অ
অকটবিকট অক্কা পাবে অকর্মার ধাড়ি
অগ্নিবাণে অথই জলে অতিচালাকের নাড়ি
আ
আউড়ে তাকায় আঁখি ঠারে আঁজলপাঁজল গাড়ি
আথালিপাথালি আছাড় খায় আচমকা সুন্দরী
ই
ইঁচড়ে পাকা ইঁদুর কলে ইতি উতি ভাবে
ইতি টানে ইন্দ্রপতন তাই ইষ্টনামে কাঁপে
উ
উচিত শিক্ষা উচিত শাস্তি উচিত সময়ে পাবে
উটক-পাটক উটকো কথায় উল্টো বিপদ হবে
ঊ
ঊনপাঁজুরে ঊনখেজুরে ঊর্ধ্বনেত্রে তাকায়
ঊনকোটি চৌষট্টি সমস্তটাই চায়
এ
এই বেলা এওজ-তরাজ এঁটে ওঠা দায়
এক আঁচড়ে এসপার-ওসপার, একা দোকা ঠায়
ও
ওই কি বলে, ওই পর্যন্তই, ওজন করা প্রেম
ওতে ঘাতে চলতে পারলে ওজন দরে কেন
ক
কঞ্জুসের ভাত্তাখোড়ে দিবানিশি কর্ম সারে, কওয়ার কথা নয়
কাঁচা ওলে পা না দিলে, কাগাবগা না করলে,
কাটান ছেঁড়ান হয়?
খ
খচিয়ে দিয়ে খচখচানি খড়ের আগুন ধরায়
খুদে রাক্ষসের খিল ধরবে খ্যাঁচামেচির চিপায়
গ
গজরগজর গছিয়ে দিতে গড়গড়িয়ে চলে
গেঁড়ে বসেও গজাল ঠোকে গান্ডেপিন্ডে গিলে
ঘ
ঘটি-চোর ঘন্টা গরুড় ঘটিরামের ছানা
ঘা-করানী, ঘর-জ্বালানী শেখেনা ঘাট মানা
চ
চই চই চই চকমকানো চকরা-বকরা জামা
দেখলে চক্ষু চড়ক গাছ চঙলমারা প্রেমা
ছ
ছক কেটে যায় ছন্দেবন্দে ছরাদ করাই সার
ছাই দিয়ে যায় বাড়া ভাতে ছালনচাখা ছার
জ
জোচ্চোরেতে জগ দিয়ে যায় গোপনে জুত মতো
জোঁকের মুখে নুন পড়বে ঠিক জন্মের মতো
ঝ
ঝকমারির ঝলসা কানায় ঝাঁটা পিটিয়ে যায়
ঝোঁকের মাথায় ঝিঁ ঝিঁ ধরে ঝোলঅম্বল এক হয়
ট
টেনে বুনে টক্কর খেয়েও টঙস টঙস হাঁটা
ট্যা-ফোঁ হাঁড়ি টোল খেয়ে যায়, গরম দেখায় টাকা
ঠ
ঠাউরে দেখা ঠাওর করা ঠিকে ঝিয়ের কাজ কি?
ঠুঁটো জগন্নাথ ঠান্ডা মারে ঠেলা মারায় আজ কি?
ড
ডজন ডজন ডবকে ওঠার ডগমগানো হাসি
ডুকরে কাঁদায় ডাহা মিথ্যে, ডিগবাজি খায় রাশি
ঢ
ঢং করা ঢনা ধরা ঢাক পিটিয়ে গায়
ঢলঢলিয়ে ঢপের কেত্তন ঢেউ খেলিয়ে যায়
ত
তত্ত্ব করে, তল করে না, তক্কে তক্কে থাকে
তাগাড়মাখা তারিয়ে খেলেও তাসের ঘর বাঁকে
থ
থৈ থৈ থৈ থলথলে থপথপাথপ হাঁটে
থু থু করে থোবড়া নেড়ে, থ্যাবড়ানো নাক বাঁটে
দ
দয়ে মজানো দক্ষযঞ্জ দক্ষিণ হাতের কাজ নয়
দড়ি ছেঁড়া দমবাজেদের দরজা দেয়াই ঠিক হয়
ধ
ধরনা দেবে, ধাওয়া করবে, ধস্তাধস্তি শেষে
ধান শুনতে কান শুনলে ধর্মে সইবে কি সে?
ন
নাক উঁচিয়ে নরম গরম নগদ বিদায় দিলে
নেমকহারামের নবাবি চাল দেখবে নোনা জলে
প
পটোলচেরা চোখের সাথে পটোল তোলা ফ্রি
পঁচা শামুকে পা টা কেটে পঞ্চত্ব প্রাপ্তী
ফ
ফপর দালাল ফড়ফড় করে, ফাঁক করে দেয় পকেট
ফাঁড়া কাটানোর ফাঁকা আওয়াজে ফাঁপ ধরে যায় পেট
ব
বজ্র আঁটুনি ফষ্কা গেরো বগলদাবা গাঁট্টি
বয়সকালের বদলা নিতে বালির বাঁধে ঘাঁটি
ভ
ভবলীলা সাঙ্গ হবার ভয়েই কেঁচো হওয়া
ভিটে মাটি চাঁটি হলে ভুতের বোঝা বওয়া
ম
মই কেড়ে নেয় গাছে তুলে, মগের মুলুক না কি?
মটকা মেরে থাকলে পড়ে, মড়াকাঁদা যায় কি?
য
যখনকার যা তখনকার তা, যদু মধুর জীবন
যেমন দেবা তেমন দেবী, যো-সো, যেমন তেমন
র
রকবাজিতে রক্তগঙ্গা বইতে পারে রোজ
রগরগে সব রদবদলের রাঙা মুলোর খোঁজ
ল
লক্ষ্মীছাড়া লগি পোঁতার লজ্জার নেই মাথা
ল্যাংবোটে শোনে না লাখ কথার এক কথা
শ
শকার বকার করাই কাজ, শাপ-শাপান্তের দীক্ষা
শাঁখের করাত কেটে যায় শবরীর প্রতীক্ষা
ষ
ষষ্ঠী মা দূরেই থাকে ষাড়াষাড়ির বানে
ষোল কড়াই কানা হলো ষাঁড়ের গোঁয়ের টানে
স
সইয়ে সইয়ে সতিন কাঁটা, সয়ে যাওয়া আর কতো?
সর্বঘটে কাঁঠালি কলা সাতকথা কয় যতো
হ
হকের ধনের উঠলে কথা হচ্ছে হবে করে
হত্যে দেওয়া হীরের টুকরো হাপিত্যেশে মরে

দারুণ লিখেছিস -পপি
ReplyDeletemarvelous ....fantastic ....
ReplyDelete