খুব কাছের মানুষরাই হয়তো জানে আটপৌরে আমাকে। যাকে নিয়ে বড় ভয়ে বড় দ্বিধায় থাকি প্রায়শই। যে স্নান করে তিন দিনে একবার (অন্তত শীতের দিনে), একদিন মুখ ধোয় তো আর দিন নয়, শুষ্ক রুক্ষ চুল ছিঁড়ে যাবে ভেবে আঁচড়াতেও ভয় পায়। জলপানি বিনা সে মোটেও লক্ষী মেয়েটি নয়। এই মারীর একলা দিনে আয়েসে থাকে এই চির আটপৌরে আমি। জানলা দিয়ে দেখি বাইরের পৃথিবী যতদূর চোখ যায়। উজ্জ্বল সূর্য অকৃপণ আলো করে এই সবুজ মুখ, নিদাগ নিটুট নয় ঠিক এই হৃদয়ের মত শুধু একমুঠো পবিত্র চেতনাই সম্বল। ভালবাসি এই স্থবির দুপুর, বিনা কারনে বসে থাকা। ভালবাসি এ শুষ্ক চুলরাশি, কতবার অভিমানে তাকে নিষ্ঠুরতম বিদায় দিয়েছি তবু সে নতুন হয়ে ফিরেছে বারেবারে আর হয়েছে আমার নতুন নতুন সংগ্রামের সঙ্গী।
আজ এই বিজয়ের দিন। সব সংকট ম্লান করে চারিদিকে বাজে চেতনার শব্দ সুর। আরও একবার জানায় কত ক্ষরণ কত মূল্য দিয়ে কিনতে হয় মুক্তি। আর কত অল্পে বেঁচে থাকে মহান স্বত্তা।
এই দুপুরে শ্বব্দ সুরও থেমে গেছে ক্ষনিকের জন্য। তবু কি নিদারুণ উষ্ণতা জড়িয়ে আছে ত্বকে। মাথার ভেতর অদ্ভুত এক বোধ ই কাজ করে আর বলে আমার মুক্তির বারতা যে আছে ওই চিরন্তন শব্দ ও সংগীতে।
No comments:
Post a Comment