আমি জানতাম সেই গাঢ় অন্ধকারে ছিল চিরসবুজ বন
সুবিশাল বিস্তীর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধের মতো
ঘিরেছিল আমাদের স্পর্শকাতর অস্তিত্বগুলোকে
ডেকেছিল গহিনে তার
আমাকে তোমাকে আমাদের
আমি বসেছিলাম ঠায় ভাবলেশহীন মুখে
মনে মনে ভেবেছিলাম
কী অপরূপ এই অন্ধকার
কী নির্মল এই তারাদের আকাশ
তবু কেন বুক ভেঙ্গে যায়?
যে ছিল উঠোনে বৃষ্টির প্রতিক্ষায়
আমি তার কোঁকড়ানো চুলে
দেখেছিলাম সহস্রাব্দের দ্বিধা
এত দূর পাড়ি দিয়েও সে
জীবনকে ছুঁড়ে দিতে পারেনি সময়ের স্রোতে
জোনাকিরা তার অভিমান বয়ে নিয়ে নিয়ে
চলে যাচ্ছিল অনেক দূরে
এখানে পাতার গন্ধরা মিশেছিল মাটিতে
মিশেছিল হাওয়ায়
পোকাদের একান্ত বসতিতে আমরা ছিলাম
অচেনা আগন্তুক
আর যে হয়েছিল একা তার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে
পড়েছিল এখানে ওখানে
পাহাড়ি রাস্তায় সে খুঁজে ফিরেছিল সত্যকে
খুঁজে ফিরেছিল অজানা ভবিষ্যৎ
জীবনকে চেয়েছিল বড় সাধারণভাবে
তবু সময়কে যুঝতে পারেনি তার হৃদয়ের উদারতা
ওইখানে যত দূর চোখ গিয়েছিল
যত দূর হেঁটে হেঁটে গিয়েছিলাম আমরা
অবারিত চা বাগান আর রাবার বনের পথ ধরে
আমরাও মিশেছিলাম ছোট ছোট
পাতাদের যন্ত্রণায় দীর্ঘশ্বাসে
আমরাও বুঝেছিলাম লুকিয়ে থাকা পাখিদের সংকেত
চোরকাঁটা বুকে নিয়ে এসেছিলাম ফিরে
এক আকাশ থেকে আরেক আকাশের নিচে
কিছু সত্য কিছু উপকথা কিছু স্মৃতিতে
আমাদের হাসি আমাদের মজা আমাদের গ্লানি
চিরে দিয়েছিল নিঃস্তব্ধতা অন্ধকার আর সময়কে তবুও অবশেষে
No comments:
Post a Comment