🖤🖤🖤
মিতা হক এসেছিলেন গান শোনাতে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইন্সটিটিউটে। একটা এসির প্রবল ঠান্ডা বাতাস সরাসরি লাগছিল তাঁর মাথায় আর মুখে। বলছিলেন ঠান্ডায় ওনার গলা নাকি বসে যাচ্ছে। আমার বয়স তখন খুব কম তাই হয়তো শুনে খুব অবাক হয়েছিলাম যে এতো দক্ষ শিল্পীরও এসির বাতাসে গলা বসে যায়! বহুবার ভেবেছিলাম অনুষ্ঠান শেষে গ্রীনরুমে গিয়ে একবার দেখা করবো আর বলবো আমি আপনাকে, আপনার গানকে অনেক ভালোবাসি। অনেক ছোটবেলা থেকে ভালোবাসি। আমার মাও ভালোবাসে। আমরা আপনার যুবরাজকেও ভালোবাসি।
মিতা হক হয়তো সবারই প্রিয়। তবু সবসময় মনে হয়েছে যেন তিনি থেকে গেছেন অবমূল্যায়িত। তা নিয়ে অবশ্য আর ভাবতে চাইনা কারন শিল্পীর মূল্যায়ন সমসাময়িক মানুষ নয় বরং করে সময় নিজেই। ছোটবেলায় রবিঠাকুরের বহু গাইয়েদের মধ্যে যাদের গায়কি হয়েছিল অন্তরে ও চেতনায় বোধগম্য, মিতা হক তাঁদের মধ্যে একজন। বড় হতে হতে পরে জেনেছি মিতা হক আর তাঁর যুবরাজের সংগ্রামও। তাই হয়তো আরো ভালোবেসেছি।
মিতা হক আজ চলে গেলেন কোভিডের সাথে যুদ্ধ করেই একরকম। তাঁর চিরসবুজ কন্ঠ রইলো এই পৃথিবীতে আর রবিঠাকুরের বিদগ্ধ করুন বোধ তা পৌঁছে দেবে যুগে যুগে আশা রাখি। মিতা হকের আত্মা ফিরে গেছেন তাঁর যুবরাজের কাছে অবশেষে। দুজনই ভালো থাকবেন। নিশ্চয়ই ভালো থাকবেন।
🖤🖤🖤
No comments:
Post a Comment