এই ইন্সট্রুমেন্টালটার ধুনটা একটু প্রাগৈতিহাসিক ধাঁচের। তাই না?
"হুম।"
কিছু ভাবছো তুমি?
"হুম।"
ও। তাহলে আমি বরং যাই এখন।
"হুম? না... না! যেওনা। বড্ড একা একা লাগে আজকাল। দেখো না সকাল, দুপুর, সন্ধ্যে, রাত সবই খুব গম্ভীর যেন। আর হিসেবও যায় হারিয়ে হারিয়ে। তুমি থাকো। আমি আর ভাববো না। কিছুই থাকে না এই দুহাতে। বুকটা খাঁ খাঁ। তুমি একবার আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে পারো কিছুক্ষণ? যদি ঘুমিয়ে পড়ি, তাও থেকো, চলে যেও না।"
মেয়ে, বড় অস্থির হয়ে আছো তুমি। এই সংগীত তোমায় শান্ত করতে পারলো না!?
"না। বরং যেন আমার ভেতরটাকে দুমড়ে মুচড়ে একটা অন্তহীণ শ্যূণ্যতায় দাঁড় করিয়ে দিল জানোতো!"
হায় মেয়ে! হায়! ওই বৃষ্টির শব্দ তোমায় শান্তির ঘুম পাড়াতে পারলো না!?
"না। বরং বার বার মনে করিয়ে দিল। বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি আসবে না কোন দিন। ভোর বেলা দূঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙলো। মনে হলো কেউ নেই। কেউ নয়। ওই সূর্যও হয়তো মুখ ফিরিয়ে নেবে।"
হায় মেয়ে! হায়! তার স্বপ্নও পারলো না তোমায় আশা যোগাতে?
"না। সে তো সত্য হলো না কোনদিন। একটা মৃত আগ্নেয়গিরির ধারে আমি বসে থাকি। বিষাক্ত ঠান্ডা হাওয়া এখোনো ঘিরে আছে এখানটায়। শ্বাসনালি, শরীর, দুচোখ জ্বলে গেল ঠায় বসে থেকে থেকে। হেঁটে হেঁটে অনেক দূর যাবো ঠিক করেছি এবার। পায়ের তলার চামড়া একটু শুকোক, তারপর।"
এতো যন্ত্রণা কিসের? হায় মেয়ে! হায়! নিজেকে পুড়িয়ে নিলে একটুও চোখের পলক না ফেলে! কেন? হায় মেয়ে! হায়!
"এক মুহূর্তে জীবনটা অযৌক্তিক হয়ে গেলো জানো! আঁজলা ভরে জল তুলে নিয়ে দেখি কোন জলাধারই নেই। পায়ের নিচে মাটি নেই। মাথার ওপর আকাশ নেই। কোন উদ্যান নেই। মরুভূমিও নেই। মাথার ভেতর স্বরগুলোও নেই। তুমি জানো সবাই কোথায় গেল? এই প্রবল 'আমি' কি শুধুই এক শূণ্যতার নাম? কোথায় গেলে? চলে গেলে? তুমিও? পরিচয় টা দিয়ে গেলে না... উত্তরও দিয়ে গেলে না...
https://soundcloud.app.goo.gl/AwMFt
No comments:
Post a Comment