাচফ‍্যাচ কইরা কান্দে।

: তুই এখন আমারে বুঝাবি?

: না বুঝলে বুঝাবো না? আজব!

: হুম বুঝলাম।

: দ‍্যাখো আমিও যে কখনো ক্রাশ খাই নাই কোন পোলার ওপর তা কিন্তু ঠিক না। খাইসি। কিন্তু একটু কথাবার্তা বলার পর বা ধরো দুইদিন অবজার্ব করার পর দেখলাম একেকটা বড়োই বিরক্তিকর টাইপ পোলা। ওই যে বলেনা ত‍্যানা প‍্যাচাইন্না... কেমন জানি ত‍্যানা প‍্যাচাইন্না টাইপের... কাজকামে, চিন্তা ভাবনায় বা ধরো সেন্স ওব হিউমারের বড়ই কাহিল অবস্থা। আর বুঝছো তো পুতুপুতু টাইপের পোলা বা ধরো ঠিক তাও না... কি যে কই... ধরো চোখেমুখে যদি একটা বোল্ডনেস না থাকে বা ধরো অনেস্টি না থাকে বা ধরো তাও না ধরো... ধুর বাল। এত্তো কথা তোমারে ক‍্যান বলতেসি। ধুত। এত্তো কথা কওনের দরকার নাই। কাউরে এখোনো পাই নাই যার সাথে প্রেম করুম। এই হইলো মোদ্দা কথা।

: হুম। ভালোই তো পোলাগো অবজার্ভ করোস তার মানে।

: অবজার্ভ তো আমি সবাইরেই করি। করতে করতে অভ‍্যাস হইয়া গেসে। ছোডবেলা থেইকা এতো লাত্থি খাইসি। এখন আমার ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স সেইরকম স্ট্রং। অবশ‍্য কাউরে বুঝতে দিই না।

: হুম। সেটা অবশ‍্য আসলেই বোঝা যায়না। তা তুইতো আমারেও অবজার্ভ করস তার মানে?

: তা তো করিই। যদিও করা না করা সমান।

: করা না করা সমান মানে?

: যা অবজার্ভ করার তো আগেই করসি। নতুন করে আর কি করবো। তুমি হইলা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ফরএভার। অবজার্ভ করলেও না করলেও। 

: ওহ। ভালো। বেশ ভালো। তবে তোকেও অবজার্ভ করতে করতে আমারও একটা জিনিস মনে হচ্ছে...

: থামলা কেন? বলো কি মনে হচ্ছে?

: মনে হচ্ছে তুই আসলে কোনদিনই প্রেমে পড়বি না। তুই আসলে একদিন প্রেমে আছাড় খাবি। যেদিন সময় আসবে এমন আছাড় খাবি বুঝলি তো? কোমরের হাড় গোড় সব ভাঙবে তোর সেদিন।

আমি এক মুহুর্ত তাকিয়ে ছিলাম শুনে কিন্তু তারপরই এমন দম ফাটানো হাসি পেলো হাসতে হাসতে বললাম

: তোমার এক্সের তো ল‍েইঞ্জাটাও বাগে পাওনা। আমারে হাতের কাছে পাইয়া অভিসম্পাত দিতেসো? 

আবারো হাসতে হাসতে আমি চিপসের জাম্বো প‍্যাকেটটা হাতে নিয়ে উঠে চিপস ছড়াতে ছড়াতে সামনের দিকে হাঁটা দিলাম। পেছনে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বলে যেতে লাগলো " বেশি হাসিস না বুঝলি... যেদিন সত্যি সত‍্যি আছাড়টা খাবি বুঝবি..." আরো কতো কি বলছিলো কিন্তু আমি নিজের হাসির শব্দেই আর শুনতে পাচ্ছিলামনা। আমার চারপাশে তখন ওপাড়ার কাকগুলো আর তিনটা নেড়ি ভিড় করে আছে।


বিকেলে তো হেসেছিলাম খুব কিন্তু আমি সত‍্যি সত‍্যিই একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম। সিনেমায় কেউ প্রেমে পড়লে মিউজিক বেজে ওঠে, জোরে বাতাস হয়, বৃষ্টি নামে। বন্ধুরা প্রেমে পড়লে ওরা খুশিতে ঝলমল করতে থাকে, অদৃশ‍্য ডানায় ভর করে ফুরফুরে মনে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়।আর আমি যখন প্রেমে পড়বো তখন আসলে আমি প্রেমে আছাড় খাবো আর আমার কোমরের হাড়গোড় সব ভেঙ্গে যাবে। এ কেমন কথা? এ কেমন বিচার? আর এ কেমন বেস্ট ফ্রেন্ড আমার? এ কেমন ভবিষ‍্যৎবাণী?


সে যাই হোক, একদিন দমকা হাওয়ার মতো একটা প্রেম এলো জীবনে। বেপরোয়া উদার ঐশ্বর্য‍ময় বেহিসেবী এক প্রেম। বেস্টফ্রেন্ডের ভবিষ‍্যৎবাণী সত‍্যি হয়নি বলে খুব আনন্দেই দিন কাটছিল। কিন্তু তারপর এক মুহুর্তেই একদিন বুঝতে পারলাম আমি সত‍্যিই বেশ জোরেশোরেই  একটা প্রেমের আছাড় খেয়েছি। বাস্তবিকভাবে কোমরের হাড়গোড় না ভাঙলেও মাথায় তো ভীষণই চোট লেগেছে আর আমি সেই আঘাতে সংজ্ঞা হারিয়ে একেবারে কোমায় চলে গেলাম। পৃথিবীতে সবকিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছিল কিন্তু আমি নিজের অস্তিত্ব পরিচয় হারিয়ে একটা অর্থহীন যুক্তিহীন আবর্তের কেন্দ্রে স্থির হয়ে রইলাম। যখন জ্ঞান ফিরলো দেখি পৃথিবী বদলে গেছে অনেক। ভাবলাম যা হবার তা হয়েছে, নতুন করে সবকিছু শুরু করা যাক। বেস্ট ফ্রেন্ড দেখতে এলো আমাকে। জিজ্ঞেস করলো "কি রে কেমন? কি বুঝলি?" আমি বললাম "ঠিকই বলেছিলা তুমি। এ এক ভয়াবহ আছাড় খাইলাম। এ কবছর কোমাতেও কাটিয়ে এলাম। তা তুমি কেমন ছিলা এতোদিন?"

: তা বেশ ছিলাম। একটা ব‍্যাবসা শুরু করেছি বুঝলি। ভাবলাম এই যে আমার এতো জ্ঞান এতো বুদ্ধি তা এবারে কাজেকামে লাগানো যাক।

: ওহ। এটা বেশ ভালো খবর।

: ভাল না হইলেও ভালো। পেট চালাইতে পারতেসি এতেই আমি খুশি। তোর কথা বল। এবার কি করবি?

: জানিনা। তবে প্রেমে যে আর পড়বো না তা ঠিক করে নিয়েছি।

: ঠিক করে নিলি? এভাবে ঠিক করা যায়?

: হ‍্যাঁ। নিলাম তো ঠিক করে।

: নাহ। আমার তা মনে হয় না। মনে হচ্ছে আবার প্রেমে পড়বি তুই। পড়বি না, আছাড় খাবি। একটু অন‍্যরকম আছাড়। হাড়গোড় ভাঙবোনা কিন্তু যে জায়গাটায় আছাড়টা খাবি সেই জায়গাটা বিশেষ সুবিধার হইবো না।

: তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড না ওয়ার্স্ট এনিমি বলোতো? এইসব তোমার ভবিষ‍্যৎবাণী না অভিশাপ?

: সে তুই যা কিছু একটা ভাইবা নে বা ডিকশেনারিও দেইখা নে। আমার যেটা মনে হইতেসে সেইটাই বললাম।

কোমা থেকে ফিরে আসার আনন্দ আমার ফিকে হয়ে গেল। খোশ মেজাজের ভাবটা মুখে ধরে রাখলাম ঠিকই কিন্তু বুকের ভেতরটা মুষড়ে রইলো। কিছু নতুন বন্ধু জোটালাম, নতুন চুলের ছাঁট দিলাম, নতুন নতুন কাজে ব‍্যস্ত হলাম। এমনি দিন কাটতে কাটতে মনের ভয়টা যখন ঝাপসা হয়ে এলো তখন একদিন আবার কি করে যেন প্রেমে পড়ে গেলাম। ভয়ে আতঙ্কে একটা গর্তে ঢুকে পড়লাম আমি ঠিকই কিন্তু চেপে রাখতে পারলাম না খবরটা। ভবিষ‍্যৎবাণী ঠিক ফলে গেল। এতো নোংরা ভর্তি পেছল একটা জায়গায় আছাড় খেলাম আমার সারা গায়ে নোংরা লেগে গেল। উঠে কোনরকমে দাঁড়িয়ে বাড়ির পথ খুঁজতে লাগলাম। লোকে এসে সাহায‍্য করা বা বাড়ির পথ দেখিয়ে দেয়া তো দূর বরং আমার দিকে আঙুল তাক করে হো হো করে হাসতে লাগলো। চলতে চলতে বাড়ির পথ আর খুঁজেই পেলাম না। শেষে একটা আশ্রমে এসে পড়লাম। আশ্রমের লোকেদের দয়ার শরীর, ওরা আমাকে গোসল করার পানি দিল, নতুন পোষাক দিল, খেতে দিল, একটা নতুন কাজও দিল। আশ্রমের নতুন জীবনে দিন কাটাতে কাটাতে যখন মনটা হালকা হয়ে এলো তখন দেখি একদিন আশ্রমের সদর দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে দেখতে দেখতে দাঁত ক‍্যালাচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমি হাতের কাজ রেখে তাড়াতাড়ি হেঁটে ওর কাছে গেলাম "আরে তুমি? এখানে কি করে এলে? কেমন আছো?"

: ভালো আছি। এদিকটায় বেড়াতে এসেছিলাম। আশ্রমটা বেশ সুন্দর তাই উঁকি দিতেই দেখি তুই ঘুঁটে তুলছিস। তা বেশ আছিস মনে হয় এখানে?

: তা আছি। তোমাকে এতোদিন পর দেখে খুব ভালো লাগছে। আসো ভিতরে। এখানে খুব ভালো সিঙ্গাড়া আর মালাই চা বানায়। চলো তোমাকে খাওয়াবো।

হাতে চা সিঙ্গাড়া নিয়ে আমরা একটা জারুল গাছের নিচে বসলাম দুজন মুখোমুখি। আমি জিজ্ঞেস করলাম

: তা কি করতেসো তুমি এখন? ওহ, তুমি না ব‍্যাবসা শুরু করসিলা? তার কি খবর?

: ওইটা চলতেছে ওইটার মতোই। আমি বাইর হইয়া পড়সি শান্তির খোঁজে। আর সত‍্যি বলতে কি তোকেও খুঁজতেসি অনেকদিন ধরে। 

: আমাকে? কেন?

: বাহ বাহ! তুইই তো বলসিলি বেস্ট ফ্রেন্ড আমরা! তো খুঁজবো না? নালাতে তো আছাড় খাইয়া পড়সিলি। জানার পর যাকেই জিজ্ঞেস করি শালারা শুধু হাসতে হাসতেই মইরা যায়। কয়েকজন জানাইলো সেইসময় হাসতে হাসতে ওরা এমনই সর্ষেফুল  দেখতেসিলো যে খেয়ালই করেনাই ঠিক কোনদিকে গেসিলি তুই। বুঝ অবস্থাটা। 

: হুম। বুঝতে পারসি। অনেক নোংরা লেগে গেসিল গায়ে। ধুয়ে নিসি পুরো একেবারে ভেতরে ঢুইকা পড়বার আগে। বাবা যা দূর্গন্ধ ছিল! ভাবসিলাম হয়তো এবার সারা শরীরে, মগজে আর মনেও পচন ধরে যাবে। নাহ! কিন্তু দেখলাম সময় থাকতে ধুয়ে নিলেই হইলো।

: বাহ বেশ! তা কি ঠিক করলি এখন? এই আশ্রমেই থাকবি?

: না হয়তো। এই ঘুঁটে বানানোর কাজটা খারাপ না বুঝলা। কিন্তু এবার আমিও বেরিয়ে পড়বো। নতুন নতুন অনেকগুলো গান বাঁধসি। ভাবতেসি নানান জায়গায় ঘুরে ঘুরে গানগুলা গাইবো। 

: বাহ! এটা দারুন ভাবছিস। সত‍্যি তোকে নিয়ে গর্বই হচ্ছে আমার। 

: হুম। ভাবতেসি তো বহুদিন ধরেই। ভাবতে ভাবতে জানো তো কেমন ভাবুকই হয়ে গেসি। কিসব ভবিষ‍্যৎবাণী করলা, সেসব ফইলাও গেল। তুমি শালা পুরাই একটা হারামি। এতো সাবধান হওয়ার পরও ভবিতব‍্য এড়ানো গেলো না। আর আমি আস্তে আস্তে একটা অন‍্য মানুষ হয়ে গেলাম।

: হুম। তাইতো দেখতে পাইতেসি। তা যা হইসে ভালোই হইসে বল?

: তা জানিনা। তবে আজকে নিজেরে নিয়া আমি একটা ভবিষ‍্যৎবাণী করবো। তোমারগুলোর মতোন ফলবো কিনা জানিনা। শুনবা তুমি?

: ফলবোনা কেন? ঠিক ফলবো। বল শুনি কি তোর ভবিষ‍্যৎবাণী?

: ভবিষ‍্যৎবাণী হইলো আমি আর প্রেমে পড়বোও না, আছাড়ও খাবো না। কেউ যদি আমার প্রেমে পড়ে তবে সে প্রেমে পড়বোনা বরং ভীষণ জোরে আছাড় খাইবো। আর সেইটা হইবো এক্কেবারেই নতুন কিসিমের আছাড়!


 


No comments:

Post a Comment

English Translation of Bangla Folk Song: Fakir Lalon Shah; চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি; Forever I Nurtured a Mysterious Bird

 Forever I Nurtured a Mysterious Bird Forever I nurtured a mysterious bird, which never discloses its identity. For this grief, my eyes ...