Wednesday, December 30, 2020

গল্প : পাঁচ : এখনো সারেঙ্গীটা বাজছে

যে বুড়িটা থাকতো পাহাড়ের একদম চুড়ায় পুরোনো সেই কাঠের বাড়িটায়, তার সত‍্যি বলতে কি বয়সের কোনো গাছ পাথর ছিল না। তার চুলগুলো ছিল শনের মতো রুক্ষ আর শরতের মেঘের মতো সাদা ও হালকা। হালের সান্তাদের মতোই ওর মুখে কোনো বলিরেখা ছিল না। রুপকথার ডাইনিদের মতো ওর কোন ঝাড়ু তো ছিলনা কিন্তু ওর ছিল বেশ বড়সড় একটা ড্রোন। বুড়িটা ছোটখাটো ছিল তাই সহজেই ড্রোনটার পিঠে বেশ আয়েস করেই বসতে পারতো আর ওর হাতে থাকতো রিমোট কন্ট্রোল আর একটা মনিটর যেটা ওর কোলে নয় বরং বাতাসেই ঝুলে থাকতো। ড্রোনটার মতো মনিটরটাও ওর সব কথা বুঝতে পারতো আর শুনতে বাধ‍্য ছিল। ওদের দুজনকেই সে একেবারে জাপান থেকে স্পেশাল কাস্টোমাইজড অর্ডার করে আনিয়েছিল। ওরা সব কথা বুঝলেও বুড়িটা রিমোট কন্ট্রোলটা ব‍্যাবহার করতেই বেশি পছন্দ করতো, কারন সে চাইতো ড্রোনটা এবং মনিটরটা সবসময় নিজেদের শুধুমাত্র যন্ত্র ভেবেই একটা নচ্ছার হীণমন্যতায় ভুগুক। বুড়িটা বলার অপেক্ষা রাখে না একদমই যে একটা আস্ত হাড় বজ্জাত ছিল। 


বুড়ি ঘুম থেকে উঠতো বেলা বারোটার পর তারপর দরজা খুলে বেরিয়ে দীর্ঘ‍্যদিন না মাজা দাঁতগুলো বের করে দগদগে সূর্যটার দিকে তাকিয়ে হাসতো আর দুহাতে কাঁচকলা দেখিয়ে বলতো 


"আজকেও পারিসনি

তোকে ভালোবাসিনি

থাকবো আমি কাঠের ঘর

পশ্চিমে তুই ডুবে মর"


ডুমুর গাছের ছটফটে কিন্তু নীরিহ ধুসর আর কমলা রঙের কাঠবিড়ালিগুলো ভীষন ভয় পেয়ে যেতো বুড়ির অমন ফ‍্যাসফ‍্যাসে ঠান্ডা মেজাজের  গলায় ছড়া কাটা শুনে। আর ছুপুত ঝুপুত করে পাতার নিচে লুকিয়ে পড়তো। টের পেয়ে বুড়ি গম্ভীর গলায় বলতো


"হ‍্যাঁরে বলি ছটফটেরা

লুকাস ক‍েনো হতচ্ছাড়া?

দেখলি হলো কত্তো বেলা?

খেয়ে নিলি সব একলা?

গোটা কয় পাকনা বেছে

নিয়ে আয়তো আমার কাছে"


কাঠবিড়ালিদের নেতা বৃহৎকেশ, সবাই ওকে শ্রদ্ধা করে ডাকতো বিগঅ‍্যাস (BIGASS), যার ছিল সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে মোটা, কালো আর কমলা রঙের ডোরাকাটা লেজ, কাচুমাচু করে পাতার আড়াল থেকে বেরিয়ে নিচের দিকের একটা ন‍্যাড়া ডালে দুইপায়ে ভর দিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়াতো আর সামনের দুটো পা কচলাতে কচলাতে বলতো "আসলে ম‍্যাডাম, হয়েছে কি রাত বিরেতে চামচিকেদের বড্ডো উৎপাত বেড়েছে আজকাল, ব‍্যাটারা চোখে তো দেখতে পায়না কিন্তু এলোপাথাড়ি এমন তান্ডব চালায় যে খাওয়ার চেয়ে নষ্ট করে বেশী। কোয়ালিটি কন্ট্রোলের একেবারে যাচ্ছে তাই অবস্থা। আর..."


এতোটুকু শুনেই বুড়ি বিরক্ত হয়ে পড়তো আর ঝাড়ি মেরে বলে উঠতো


"স্টপ ইন্ট্রোডাকশান পাজির পা ঝাড়া

আসল কথা বল ভনিতা ছাড়া"


বিগঅ‍্যাস একটু ভয় পেয়ে যেতো। তারপরও বুকে থুতু দিয়ে ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বলে যেতে থাকতো "ইয়ে মানে আর তাছাড়া কাকগুলো তো আছেই, দু একটা ফিনিশড প্রোডাক্ট তারপরও যা বের করি তা ওরা দলবেঁধে এসে আমাদের ঠোকরাতে ঠোকরাতে কেড়ে নেয়। এখন আপনার সাহায‍্য খুব প্রয়োজন ম‍্যাডাম। এই পাহাড়ের জিডিপি ভীষণ হুমকির মুখে আর জনসংখ‍্যা যে হারে বাড়ছে তাতে পার ক‍্যাপিটা... এতটুকু বলে বিগঅ‍্যাস বুঝতে পারতো সে বুড়ির ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে প্রায়। তাই নিজেকে সামলে গড়গড় করে বলতে থাকতো "তবে আজকের জন‍্য কটা পেয়ারা... যদিও তেমন একটা পাকা..."


কথা শেষ করবার আগেই বুড়ি বিকট হুঙ্কার দিয়ে বিগঅ‍্যাস এর দিকে তর্জনী নির্দেশ করে বলতো


"চোর ছ‍্যাঁচ্চড় নিপাত যাক

গুয়ের মাছি হয়ে যাক"


বিগঅ‍্যাস ভয়ে দুচোখ বন্ধ করলেও এতে তার শুধু একটু পেটে শুড়শুড়িই লাগতো মাত্র আর ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও হেহে হেহে করে হেসে উঠতো। বুড়ি রাগে গজগজ করতে করতে ঘরে ঢুকে পড়তো। মনটা ভীষন খারাপ হয়ে যেতো তার। সবকটা একেকটা চোর বদমাস। যে ব‍্যাটাকেই দায়িত্ব দেয় দুদিন পরই ডাকাত হয়ে যায়! সে কি জানে না যে এই পাহাড়ের যতো খাসাখাসা ডাঁসাডাঁসা সবকিছু শহরের বরফ ঠান্ডা সুপার শপগোলোতে পাচার হয়ে যাচ্ছে আর কি চড়া দামেই না বিকোচ্ছে। নিমকহারামগুলো কি এক ভ‍্যাকসিন নিয়েছিল যে বুড়ির পুরোনো মন্ত্রগুলো আর কোনো কাজই করছিল না এদের ওপর। হতাশ হয়ে বুড়ি বিড়বিড় করে বলছিল


"ভেবেছিলাম আজ থেকে করবো শুরু ডায়েট

মিনিমালিস্ট ভেজিটেরিয়ান লো কার্ব নো ফ‍্যাট"


বুড়ি ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে ছাদের দিকে উদাস হয়ে তাকিয়ে থেকেই বললো


"যা তো ড্রোন ছুটে যা

আন বিফ পিৎজা

যাবি আর আসবি

নয় এখনি মরবি"


ড্রোন বলে উঠলো "ইয়ে...হোম ডেলিভারি নিলে হয় না? সময় বাঁচে। অফার থাকে। তাছাড়া প‍্যানডেমিকের সময়। বোঝেনই তো আমার স্টীল বডি। অতো গোসল করলে কলকবজা... আই মিন শরীরে জং পড়ে যাবে না?" বুড়ি চোখদুটো ছোট করে আর ঠোঁটদুটো ছুঁচলো করে ড্রোনের দিকে এক মুহুর্ত তাকিয়ে থাকলো তারপর তাচ্ছিল‍্যভরে রিমোটে 'ওকে' বাটন প্রেস করলো। 


দশ মিনিটের মধ‍্যে পিৎজা এসে হাজির হলো। ডেলিভারি ড্রোন গার্লটা অত‍্যন্ত নিপুনভাবে সোশাল ডিসটেন্সিং এবং হাইজিন ম‍্যানটেইন করে টেবিলে তা পরিবেশনও করে দিল। তারপর ওর গোলাপি এন্টেনা দুটো বাঁকিয়ে সৌজন‍্য দেখিয়ে বেরিয়েও গেল। বুড়ি খেতে বসতেই বুড়ির ড্রোন ছুটে এলো আর হড়বড় করে বললো  "বাইরে কাক চিলের এতো উৎপাত! ম‍্যাডাম,  আমি ওনাকে একটু এগিয়ে দিয়ে আসি। কি বলেন?" বুড়ি এমন ভাব দেখালো যেন কিছু শুনতেই পাচ্ছে না। ড্রোন তড়িঘড়ি বেরিয়ে যেতেই মনিটরটা বুড়ির কানের কাছে এসে কুচুটে গলায় বললো "দেখলেন ম‍্যাডাম ড্রোনটা কত্তো বড় একটা লুইচ্চা লাফাঙ্গা। সব ওর আগে থেকে প্ল‍্যান করা..."। বুড়ি রিমোটকে ইশারা করলো মনিটরটা মিউট করে দিতে। খাওয়া দাওয়ার সময় কানের কাছে আজাইরা কুটনামি ধাঁচের বকবক তার একদম পছন্দ না। আর তাছাড়া নানান ঝামেলায় প্রায় দুপুর একটা বাজতে চললো।


খাবার দাবার খেয়ে ফ্রি কোলাটা গলায় ঢালতে ঢালতে কিছুক্ষণ নেটফ্লিক্সে চোখ রাখলো বুড়ি। কিন্তু এতো এতো সিরিয়ালের ভীড়ে কোনটা দেখবে ঠিক করতে না পেরে শেষে বেচারা ড্রোনকেই ডেকে পাঠালো। সে হন্তদন্ত ছুটে আসতেই ধমক দিয়ে উঠলো 


"কোথায় থাকিস নচ্ছার?

হাওয়া খাবো সাগর পাড়"


বলেই কিছু চিপসের প‍্যাকেট আর বাদামের কৌটো নিয়ে ধপাস করে বসে পড়লো ড্রোনের পিঠে আর রিমোটটা দিয়ে ইন্সট্রাকশান দিতে থাকলো। অন্তত একশো ফুট ওপর দিয়ে ওরা চলতে থকলো শহরের দক্ষিণ দিকে। বুড়ির মেজাজটা ততোক্ষণে বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠেছিল। ওর সাদা চুলগুলো পাখির ডানার মতো উড়তে থাকলো, আবেশে যেনো চোখ বন্ধ হয়ে যেতে চাইলো। মনিটরে ড্রোনের হাই ডেফিনেশন ক‍্যামেরায় তোলা নিচের সব ছবি আসতে লাগলো আর কোনোটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেই মনিটর তার বিস্তারিত জানাতে থাকলো। দুপুর দেড়টা নাগাদ ওরা পৌঁছে গেল একেবারে সমুদ্রের পাড়ে কনক্রিটের ব্লকের ওপরে।


বুড়ি একটা ব্লকের ওপর বসতো। রিমোটটা পাশে রেখে দিত। ড্রোন আর মনিটরও আশেপাশেই থাকতো। ওরা জানতো বুড়ি তখন একদম অন‍্যরকম হয়ে যাবে আর এক মনে বিড়বিড় করতে থাকবে। দিনের এই সময়টাতেই শুধু ড্রোন আর মনিটরকে এমন কি রিমোটকেও একটু মানুষ হিসেবে গণ‍্য করতো বুড়ি। তবে ওরা বুঝতো না এই দুপুর দেড়টার ঠা ঠা রোদ্রে আর কোন পাগল সমূদ্রের হাওয়া খেতে চাইতে  পারে। ড্রোন বেচারা এতো গরম হয়ে উঠতো যে সে সারাক্ষণ তার কলকবজা নিয়ে ভয়ে থাকতো আর মনিটরের এমন চোখ ধাঁধিয়ে যেতো যে মনে হতো এই বুঝি চিরতরে অন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু ওদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর বুড়ির বিড়বিড় শোনা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকতো না। আর এভাবেই চলতে থাকতো বেলা তিনটে নাগাদ। তারপর বুড়ি আবার বাড়ি ফেরার জন‍্য তড়িঘড়ি শুরু করতো। কেন যে এমন করতো কে জানে? শুধু একদিন জিজ্ঞেস করতেই খেজুর গাছের বুড়ো তক্ষকটা বলেছিল "জানিস কি? তোর ঠ‍্যাং, তোর বাপের ঠ‍্যাং? যাচ্ছে তাই জেনারেশান! বুড়ির যে সূর্যাস্ত দেখতে নেই তাই জানিস না?" ওরা আরও কিছু জানতে চাইলে বুড়োটা খ‍্যাঁক করে উঠেছিল "থুতু মেরে একদম জ্বালিয়ে দেব চকচকের দল আর যদি ত‍্যাক্ত করিস। নিজে নিজে খুঁজে বের কর। সব রেডিমেইড পেয়ে গেলে হয়? একটু ঘাঁট, একটু পড়াশুনা কর ভাই বেরেদার।" নচ্ছার হিংসুটে মারমুখী বুড়ো তক্ষকটাকে ওরা আর কোনোদিন ঘাঁটাতে যায়নি তারপর। কিছু কিছু যা শোনার বুড়ির মুখেই শুনে নিয়েছিল ওরা কোনো প্রশ্ন না করে।


কিছুক্ষণ বসে থাকবার পর বুড়ি বিড়বিড় করতে শুরু করতো


"বুঝলি পাখি? বুঝলি ছায়া?"

(এই সময়টা বুড়ি ড্রোনকে পাখি আর মনিটরকে ছায়া বলে ডাকতো)

"জীবন হলো আজব মায়া

একদিন এত্তোটুকুন ছিলাম

বাবার সাথে সাগর পাড়ে

কত বিকেল ভর খেলতাম

ঝিনুক মালা ঝিনুক দুল

কিনে নিতাম ঝিনুক ফুল

কুশি পেড়ে নকশা কাটা

ফ্রকটা পরে কতো ছুটতাম

তখন কতো পাখি আসতো 

কাঁকড়া কাছিম ছুটে যেতো

আকাশ এতো নীল ছিল

নীল জলে পা ভেজাতাম

যখন আমি বড় হলাম 

এই সাগরে নাইতে এলাম

সাগর পাড়ে হঠাৎ এক 

রাজপুত্তুর দেখতে পেলাম

ভর সন্ধ‍্যায় বালির ওপর 

হাঁটু মুড়ে বসতো সে

বাজিয়ে যেতো সারেঙ্গী

অন্তরীন এক দৃষ্টিতে

এতো করুন সুর বাজাতো

সমূদ্রটা কাঁদতো শুনে

ঢেউগুলো সব আছাড় খেতো

তারাদেরও কান্না গুনে

আমিও তার চারিদিকে

হাওয়ায় ভেসে নাচ করতাম

সুরগুলোকে গায়ে মেখে 

কান্নাগুলো উগড়ে দিতাম

হাতে থাকতো রক্ত গোলাপ

হাতে থাকতো কামিনী

তার কথাই ভেবে ভেবে 

কাটতো দিবস যামিনী

একদিন এতো রাগ হলো

মেহগনির ডাল দিয়ে

দিলাম ক ঘা মাথায় তার 

রক্ত পড়লো গড়িয়ে

সারেঙ্গীটা থেমে গেল

ভিজে গেল রক্ততে

রাজপুত্তুর লুটিয়ে গেল

সূর্যাস্তের সৈকতে

ছুটলাম আমি চারিদিকে

হয়েছিলাম দিশাহারা

সাগর আমায় শাপ দিল

শাপ দিল তারারা

'একলা বেঁচে থাকবি তুই

মরতে কভু চাইবি না

চুলগুলো তোর সাদা হবে

কিন্তু বয়স বাড়বে না

ভালবাসিস যদি নিষ্কাম

দূরের নরম সূর্যকে

মুক্তি পাবি সেদিন তুই

দেখতে পাবি মৃত‍্যুকে'

বুঝলি পাখি? বুঝলি ছায়া?

জীবন হলো আজব মায়া

তারপরে তো কেটে গেছে

দুশো কিংবা তিনশো সন

কাউকে ভালোবাসবো নারে

কাঁদুক আমার সবুজ মন"


এই বলে বুড়ি একদম চুপ করে যেত। বুড়ির কথাগুলো  ড্রোন আর মনিটরের কাছে দূর্বোধ‍্য ধাঁধার মতো মনে হতো। কি আর করবে, ওরা তো আর সত‍্যি সত‍্যি মানুষ নয়। তবে ওরা সত‍্যিই চাইতো বুড়ির গায়ের কাছে ঘেঁষে জড়িয়ে বসে থাকতে কিন্তু ঠিক সাহস করে উঠতে পারতো না।


পরদিন সকাল দশটায় সরকারি ম‍্যাজিস্ট্রেটদের হাঁকডাকে ঘর থেকে বেরুতে হলো বুড়িকে। ওরা খুব ভদ্রভাবেই বুড়ির হাতে সরকারি সমনটা দিল আর মুখেও জানালো যে এই কাঠের বাড়িটাকে সরকার বাসের অযোগ‍্য বলে ঘোষণা করেছে তাই বুড়ি ওখানে আর থাকতে পারবে না। আর তাছাড়া সরকার ঠিক করেছে ওই পাহাড়ে একটা আধুনিক ফাইভস্টার রিসোর্ট বানাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি খালি করতে হবে। বুড়ি সব শুনে বাড়িটার দিকে তাকালো কিছুক্ষণ। দেখলো আরে সত‍্যিই তো বাড়িটাতো আসলেই ভীষণ ঝুরঝুরে হয়ে পড়েছে, জায়গায় জায়গায় তক্তা নেই, একটু যেন বাঁকাও, কোন এক ভুমিকম্পে হয়তো খুঁটি নড়ে গিয়েছিল। বুড়ি ময়লা দাঁতগুলো বের করে হেসে সরকারি ম‍্যাজিস্ট্রেটকে দুহাত জোড় করে ধন‍্যবাদ জানালো। বুড়ির হাসি দেখে ম‍‍্যাজিস্ট্রেটের এমন পিলে চমকে উঠলো সে পড়ি কি মরি করে তাড়াতাড়ি পালিয়ে বাঁচলো। বুড়ি হাঁক দিয়ে উঠলো


"গোলাম আমার কোথায় তোরা

করলে দেরী খাবি গাঁট্টা

গোছগাছ সব নে করে

ছাড়তে হবে শহরটা"


তারপর মাত্র দশ মিনিটের মধ‍্যেই ওরা অন‍্য শহরে রওনা করলো। যেতে যেতে মাঝপথে বুড়ি শুধু একবার মাথার ওপরে তেজী সূর্যটাকে জিভ বের করে কাঁচকলা দেখিয়েছিল।

https://youtu.be/scUSUD-SDvI









No comments:

Post a Comment

English Translation of Bangla Folk Song: Fakir Lalon Shah; চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি; Forever I Nurtured a Mysterious Bird

 Forever I Nurtured a Mysterious Bird Forever I nurtured a mysterious bird, which never discloses its identity. For this grief, my eyes ...