চিন্তাগুলো অবিন্যস্ত ছোটাছুটি করে করে হয়রান করে দিচ্ছে
একটা গুহা ঘুরে দেখছিলাম আমরা
আমাদের হাতে ছিল আদ্দিকালের মশাল
গুহার দেয়ালে আমাদের দ্বিমাত্রিক ছবি আঁকা ছিল
আমি নাচছিলাম একটা ঠ্যালা গাড়ির ওপর
তোমার হাতে ফুল ছিল, চার পাপড়ির ফুল
দ্বিমাত্রিক, কিন্তু ঠিক দ্বিমাত্রিক নয়
ছবিগুলো যেন তৃতীয়, এমন কি চতুর্থ মাত্রাও তৈরী করছিল
ছবিগুলো যেন নড়ছিল, চলছিল, নাচছিল
কোন একটা সুর বাজছিল
তোমার ছবিটা যেন কিছু বলছিল
হঠাৎই তুমি আমি আর আরো বহু লোক ধুপ ধুপ শব্দ করে
পড়তে লাগলাম একটা রক কনসার্টে
তোমার কাঁধ থেকে গিটার ঝুলছে
ফ্রেইট বোর্ডে খ্যাপা আঙ্গুলগুলো ধেয়ে বেড়াচ্ছে
আমার হাতে অচেনা নাম লেখা প্লেকার্ড
সবাই চ্যাঁচাচ্ছে, আমিও
তার মধ্যেই নিস্তব্ধতা এক যেন
এমনই, নিজের হৃৎপিণ্ডের শব্দ শুনতে পাচ্ছি
তোমার হৃৎপিন্ডটাও চলছে একই তালে
তোমার নিঃশ্বাস মুখে এসে পড়ছে আমার
গভীর চুম্বনের ভেতর তুমি বলছো কিছু একটা
আমি সায় দিয়ে চোখ বুঁজলাম
আর এতো অন্ধকার নামলো সাথে সাথে
ডুবে যেতে থাকলাম আমি
তোমার নিঃশ্বাস, তোমার মুখটা অন্ধকারে হারিয়ে গেল
ডুবে যাবার সময় এতো অন্ধকার নামে জানা ছিলো না
আর এটাও জানা ছিলো না যে
চিন্তাগুলো অবিন্যস্ত ছোটাছুটি করে করে এমন হয়রান করে তোলে